• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
রোজার নিয়ত নিয়ে  যা না জানলেই নয়

রমজানের রোজা রাখার জন্য নিয়ত করা ফরজ

সংরক্ষিত ছবি

ধর্ম

রোজার নিয়ত নিয়ে যা না জানলেই নয়

  • মিরাজ রহমান
  • প্রকাশিত ২০ মে ২০১৮

নিয়ত আরবি শব্দ- এর বাংলা অর্থ ইচ্ছা করা, মনস্থ করা বা সঙ্কল্প করা। নিয়ত শব্দটি বাংলা ভাষায়ও ব্যাপকভাবে প্রচলিত। হরহামেশাই আমরা বলি- এই নিয়ত করেছি বা ওই বিষয়ে আমার নিয়ত একদম পাক্কা। পরিভাষায় কোনো আমল-ইবাদত বা কোনো কাজ সম্পাদন করার ইচ্ছা বা সঙ্কল্পকেই নিয়ত বলা হয়। ইসলামী শরিয়তে নিয়তের গুরুত্ব অপরিসীম। কোনো ব্যক্তির আমল আল্লাহ মহানের কাছে ততক্ষণ পর্যন্ত গ্রহণীয় হয় না, যতক্ষণ পর্যন্ত তার নিয়ত সঠিক হয় না। রাসুল (সা.) বলেছেন, প্রত্যেক ব্যক্তির আমল নিয়তের ওপর নির্ভরশীল। প্রত্যেক ব্যক্তি তা-ই পাবে যা সে নিয়ত করবে। (বুখারি)

রমজানের রোজা রাখার জন্য নিয়ত করা ফরজ। নিয়ত না করলে রোজা শুদ্ধ হবে না। এ ছাড়া ইবাদতের সওয়াবও নিয়তের ওপর নির্ভরশীল। সুতরাং পবিত্র রমজানের রোজা রাখার ক্ষেত্রে নিয়ত একটি অতিগুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রশ্ন হলো- রোজা রাখার জন্য অন্তরে অন্তরে সঙ্কল্প করলেই কি নিয়ত হবে, নাকি মুখে আরবি বা অন্য কোনো ভাষার বাক্য উচ্চারণ করে নিয়ত করতে হবে? এ ব্যাপারে মোটামুটিভাবে সব ফিকাহবিদ ও ইসলামী স্কলার একমত, রমজানের রোজা পালনের ক্ষেত্রে মুখে উচ্চারণ করে আরবি বা অন্য কোনো ভাষায় নিয়তবাক্য পাঠ করতে হবে না। মনে মনে বা অন্তরে ইচ্ছা পোষণ করা বা সঙ্ককল্প লালন করাই নিয়ত হিসেবে পরিগণিত হবে। এ বিষয়ে আল্লামা ইবনুল কাইয়ুম (রহ.) বলেছেন, নিয়ত হচ্ছে কোনো কিছুর ইচ্ছা বা সঙ্কল্প। নিয়তের স্থান হচ্ছে অন্তর; জবান বা মুখের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।

রাত বাকি থাকতে থাকতেই ফরজ রোজার নিয়ত করা উত্তম। উম্মুল মুমিনিন হজরত হাফসা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি ফজরের আগে রোজা রাখার নিয়ত করবে না, তার রোজা (পূর্ণাঙ্গ) হবে না। (আবু দাউদ, ১/৩৩৩)

প্রতিদিনই আলাদাভাবে রোজার নিয়ত করতে হবে। এক দিনের নিয়ত পুরো রমজানের রোজার জন্য যথেষ্ট হবে না। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো- বর্তমান সময়ে রমজানের আগ মুহূর্তে নানা আয়োজনে বহু প্রতিষ্ঠান সাহরি ও ইফতারের সময়সূচির সঙ্গে রোজা রাখার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া ছেপে মুসলিম পরিবারের কাছে পৌঁছানোর মহান যুদ্ধে অবতীর্ণ হয় এবং এই প্রচারের একটি মৌলিক লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য থাকে নিজস্ব কোম্পানি বা পণ্যের প্রচার। বৃহত্তর দৃষ্টিতে এ কাজটিকে কল্যাণকর বিবেচনায় রাখা যেতে পারে। তবে এসব প্রচারপত্রে যেসব নিয়ত বা দোয়ার আরবি বা বাংলা উচ্চারণ উল্লেখ করা থাকে, হুবহু তা পাঠ করা বা মুখে উচ্চারণ করার কোনো বাধ্যবাধকতা ইসলামের বিধান হিসেবে প্রমাণিত নয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads