• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
রমজানের কোন দিন কী দিবস?

রমজান আমল ইবাদতের মৌসুম

প্রতীকী ছবি

ধর্ম

রমজানের কোন দিন কী দিবস?

  • মিরাজ রহমান
  • প্রকাশিত ১০ জুন ২০১৮

রমজান ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাস। আমল ইবাদতের মৌসুম। এ মাসের অনেক বৈশিষ্ট রয়েছে। এ মাসটিতে আল্লাহ মহানের পক্ষ থেকে বিভিন্ন অহি, সহিফা ও আসমানি কিতাব নাজিল হয়েছে। পবিত্র কোরআনসহ অধিকাংশ আসমানি কিতাব এ মাসেই নাজিল হয়েছে বা নাজিল হওয়া শুরু হয়েছে। এ ছাড়াও এ মাসটি ইতিহাসের বহু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সাক্ষী। রমজান মাসে বিভিন্ন দিবস রয়েছে। চলুন জেনে নিই রমজান মাসের কোন দিন কী দিবস রয়েছে।

দশ রমজানে রসুল (সা.)-এর পরিবারে সদস্য ইমাম হাসান (রা.) জন্মগ্রহণ করেন। এদিনটিকে হজরত ইমাম হাসানের ভক্তবৃন্দ তার জন্মদিবস হিসেবে পালন করে থাকেন। ১২ রমজানে হজরত ঈসা (আ.)-এর ওপর ইঞ্জিল শরিফ নাজিল হয়। এদিনটিকে ইঞ্জিল কিতাব নাজিলের দিবস মানা হয়। ১৭ রমজানকে ঐতিহাসিক বদর দিবস বলা হয়। ইসলামে চিরস্মরণীয় ও গৌরবময় একটি অধ্যায় এই বদরযুদ্ধ। ৬২৪ খ্রিস্টাব্দে তথা দ্বিতীয় হিজরির রমজান মাসের ১৭ রমজান বদর নামক স্থানে ইসলামের প্রথম এ যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। ১৯ রমজানে আমিরুল মোমেনিন হজরত ইমাম আলী (রা.) শহীদ হন। রমজানের ২০ তারিখ অর্থাৎ ২০ রমজান পালিত হয় মক্কা বিজয় দিবস। এই দিবসটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হিজরতের অষ্টম বছরে ১০ হাজার মুসলিম সৈন্যের এক বাহিনী নিয়ে রসুল (সা.) মক্কা নগরী জয় করেছিলেন।

এ ছাড়া রমজানের শেষ দশকে রয়েছে লাইলাতুল কদর নামক একটি বিশেষ রজনী। এটি এমন একটি রাত যাকে এক হাজার মাসের চেয়েও উত্তম হিসেবে পবিত্র কোরআনে উল্লেখ রয়েছে। হাদিসে এসেছে, তোমরা রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাত্রিতে শবেকদর তালাশ করবে। সেই হিসেবে ২১, ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৯ রমজানের রাতে লাইলাতুল কদর হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায় এবং এই তারিখগুলোর প্রত্যেকটিই লাইলাতুল কদর হওয়ার সম্ভাবনাময়। ৬৫৮ হিজরির ২৫ রমজানে আইনে জালুতের যুদ্ধ ও তাতারি প্রতিরোধ সংঘটিত হয়। প্রত্যেক ২৫ রমজানে এ উপলক্ষে একটি দিবস পালন করা হয়। ২৭ রমজান অনেকেই পালন করেন মুসলিমদের একটি বিজয় দিবস। সেটা হলো— হাত্তিনের যুদ্ধে জয়লাভ। ইউরোপীয় ক্রুসেডারদের ৮৮ বছরের নিষ্পেষণ থেকে প্রায় বিনা রক্তপাতে জেরুজালেম পুনরুদ্ধার করেছিলেন সুলতান সালাহউদ্দিন আইয়ুবি। জেরুজালেম বিজয়ের পথের প্রধানতম নিয়ামক হাত্তিনের যুদ্ধ। এই যুদ্ধে তিনি জয়লাভ করেছিলেন পবিত্র রমজান মাসে। ২৭ রমজান সারারাত ইবাদত বন্দেগিতে কাটিয়ে দেওয়ার পর ভোরে শুরু হয় আক্রমণ এবং মুসলিম সেনাবাহিনী জয়লাভ করে। এ ছাড়া রমজানের শেষ দশকে আরো একটি দিবস রয়েছে। আর সেটা হলো— আল-কুদস দিবস ও জুমাতুল বিদা। রমজানের শেষ শুক্রবার বিশ্ব স্বাধীনতা ও মুক্তির প্রতীক ‘আল কুদস’ দিবস। প্রতিবছর রমজান মাসের শেষ শুক্রবার সারা বিশ্বের মুসলমানরা বাইতুল মুকাদ্দাসে পবিত্র ভূমি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে মুক্ত করতে নতুন করে শপথ গ্রহণের জন্য এই দিবসটি পালন করে থাকেন। রমজানের ‘জুমাতুল বিদা’ তথা শেষ শুক্রবারকে আল কুদস দিবসও বলা হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads