• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
শীর্ষ ৩০০ ঋণ খেলাপির তালিকা প্রকাশ

প্রতীকী ছবি

সংসদ

শীর্ষ ৩০০ ঋণ খেলাপির তালিকা প্রকাশ

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২২ জুন ২০১৯

৫০ হাজার ৯৪২ কোটি টাকা ফেরত না দেওয়া দেশের ৩০০ শীর্ষ ঋণখেলাপির তালিকা প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

আজ শনিবার সংসদে ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলমের টেবিলে উত্থাপিত এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ তথ্য প্রকাশ করেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, এসব ঋণখেলাপি সরকারি ও বেসরকারি খাতের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়েছে।

মন্ত্রী জানান, এসব ঋণখেলাপির কাছে পাওনার পরিমাণ ৭০ হাজার ৫৭১ কোটি টাকা আর শ্রেণিকৃত ঋণের পরিমাণ ৫২ হাজার ৮৩৭ কোটি টাকা।

শীর্ষ ১০ ঋণ খেলাপি হলো- সামানাজ সুপার ওয়েল লিমিটেড (১ হাজার ৪৯ কোটি টাকা) গ্যালাক্সি সোয়েটার অ্যান্ড ইয়ার্ন ডাইং লিমিটেড (৯৮৪ কোটি টাকা), রিমেক্স ফুডওয়্যার লিমিটেড (৯৭৬ কোটি টাকা), কোয়ান্টাম পাওয়ার সিস্টেম লিমিটেড (৮২৮ কোটি টাকা), মাহিন এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড (৮২৫ কোটি টাকা), রূপালী কম্পোজিট লেদার ওয়্যার লিমিটেড (৭৯৮ কোটি টাকা), ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্টস লিমিটেড (৭৭৬ কোটি টাকা), এসএ ওয়েল রিফাইনারি লিমিটেড (৭০৭ কোটি টাকা), সুপ্রভ কম্পোজিট নিট লিমিটেড (৬১০ কোটি টাকা) ও গ্রামীণ শক্তি (৬০১ কোটি টাকা)।

সেই সাথে পাঁচ কোটি টাকার বেশি ঋণ গ্রহীতাদের মধ্যে পাঁচ কোটি বা কম পাওনা থাকাদের তালিকাও প্রকাশ করেন মুস্তফা কামাল।

এ তালিকায় দেখা যায়, ২০০৯ সাল থেকে ১৪ হাজার ৬১৭ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ১৭ লাখ ৪১ হাজার ৩৪৮ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। খেলাপি হয়েছে ১ লাখ ১৮৩ কোটি টাকা।

ওয়ার্কার্স পার্টির সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য লুৎফুন নেসা খানের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে ১ লাখ ১১ হাজার ৯৫৪ ঋণখেলাপির কাছে পাওনা ছিল ৫৯ হাজার ১০৫ কোটি টাকা। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে এ সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ৭০ হাজার ৩৯০ ঋণখেলাপির কাছে পাওনা দাঁড়ায় ১ লাখ ২ হাজার ৩১৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা।

তিনি নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা দেশি-বিদেশি কারণের কথা উল্লেখ করেন, যাতে ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা আক্রান্ত হওয়ার ফলে ঋণখেলাপির সংখ্যা বেড়ে গেছে।

 

সেই সাথে মুস্তফা কামাল ভালো ঋণ গ্রহীতাদের বেছে না নেয়ার জন্য ব্যাংকগুলোকে দায়ী করেন।

 

ইসরাফিল আলমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, মূলধনের ঘাটতি থাকা কিছু ব্যাংকে সরকার ২০১৫-১৬ থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছর পর্যন্ত ১৩ হাজার ৬১২ কোটি ৬০ লাখ টাকা দিয়েছে।

 

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো গত বছর ৬ হাজার ১৬৩টি ঋণের বিপরীতে ১ হাজার ১৯৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা সুদ মওকুফ করেছে।

 

অগ্রণী ব্যাংক ২ হাজার ৮টি ঋণের বিপরীতে সর্বোচ্চ ৪৯৪ কোটি টাকা সুদ মওকুফ করে। সেই সাথে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ৬৬টি ঋণের বিপরীতে ৪৩৫ কোটি, রূপালী ব্যাংক ২০৩টি ঋণের বিপরীতে ১৩৪ কোটি, সোনালী ব্যাংক ১৪টি ঋণের বিপরীতে ৭৩ কোটি, জনতা ব্যাংক ২ হাজার ৪৭৩টি ঋণের বিপরীতে ৫৪ কোটি, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ১ হাজার ৩৮০টি ঋণের বিপরীতে ৪ কোটি ৩৫ লাখ ও বেসিক ব্যাংক ১৯টি ঋণের বিপরীতে ১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা সুদ মওকুফ করে।

 

এ সময়ে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক কোনো সুদ মওকুফ করেনি বলে জানান অর্থমন্ত্রী।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads