• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
আল্লাহর প্রতি ঈমান

কোনো মানুষ আল্লাহর প্রতি ঈমান না আনা পর্যন্ত মুমিন হতে পারবে না

সংরক্ষিত ছবি

ধর্ম

আল্লাহর প্রতি ঈমান

  • মিরাজ রহমান
  • প্রকাশিত ২২ জুলাই ২০১৮

ঈমানের প্রথম রোকন হলো ‘আমানতু বিল্লাহ’ অর্থাৎ আল্লাহ মহানের প্রতি ঈমান আনা বা বিশ্বাস স্থাপন করা। মুমিন হওয়ার প্রথম ও প্রধান শর্ত হলো আল্লাহর প্রতি ঈমান। আল্লাহর প্রতি ঈমান না থাকলে মুসলমানের কোনো আমল-ইবাদত কবুল হবে না। আল্লাহর প্রতি ঈমান কথাটি মোট চারটি বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করে। প্রথম বিষয়টি হলো— আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাস স্থাপন করা। মহান আল্লাহ ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন— হূদয়ের মণিকোঠায় এই বিশ্বাস দৃঢ় রাখা। দ্বিতীয় বিষয়টি হলো— রুবুবিয়াত, অর্থাৎ রব হিসেবে আল্লাহকে বিশ্বাস ও স্বীকার করা এবং মান্য করা। পবিত্র কোরআনের সুরা নাজিয়াতের ২৪নং আয়াতে আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, ‘আমিই তোমাদের সর্বোচ্চ পালনকর্তা।’ আল্লাহ মহান সৃষ্টিকর্তা এবং তিনিই সৃষ্টির মালিক। তিনিই একমাত্র প্রতিপালক। সব আদেশ-নির্দেশের অধিপতি— এমন বিশ্বাস রাখতে হবে। তৃতীয় বিষয়টি হলো- উলুহিয়াত, অর্থাৎ ইলাহ বা উপাস্য হিসেবে আল্লাহকে বিশ্বাস ও স্বীকার করা এবং মান্য করা। পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারার ১৬৩নং আয়াতে আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, ‘আর তোমাদের ইলাহ এক ও অদ্বিতীয়। তিনি ছাড়া অন্য কোনো উপাস্য নেই। তিনি করুণাময় ও দয়ালু।’ চতুর্থ বিষয়টি হলো— আল্লাহ মহানের মহিমান্বিত নাম ও গুণাবলিকে বিশ্বাস ও স্বীকার করা। পবিত্র কোরআনের সুরা আরাফের ১৮০নং আয়াতে এ মর্মে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর আল্লাহর আছে সব উত্তম নাম। সুতরাং সেসব নামেই তাকে ডাক। আর তাদের বর্জন কর, যারা তাঁর নামের ব্যাপারে বাঁকা পথে চলে।’ তাঁর গুণাবলির ব্যাপারে সুরা আশ শুরার ১১নং আয়াতে ইরশাদ করা হয়েছে, ‘কোনো কিছুই তার অনুরূপ নয়। তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা।’ উল্লিখিত চারটি বিষয়ে সমন্বিতভাবে বিশ্বাস স্থাপন ও স্বীকার করার নামই হলো আল্লাহর প্রতি ঈমান। কোনো মানুষ এভাবে আল্লাহর প্রতি ঈমান না আনা পর্যন্ত মুমিন হতে পারবে না। রসুল (সা.) একদা আবু কাসেম গোত্রের প্রতিনিধি দলকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমরা জান! আল্লাহর ওপর ঈমান আনার অর্থ কী? তারা বলল, আল্লাহ ও তার রসুলই ভালো জানেন। রসুল (সা.) বললেন, এর অর্থ হলো— আল্লাহ ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই এবং মোহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রসুল— এই মর্মে সাক্ষ্য দেওয়া এবং নামাজ আদায় করা, জাকাত দেওয়া ও রমজানের রোজা রাখা (মেশকাত)।      

লেখক : আলেম ও সাংবাদিক

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads