• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮

ছবি: সংগৃহীত

শারীরিক বিজ্ঞান

শুক্রাণু-ডিম্বাণু ছাড়াই ভ্রূণ

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৫ মে ২০১৮

জরায়ুর মধ্যে শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর নিউক্লিয়াসের মিলনের ফলে জাইগোট সৃষ্টি হয়। আর এই জাইগোট ক্রমাগত বিভক্ত হয়ে পরস্ফুিটনের মাধ্যমে ভ্রূণ তৈরি হয়। আক্ষরিক অর্থে এটাই হচ্ছে ভ্রূণ সৃষ্টির বিজ্ঞানীয় পদ্ধতি। তবে এই পদ্ধতিকে ভেঙে নতুন ইতিহাস তৈরি করতে চলছেন বিজ্ঞানীরা।

শুক্রাণু কিংবা ডিম্বাণু ছাড়াই ভ্রূণের প্রাথমিক চেহারা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তবে মজার বিষয় হচ্ছে আপাতত মান ভ্রূণ নয়, ইঁদুরের শরীর থেকে দু’ধরনের স্টেম সেল সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারের এই আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছেন নেদারল্যান্ডসের মাস্ত্রিচ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।

যদিও তাদের এই গবেষণা এখনো পুরোপুরি সক্ষম হয়নি। তবে তারা আশাবাদী, যদি এই গবেষণা নিয়মিত চালিয়ে যাতে পারেন, তাহলে আগামী ৩ বছরের মধ্যে ইঁদুরের পূর্ণাঙ্গ ভ্রূণ তৈরি করতে সক্ষম হবেন তারা। আর এই গবেষণা থেকে সাফল্য এলে ভবিষ্যতে বিভিন্ন ওষুধ পরীক্ষার কাজটি আরো মসৃণভাবে করা যাবে। এমনকি বন্ধ্যত্বের চিকিৎসার ক্ষেত্রেও খুলে যেতে পারে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার। 

যদি শুক্রাণু-ডিম্বাণু ছাড়া ইঁদুরের ভ্রূণ তৈরি করা হয়, তাহলে পরীক্ষাগারে মানুষের ভ্রূণ তৈরিও কি সম্ভব? এমন প্রশ্নকে পুরোপুরি উড়িয়ে না দিয়ে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ব্যাপারটা সম্ভব হতে পারে, তবে অন্তত আগামী দু’দশকের মধ্যে এমন কিছু ঘটছে না।

গবেষক দলের প্রধান, মাস্ত্রিচ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নিকোলাস রিভরন বলেছেন, ‘প্রায় সত্যিকারের ব্লাস্টোসিস্টের মতোই হচ্ছিল ব্যাপারটা। যদিও কোষগুলো খুব একটা সুবিন্যস্ত ছিল না। আশা করছি, আগামী তিন বছরে সেটা তৈরি করতে পারব। এই প্রথম গবেষণাগারে স্টেম সেল থেকে ভ্রূণ, নাড়ি সবটাই তৈরির পথে হেঁটেছিলাম আমরা।

‘তবে এই পদ্ধতি মানুষের ওপর প্রয়োগে নিজের কোনো বিশ্বাস নেই বলে জানিয়েছেন নিকোলাস সাফ। তিনি বলেন, মানুষ ক্লোন করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আর এই গবেষণায় সাফল্য এলে ভ্রূণের ওপর ওষুধ পরীক্ষার কাজে সুবিধা হবে।

কর্মপদ্ধতি

ইঁদুরের শরীর থেকে একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ের দু’ধরনের স্টেম সেল নিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। এই জাতীয় কোষগুলো থেকে সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তৈরি সম্ভব। দেখা যায়, ওই কোষগুলো মিলিত হয়ে তৈরি করেছে ভ্রূণেরই একটি প্রাথমিক চেহারা। জীববিদ্যার ভাষায় যাকে বলে ‘ব্লাস্টোসিস্ট’।

সেই ব্লাস্টোসিস্টকে স্ত্রী-ইঁদুরের গর্ভে স্থাপন করা হয়। শুক্রাণু-ডিম্বাণুর নিষেকে তৈরি সাড়ে ৩ দিন বয়সী একটি স্বাভাবিক ভ্রূণ থাকলে মাতৃজঠরে যা যা পরিবর্তন ঘটার কথা, এ ক্ষেত্রেও ঠিক তেমনই ঘটেছিল প্রাথমিকভাবে। তবে পুরোপুরি সফল হয়নি সেই প্রতিস্থাপন। তবু তাতেই আশার আলো দেখেছেন গবেষকরা।

ইন্ডিপেন্ডেন্ট অনলাইন এবং সাইন্স এক্স অবলম্বনে সায়মা ইয়াসমিন

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads