• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
ইবাদতের বসন্তে ইবাদতমুখর কাটুক সারা দিন

ইবাদতের বসন্ত মৌসুম রমজান

সংরক্ষিত ছবি

ধর্ম

ইবাদতের বসন্তে ইবাদতমুখর কাটুক সারা দিন

  • মিরাজ রহমান
  • প্রকাশিত ২৩ মে ২০১৮

আমলের স্বর্ণপ্রহর পবিত্র রমজানুল মোবারক। ইবাদতের বসন্ত মৌসুম। মুসলিম মাত্রই পবিত্র এই মাসের আগমনে আমল-ইবাদতের প্রতি আগ্রহী হন এবং বছরের অন্যান্য মাসের তুলনায় বেশি আমল-ইবাদতে মনোযোগী থাকেন। এর নেপথ্যে যৌক্তিক কারণও রয়েছে। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুল (সা.) বলেছেন- যে ব্যক্তি ঈমান সহকারে ইখলাসের সঙ্গে রমজানের রোজা রাখে এবং ইবাদত করে, তার অতীতের পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হবে (বোখারি ও মুসলিম)। এ ছাড়া হাদিসে আরো বর্ণিত হয়েছে, যে ব্যক্তি এ মাসে কোনো ভালো কাজ করার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও সান্নিধ্য কামনা করে, সে অন্য মাসে কোনো ফরজ কাজ করার সমান সওয়াব লাভ করবে। আর এ মাসে কোনো ব্যক্তি যদি একটি ফরজ কাজ করে, সে অন্য সময়ে ৭০টি ফরজ আদায়ের নেকি লাভ করবে (মিশকাত)। সুতরাং প্রত্যেক মুমিন-মুসলমানের উচিত রমজান মাস এলে বেশি বেশি আমল-ইবাদতে মনোযোগী হওয়া। রমজান মাসে যেসব আমল বেশি করা যায় সেগুলো হলো- ১. সিয়াম পালন করা— ইসলামের পাঁচটি রুকনের অন্যতম একটি রুকন হলো সিয়াম। রমজান মাসে সিয়াম পালন করা ফরজ। ২. সময়মতো নামাজ আদায় করা— সিয়াম পালনের সঙ্গে সঙ্গে সময়মতো নামাজ আদায় করার মাধ্যমে জান্নাতে যাওয়ার পথ সুগম হয়। ৩. সহিহভাবে কোরআন শেখা ও তেলাওয়াত করা— রমজান মাসেই পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে। এ মাসের অন্যতম আমল হলো সহিহভাবে কোরআন শেখা ও তেলাওয়াত করা। ৪. সাহরি খাওয়া— সাহরি খাওয়ার মধ্যে বরকত রয়েছে এবং সিয়াম পালনে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল-বিধান। ৫. ইফতার করা ও করানো— ইফতার করা ও করানো ফজিলতপূর্ণ আমল। ৬. সালাতুত তারাবি পড়া— সালাতুত তারাবি পড়া এ মাসের অন্যতম আমল। ৭. সালাতুত তাহাজ্জুদ পড়া— রমজান মাসে সালাতুত তাহাজ্জুদ পড়ার মধ্যে অনেক সওয়াব ও মর্যাদা রয়েছে। যেহেতু সাহরি খাওয়ার জন্য উঠতে হয়, সেজন্য রমজান মাসে সালাতুত তাহাজ্জুদ আদায় করার বিশেষ সুযোগও রয়েছে। ৮. বেশি বেশি দান-সদকাহ করা— এ মাসে বেশি বেশি দান-সদকাহ করার জন্য চেষ্টা করতে হবে। ৯. সামর্থ্য থাকলে উমরা পালন করা— এ মাসে উমরা করলে একটি হজ আদায়ের সমান সওয়াব পাওয়া যায়। ১০. তওবা ও ইস্তেগফার করা— পবিত্র এই মাস তওবা করার উত্তম সময়। ১১. ইতিকাফ করা— রমজানের শেষ দশ দিন ইতিকাফ করার বিশেষ ফজিলত রয়েছে। ১২. লাইলাতুল কদরকে কদর করা- লাইলাতুল কদর তালাশ করা এবং এই রাতে ইবাদত করার বিশেষ ফজিলত রয়েছে। ১৩. সাদকাতুল ফিতরা দেওয়া— রমজান মাসের সিয়ামের ত্রুটি-বিচ্যুতি পূরণার্থে ফিতরা দেওয়া আবশ্যক।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads