• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
কারা রোজা রাখবেন, কারা রাখবেন না

দশ শ্রেণির মানুষের মধ্যে সিয়াম পালনের শর্ত অনুপস্থিত

সংরক্ষিত ছবি

ধর্ম

কারা রোজা রাখবেন, কারা রাখবেন না

  • মিরাজ রহমান
  • প্রকাশিত ২১ মে ২০১৮

পবিত্র রমজান মাসের অন্যতম আমল-ইবাদত হচ্ছে সিয়াম সাধনা বা রোজা রাখা। প্রসঙ্গত রোজা রাখার ক্ষেত্রে প্রথম জানার বিষয় হচ্ছে, কারা রোজা রাখবেন আর কারা রাখবেন না অর্থ্যাৎ কাদের রোজা রাখতে হবে না বা না রাখলে সমস্যা নেই। ইসলামের বিধান হলো- মুসলিম, প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন, স্থায়ী ও শারীরিক-মানসিকভাবে সামর্থ্যবান প্রত্যেক মুসলিমের জন্য সিয়াম পালন বা রোজা রাখা ফরজ। যারা উল্লেখিত শর্তাবলির আওতাভুক্ত থাকবেন, তাদের অবশ্যই পবিত্র রমজান মাসের সিয়াম পালন করতে হবে। আর যাদের মধ্যে শর্তাবলি পাওয়া যাবে না, তাদের ওপর রমজানের রোজা রাখা ফরজ নয়। মুসলিম স্কলারদের ঐকমত্যে মোট দশ শ্রেণির মানুষের মধ্যে সিয়াম পালনের শর্ত অনুপস্থিত। তারা হলো— ১. কাফের বা অমুসলিম- কারণ তারা ইবাদত করার যোগ্যতা রাখে না। ২. অপ্রাপ্তবয়স্ক- অপ্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির জন্য বয়োপ্রাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত সিয়াম পালন ফরজ নয়। ৩. পাগল বা সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন নয় এমন ব্যক্তি- পাগল বলতে সাধারণত যার জ্ঞান-বুদ্ধি লোপ পেয়েছে, তাকে বোঝায়। যার মধ্যে ভালো-মন্দ পার্থক্য করার শক্তি থাকে না এমন ব্যক্তির জন্য সিয়াম পালন ফরজ নয়। ৪. অতিশয় বৃদ্ধ- এমন বয়স্ক মানুষ যে ভালো-মন্দ পার্থক্য করতে পারে না। একজন মানুষের মাঝ থেকে যখন ভালো-মন্দ পার্থক্য করার অনুভূতি চলে যায়, তখন সে শিশুর মতোই। ৫. যে সিয়াম পালনের সামর্থ্য রাখে না- রোগব্যাধি বা শারীরিকভাবে এমন অক্ষম ব্যক্তি, যার সিয়াম পালনের সামর্থ্য ফিরে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই- তাদের ওপরও রমজানের রোজা পালনের বিধান নেই। কারণ সে এই আমল-ইবাদত পালনের সামর্থ্য রাখে না। ৬. মুসাফির- মুসাফির ব্যক্তির ওপর রমজানের সিয়াম পালন না করা জায়েজ। তবে একটি কথা বিশেষভাবে মনে রাখা উচিত- কোনোভাবেই সফরকে যেন সিয়াম পালন না করার কৌশল হিসেবে ব্যবহার করা না হয়। ৭. যে রোগাক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ হওয়ার আশা রাখে- যেসব রোগাক্রান্ত ব্যক্তির ভবিষ্যতে বা পরবর্তী সময়ে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তার জন্য রমজানের রোজা পালন থেকে বিরত থাকার অনুমতি রয়েছে। ৮. ঋতুমতী নারী- ঋতুকালীন নারীর জন্য সিয়াম পালন জায়েজ নয় বরং নিষেধ। পরবর্তী সময়ে ছুটে যাওয়া রোজাগুলোর কাজা করতে হবে। ৯. গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী নারী- যদি গর্ভবতী বা দুগ্ধদানকারী নারী রোজা রাখার কারণে তার নিজের বা সন্তানের ক্ষতির আশঙ্কা হয়, তবে সে সিয়াম ভঙ্গ করতে পারবে এবং পরে নিরাপদ সময়ে সে সিয়ামের কাজা আদায় করে নেবে। ১০. অন্যকে বাঁচাতে গিয়ে সিয়াম ভেঙে ফেলতে বাধ্য ব্যক্তি পরবর্তী সময়ে ওই রোজাটির কাজা আদায় করবে।

 

 

 

 

 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads