• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন ৩০ জানুয়ারি

জাতীয় সংসদ

ছবি : তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী

সংসদ

একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন ৩০ জানুয়ারি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১০ জানুয়ারি ২০১৯

আগামী ৩০ জানুয়ারি বসবে একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন। ওইদিন বেলা ৩টায় অধিবেশন শুরু হবে। সংসদ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সংবিধান অনুযায়ী সংসদের ও বছরের প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি ভাষণ দিয়ে থাকেন।

রাষ্ট্রপতির ভাষণ : সংবিধান অনুযায়ী বছরের প্রথম অধিবেশন শুরুর দিন রাষ্ট্রপতি সংসদে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরে ভাষণ দেন। পরে রাষ্ট্রপতির ওই ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব জানাতে সাধারণ আলোচনা হয়। আবার চলতি সংসদের কোনো এমপি মারা গেলে অধিবেশন শুরুর পর মুলতবি করা হয়। তাই অধিবেশন শুরুর পর মরহুমকে নিয়ে আলোচনার পর সংসদের বৈঠকের কিছুক্ষণ মুলতবি দেওয়া হবে। এরপর রাষ্ট্রপতি ভাষণ দেন।

স্পিকার-ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন : সংসদের প্রথম অধিবেশনে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭৪ অনুযায়ী নতুন সংসদের প্রথম বৈঠকে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন করতে হয়। এজন্য কমপক্ষে এক ঘণ্টা আগে নোটিশ দিতে হয়। একজন প্রস্তাবক, একজন সমর্থক ও প্রার্থীর সম্মতি লাগে। সংসদের ডেপুটি সচিব নাজমুল হক বলেন, স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন ছাড়াও প্রথম অধিবেশনে সভাপতিমণ্ডলী মনোনয়ন, শোক প্রস্তাব, অধ্যাদেশ উত্থাপন (যদি থাকে), সংসদীয় কমিটি গঠন (যদি থাকে), সংবিধান বা আইন অনুযায়ী কোনো রিপোর্ট উপস্থাপন (যদি থাকে) ও রাষ্ট্রপতির ভাষণ থাকে। তবে রেওয়াজ অনুযায়ী প্রশ্নকাল থাকে না।

কতদিন চলবে অধিবেশন : সংসদের শীতকালীন এ অধিবেশন কতদিন চলবে তা কার্য-উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে। অধিবেশন শুরুর এক ঘণ্টা আগে সংসদ ভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। কার্য-উপদেষ্টা কমিটির ওই বৈঠকে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করবেন। এতে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিরোধীদলীয় নেতা উপস্থিত থাকবেন। তবে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর দীর্ঘ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে বলে এ অধিবেশন দীর্ঘ হবে।

গত ৩ জানয়ারি (বৃহস্পতিবার) সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে চার ধাপে ২৮৯ জন শপথ নেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংবিধান ও কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী প্রথমে নিজে শপথগ্রহণ করেন এবং শপথ বইয়ে স্বাক্ষর করেন। পরে অন্যদের শপথবাক্য পাঠ করান। সেদিন অসুস্থতার কারণে আওয়ামী লীগের সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম শপথ নিতে পারেননি। পরে তিনি মারা যান। এছাড়া বিএনপির ৫ জন ও ঐক্যফ্রন্টের ২ জন শপথ নেননি।

এর আগে ৩০ ডিসেম্বর ২৯৯ সংসদীয় আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এক প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে গাইবান্ধা-৩ আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছিল। আর নির্বাচনের দিন ব্রাক্ষণবাড়িয়া-২ আসনের তিনটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত হওয়ায় ওই আসনের ফল ঘোষণা করা হয়নি। তবে গতকাল বুধবার স্থগিত ব্রাক্ষণবাড়িয়া-২ আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পায় ২৫৭টি আসন। জাতীয় পার্টি পায় ২২টি আসন। বিএনপি পায় ৫টি আসন। ওয়ার্কার্স পার্টি পায় ৩টি আসন। গণফোরাম ২টি (এর মধ্যে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ও গণফোরামের নিজস্ব প্রতীক উদীয়মান সূর্য নিয়ে মোকাব্বির খান নির্বাচিত হন)। বিকল্পধারা বাংলাদেশ ২টি। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ২টি। তরিকত ফেডারেশন ১টি। জাতীয় পার্টি (জেপি) ১টি। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৩টি আসনে জয়ী হন।

এদিকে গত ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের বিপুল বিজয়ের পর গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা তৃতীয়বারসহ চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এবং তার নবগঠিত ৪৭ সদস্যের মন্ত্রিসভা শপথ নেন। বঙ্গভবনের দরবার হলে অনুষ্ঠিত এক রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এবং নতুন মন্ত্রিসভায় ২৪ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী এবং ৩ জন উপমন্ত্রী শপথ নেন। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এই শপথবাক্য পাঠ করান।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads