• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪২৯
আল্লাহতায়ালার প্রথম ঐশী নির্দেশ ‘পড়’

ইসলামের প্রথম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো জ্ঞান

সংরক্ষিত ছবি

ধর্ম

আল্লাহতায়ালার প্রথম ঐশী নির্দেশ ‘পড়’

  • মিরাজ রহমান
  • প্রকাশিত ১৭ জুলাই ২০১৮

পবিত্র কোরআনের সুরা আলাকের প্রথম পাঁচ আয়াতে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেছেন, ‘পড়, তোমার প্রতিপালকের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন। মানুষকে তিনি সৃষ্টি করেছেন রক্তপিণ্ড থেকে। পড়, তোমার মহিমান্বিত প্রতিপালকের নামে, কলমের সাহায্যে যিনি জ্ঞান দান করেছেন। মানুষকে শিখিয়েছেন, যা সে জানত না।’ কোরআন নাজিলের ধারাক্রম অনুযায়ী সুরা আলাক নাজিল হওয়া প্রথম সুরা এবং এই সুরার ১-৫নং আয়াত নাজিল হওয়া প্রথম আয়াত। সুতরাং এ কথা নিশ্চিতভাবে বলা যায়, সুরা আলাকের প্রথম আয়াতের প্রথম শব্দটির মাধ্যমে আল্লাহ মহান তার বান্দার প্রতি ‘প্রথম ঐশী নির্দেশ’ প্রদান করেছেন। আর সেটা হলো— ‘পড়’। পড়ার অর্থ হলো অধ্যয়ন করা। অধ্যয়ন করা মানে গবেষণার মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করা। সুতরাং ইসলামের প্রথম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো জ্ঞান। যাকে ইসলামী পরিভাষায় ‘ইলম’ বলা হয়। যেহেতু এই আয়াতটি নাজিলের মাধ্যমে রসুল (সা.)-এর নবুয়তি জীবনের সূচনা ঘটেছে, তার মানে হলো জ্ঞানার্জনের নির্দেশনা প্রদানের মাধ্যমেই রসুলকে (সা.) নবুয়ত দান করা হয়েছিল। 

ইসলামে ইলম বা জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব অপরিসীম। হাদিসের ভাষ্য হলো— প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর ওপর জ্ঞান অর্জন করা আবশ্যক (ইবনে মাজাহ)। ইসলামী পরিভাষায় কোরআন-হাদিসের জ্ঞানকে ‘ইলম’ বলা হলেও জাগতিক ও দ্বীনি জ্ঞানের মধ্যে কোনো পার্থক্যের রেখা টানেনি ইসলাম। প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর ওপর কোরআন-হাদিসের ‘ইলম’ শিক্ষা করা ফরজ হওয়ার মানে জ্ঞান-বিজ্ঞানের অন্য কোনো শাখায় ব্যুৎপত্তি অর্জন করা নিষেধ বা নিন্দনীয় নয়। বরং জ্ঞানার্জনকে ইসলাম সর্বাবস্থায় উৎসাহিত করেছে। এমনকি জ্ঞানার্জনকে ইবাদত গণ্য করা হয়েছে। আল্লাহতায়ালা প্রথম মানুষ হজরত আদমকে (আ.) সর্বপ্রথম জ্ঞান দান করেছেন। কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর আল্লাহ আদমকে সব বস্তুর নাম শিক্ষা দেন’ (বাকারা, আয়াত-৩১)।

অজ্ঞতার বিরুদ্ধে ইসলামই সর্বপ্রথম যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। মানবজাতির মহান শিক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া মহানবী (সা.) নবুয়ত লাভের পর ‘কাবা শরিফ’কে সর্বপ্রথম শিক্ষায়তন হিসেবে ব্যবহার করেছেন। এরপর মক্কা নগরীর সাফা পাহাড়ের পাদদেশে আরকাম বিন আবুল আরকামের বাড়িতে ‘দারুল আরকাম’ নামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। সুতরাং আল্লাহর খাঁটি বান্দা হতে চাইলে, রসুলের (সা.) সত্য অনুসারী হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করতে চাইলে জ্ঞানার্জনের কোনো বিকল্প নেই।

লেখক : সাংবাদিক

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads