• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
নামাজ বা সালাতের পরিচয়

ইসলামে নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম

সংরক্ষিত ছবি

ধর্ম

নামাজ বা সালাতের পরিচয়

  • মিরাজ রহমান
  • প্রকাশিত ২৩ জুলাই ২০১৮

নামাজ— ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের গুরুত্বপূর্ণ দ্বিতীয় স্তম্ভ। ইসলাম ধর্মের প্রধান ইবাদত নামাজ। নামাজ হলো মুসলমানের প্রার্থনার জায়নামাজ। কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম বান্দার নামাজের হিসাব নেওয়া হবে। ‘নামাজ’ শব্দটি ফারসি। এর আরবি মূল শব্দ ‘সালাত’। বাংলাদেশসহ এশিয়া মহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নামাজ শব্দটির প্রচলন বেশি। ‘সালাত’ শব্দের অর্থ দোয়া, রহমত ও ক্ষমা প্রার্থনা। ইসলামী পরিভাষায়, আল্লাহ মহান নির্দেশিত বিশেষ ইবাদত সালাত, যা রসুল (সা.) প্রদর্শিত পদ্ধতি অনুসারে তাকবিরে তাহরিমার মাধ্যমে শুরু হয়ে রুকু-সিজদাসহ নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে আদায় এবং সালামের মাধ্যমে শেষ করা হয় (কাওয়াইদুল ফিকহ)। নামাজ বা সালাত হলো প্রভুর সঙ্গে বান্দার কথোপকথন। স্রষ্টার সঙ্গে সৃষ্টির সংলাপ।

ইসলামে নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। রসুলের (সা.) নবুয়তের ১১তম বছর ‘মিরাজের রাতে’ উম্মতে মোহাম্মদীর ওপর নামাজের বিধান ফরজ হয়। মিরাজের রাতে রসুলকে (সা.) উপহার হিসেবে নামাজ দান করা হয়। এজন্য নামাজকে মুমিনের মিরাজও বলা হয়। প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক, বুদ্ধিমান এবং পবিত্র মুসলিম নর-নারীর ওপর নির্ধারিত সময়ে প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। নামাজের ইহলৌকিক ও পারলৌকিক বহু উপকারিতা রয়েছে। আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, নিশ্চয়ই ‘সালাত’ অশ্লীল ও মন্দকাজ থেকে বিরত রাখে। আল্লাহর স্মরণই সর্বশ্রেষ্ঠ। তোমরা যা কর আল্লাহ তা জানেন। (সুরা আনকাবুত, আয়াত ৪৫)

নামাজ ত্যাগ করা কবীরা গুনাহ। হজরত জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুল (সা.) ইরশাদ করেন, মুমিন ও কাফেরের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে নামাজ (বোখারি)। অন্য হাদিসে রসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি নামাজ আদায় করে না, দ্বীন ইসলামে তার কোনো অংশ নেই (মুসলিম)।

সালাত একটি ফরজ ইবাদত— কোরআন, হাদিস ও ইজমা দ্বারা প্রমাণিত। নামাজকে দ্বীন ইসলামের খুঁটি বলা হয়েছে। খুঁটি  ছাড়া যেমন ঘরের অস্তিত্ব কল্পনা করা সম্ভব নয়, তেমনি নামাজ ছাড়া দ্বীন পরিপূর্ণ হয় না। হজরত উবাদা ইবনে সামির (রা.) বলেন, রসুল (সা.) সাতটি অসিয়ত করেছেন, যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি হলো- ‘তোমরা আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক কর না। যদিও তোমাকে টুকরা টুকরা করা হয় বা আগুনে নিক্ষেপ করা হয় আর ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ ত্যাগ কর না। কারণ যে ইচ্ছাকৃত নামাজ ছেড়ে দেয় সে ইসলাম থেকে বের হয়ে যায়।’

লেখক : আলেম ও সাংবাদিক

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads