• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
নবী-রসুলদের প্রতি ঈমান

ঈমানের অন্যতম রোকন হলো নবী-রসুলদের প্রতি ঈমান আনা

প্রতীকী ছবি

ধর্ম

নবী-রসুলদের প্রতি ঈমান

  • মিরাজ রহমান
  • প্রকাশিত ০৬ আগস্ট ২০১৮

ঈমানের অন্যতম রোকন হলো নবী-রসুলদের প্রতি ঈমান আনা বা বিশ্বাস স্থাপন করা। নবী-রসুলদের ওপর ঈমান আনার প্রকৃত অর্থ হলো- যেসব নবী-রসুলের নাম জানা যায় অথবা কোরআনে বা অন্য কোনো আসমানি কিতাবে উল্লেখ রয়েছে তাদের প্রতি এবং যাদের নাম উল্লেখ নেই বা যাদের নাম জানা যায় না সবার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা। এ কথার প্রতিও বিশ্বাস স্থাপন করা যে, সব নবী-রসুলের প্রকৃত নাম ও প্রকৃত সংখ্যা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ জানে না। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, আর আমি তোমার পূর্বে অনেক রসুল পাঠিয়েছি। তাদের মধ্যে কারো কারো কাহিনী আমি তোমার কাছে বর্ণনা করেছি আর কারো কারো কাহিনী বর্ণনা করিনি (সুরা গাফের, আয়াত-৭৮)। আরো ইরশাদ হয়েছে, আর এমন কোনো জাতি নেই যার কাছে সতর্ককারী আসেনি (সুরা ফাতির, আয়াত-২৪)।

সব নবী-রসুলদের ওপর সমানভাবে বিশ্বাস করা। কারো ওপর বেশি করা আবার কাউকে কম বিশ্বাস করা ঠিক নয়। এ আয়াতের ব্যাখ্যায় ইমাম তাবারি (রহ.) বলেন, নাসারারা ঈসা (আ.) এবং মুহাম্মদের (সা.) ব্যাপারে বিশ্বাসের ক্ষেত্রে কমবেশি করে। ইহুদিরা মুসা (আ.) এবং তার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী নবীদের প্রতি বিশ্বাসে পার্থক্য রাখে- এমনটা ঠিক নয় (তাফসিরে তাবারি)। মূল কথা হলো- বিশ্বাসের ক্ষেত্রে কোনো পার্থক্য বা তারতম্য করা যাবে না। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, নিশ্চয় যারা আল্লাহ ও তার রসুলদের সঙ্গে কুফরি করে এবং আল্লাহ ও তার রসুলদের মধ্যে পার্থক্য করতে চায় এবং বলে, আমরা কতককে বিশ্বাস করি আর কতকের সঙ্গে কুফরি করি এবং তারা এর মাঝামাঝি একটি পথ গ্রহণ করতে চায়, তারাই প্রকৃত কাফির এবং আমি কাফিরদের জন্য প্রস্তুত করেছি অপমানকর আজাব (সুরা নিসা, আয়াত-১৫০-১৫১)।

নবী-রসুলদের ব্যাপারে এও বিশ্বাস রাখতে হবে যে, প্রত্যেক নবী-রসুল তার ওপর অর্পিত আমানত যথার্থরূপে পৌঁছে দিয়েছেন বা তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পূর্ণভাবে পালন করেছেন। এছাড়া নবী-রসুলদের আনুগত্য করা ও তাদের বিরুদ্ধাচরণ না করাও ফরজ। কারণ নবী-রসুলদের আনুগত্য প্রকারান্তরে আল্লাহতায়ালারই আনুগত্য। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, যে রসুলের আনুগত্য করল, সে আল্লাহরই আনুগত্য করল (সুরা ইমরান, আয়াত-৮০)। নবী-রসুলদের ব্যাপারে প্রত্যেক মুমিন-মুসলমানের এটাও বিশ্বাস রাখা জরুরি যে, ইলম বা জ্ঞান ও আমল-ইবাদতের বিচার-বিবেচনায় নবী-রসুলরা সমগ্র মনুষ্যকুলের মধ্যে সর্বশীর্ষে অবস্থানকারী ব্যক্তিত্ব। প্রত্যেক নবী-রসুল ছিলেন সর্বোচ্চ সত্যবাদী এবং সুন্দর চরিত্রের অধিকারী মানুষ। আল্লাহতায়ালা তাদের এমন বিশেষ মর্যাদায় ভূষিত করেছেন, যা অন্য কোনো মানুষকে দান করা হয়নি। মহান আল্লাহ নবী-রসুলদের মিথ্যা, আমানতের খিয়ানত এবং ছোট-বড় সব গুনাহ থেকে সুরক্ষিত ও পবিত্র রেখেছেন (আল ফিকহুল আকবার)।

 

মিরাজ রহমান

লেখক : আলেম ও সাংবাদিক

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads