• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
রসুলদের পরিচয় ও সংখ্যা

রসুল আরবি শব্দ যার অর্থ বার্তাবাহক

ছবি: সংগৃহীত

ধর্ম

রসুলদের পরিচয় ও সংখ্যা

  • মিরাজ রহমান
  • প্রকাশিত ৩১ জুলাই ২০১৮

রসুল আরবি শব্দ। ‘রিসালাতুন’ আরবি মূলধাতু থেকে নির্গত। অর্থ বার্তাবাহক। পারিভাষিক অর্থে রসুল হলেন আল্লাহ প্রেরিত স্বতন্ত্র কিতাব বা শরিয়তপ্রাপ্ত বার্তাবাহী ব্যক্তিত্ব। রসুল বলতে তাদেরই বোঝানো হয়, যারা আল্লাহর কাছ থেকে স্বতন্ত্র কিতাব বা পৃথক শরিয়ত-বিধানাবলি প্রাপ্ত হয়েছেন। একটি বর্ণনায় পাওয়া যায়, কিতাব বা সহিফাপ্রাপ্ত রসুলের সংখ্যা আটজন, বাকি ৩০৫ রসুলের প্রতি স্বতন্ত্র কোনো কিতাব নাজিল হয়নি। রসুল হচ্ছেন এমন প্রেরিত পুরুষ যিনি তার সম্প্রদায়ের কাছে নতুন শরিয়তের বার্তা প্রচার করেছেন। রসুলের প্রচারিত শরিয়ত খোদ রসুলের জন্য নতুন হতেও পারে আবার নাও হতে পারে। যেমন— তাওরাত, জাবুর, ইঞ্জিল ও কোরআন প্রভৃতি আসমানি কিতাব রসুল ও সম্প্রদায় উভয়ের জন্যই নতুন ছিল। পক্ষান্তরে হজরত ইসমাইল (আ.) প্রচারিত শরিয়ত তার জন্য নতুন ছিল না, কিন্তু জুরহুম সম্প্রদায়ের জন্য নতুন ছিল। কারণ জুরহুম সম্প্রদায়ের কাছে আগে কখনো ওই শরিয়ত পৌঁছেনি (মারেফুল কোরআন)। উল্লেখ্য, হজরত ইসমাইল (আ.)-এর রসুল হওয়ার বিষয়টি পবিত্র কোরআন থেকে স্বীকৃত। আল্লাহ মহান ইরশাদ করেছেন, ‘স্মরণ কর, এই কিতাবে ইসমাইলের কথা; সে তো ছিল প্রতিশ্রুতি পালনে সত্যাশ্রয়ী এবং সে ছিল রসুল নবী’ (সুরা মারইয়াম, আয়াত-৫৪)।

সব রসুলই নবী, কিন্তু সব নবী রসুল নন। অর্থাৎ সব রসুলই নবী, কিন্তু সব নবী রসুল ছিলেন না। যার ওপর আল্লাহর পক্ষ থেকে কিতাব নাজিল হয়েছে, নতুন শরিয়তপ্রাপ্ত হয়েছেন যারা; তাদেরই রসুল বলা হয়, পক্ষান্তরে নবীর জন্য কিতাব বা শরিয়ত শর্ত নয়। আল্লাহ মানবজাতির নিকট বহু নবী-রসুল প্রেরণ করেছেন। তাদের মধ্যে পঁচিশ (মতান্তরে ছাব্বিশ) জনের নাম পবিত্র কোরআনে উল্লেখ আছে। কোরআনে উল্লিখিত ২৫ জন নবী-রসুলের মধ্যকার চার জনকে আমরা রসুল হিসেবে জানি এবং জানি তাদের কার ওপর কী কী আসমানি কিতাব নাজিল হয়েছিল। আর এই সূত্রটিই সবচেয়ে বেশি প্রসিদ্ধ এবং প্রচলিত। নাজিলকৃত আসমানি কিতাবের সংখ্যা সর্বসাকল্যে ১০৪। হজরত মুসা (আ.)-এর ওপর তাওরাত, হজরত দাউদ (আ.)-এর ওপর জাবুর, হজরত ইসা (আ.)-এর ওপর ইঞ্জিল এবং হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর ওপর কোরআন প্রধান প্রধান আসমানি কিতাব হিসেবে নাজিল হয়েছে। বাকি ১০০ খানা সহিফার মধ্যে ১০ খানা নাজিল হয়েছে হজরত আদম (আ.)-এর ওপর। ৫০ খানা নাজিল হয়েছে হজরত শীস (আ.)-এর ওপর। ৩০ খানা নাজিল হয়েছে হজরত ইদরিস (আ.)-এর ওপর এবং ১০ খানা নাজিল হয়েছে হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর উপর (সিরাত বিশ্বকোষ)।

লেখক : আলেম ও সাংবাদিক

 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads