• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
জিহ্বার হেফাজত করা জরুরি

জিহ্বার ক্ষতির পরিধি ব্যাপক এবং তার পরিণতিও বড় ভয়াবহ

সংরক্ষিত ছবি

ধর্ম

জিহ্বার হেফাজত করা জরুরি

  • প্রকাশিত ১০ আগস্ট ২০১৮

কোন কথাটি ভালো এবং কোনটি মন্দ, কোন ক্ষেত্রে কথা বলা যাবে এবং কখন জিহ্বাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে- এসব বিষয় সঠিকভাবে চিহ্নিত করা বেশ কঠিন। তদুপরি এসব বিষয়ে অবগতি লাভের পরও তার ওপর আমল করা কঠিন। মানুষের অঙ্গসমূহের মধ্যে জিহ্বাই সর্বাপেক্ষা অবাধ্যতা করে থাকে। কেননা, এই জিহ্বা অতি সহজেই সঞ্চালন করা যায় এবং এতে বিন্দুমাত্র কষ্ট হয় না। মানুষ এই জিহ্বার ক্ষতিকে মামুলি মনে করে এর থেকে বেঁচে থাকার ব্যাপারে বড়ই অবহেলা করে থাকে। অথচ এই জিহ্বার মাধ্যমেই শয়তান মানুষকে বিপথগামী করে থাকে।

জিহ্বার ক্ষতির পরিধি ব্যাপক এবং তার পরিণতিও বড় ভয়াবহ। এর থেকে আত্মরক্ষার একমাত্র উপায় হলো নীরব থাকা। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে সুফিয়ানের (রা.) পিতা বর্ণনা করেন, একবার আমি রসুল পাক (সা.)-এর খেদমতে আরজ করলাম, হে আল্লাহর রসুল (সা.) আমি কোন বিষয় থেকে বেঁচে থাকব? জবাবে তিনি জিহ্বার দিকে ইশারা করে বললেন, এটা থেকে বেঁচে থাক।

হজরত উকবা বিন আমের (রা.) বলেন, একবার আমি রসুল (সা.)-এর খেদমতে আরজ করলাম, নাজাতের উপায় কী? তিনি (সা.) ইরশাদ করলেন, জিহ্বাকে নিয়ন্ত্রণে রাখ, তোমার ঘর যেন তোমার জন্য যথেষ্ট হয় (অর্থাৎ ঘর হতে বের হইও না) এবং নিজের গুনাহের জন্য (অনুশোচনার) অশ্রু বর্ষণ কর।

আল্লাহর হাবিব (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আমাকে জিহ্বা এবং লজ্জা স্থানের নিশ্চয়তা দেবে, আমি তাকে জান্নাতের নিশ্চয়তা দেব। (বোখারি)। অন্য হাদিসে আছে, যে ব্যক্তি নিজের উদর, লজ্জাস্থান ও জিহ্বার ক্ষতি হতে বেঁচে থাকে, সেই ব্যক্তি সর্বাধিক অনিষ্ট থেকে নিরাপদ থাকে। কেননা, মানুষ ব্যাপকভাবে এই তিনটি অঙ্গের খায়েশের কারণেই বিপদগামী হয়ে থাকে।

একবার নবী করিম (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করা হলো, কোন বিষয়ের কারণে মানুষ অধিক পরিমাণে জান্নাতে যাবে? জবাবে তিনি (সা.) বলেন, আল্লাহর ভয় ও সচ্চরিত্রতার কারণে। পুনরায় আরজ করা হলো, সেই বিষয়টিও বলে দিন যার কারণে মানুষ জাহান্নামে যাবে। ইরশাদ হলো, দুটি খালি বস্তুর কারণে- মুখ ও লজ্জাস্থান। একদা হজরত আবদুল্লাহ সকাফী (রা.) নবীপাক (সা.)-এর খেদমতে আরজ করলেন, হে আল্লাহর রসুল (সা.) আপনি আমার সম্পর্কে কোন বিষয়টি অধিক আশঙ্কা করছেন? জবাবে রসুলপাক (সা.) স্বীয় জিহ্বা মোবারক স্পর্শ করে বললেন, এটা সম্পর্কে। (নাসাঈ)। হজরত মোয়ায বিন জাবাল (রা.) রসুলপাক (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করলেন, সর্বোত্তম আমল কোনটি? জবাবে রসুলপাক (সা.) নিজের জিহ্বা মোবারক বের করে উহার ওপর আঙুল স্থাপন করলেন।

এম এম আবু দাউদ

আলেম

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads