• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
আরশের ছায়া

আরশ হলো আল্লাহ পাকের সবচেয়ে বড় সৃষ্টি

ধর্ম

আরশের ছায়া

  • প্রকাশিত ১২ আগস্ট ২০১৮

এম এম আবু দাউদ

আরশ হলো মহান আল্লাহর সিংহাসন, যার ওপর তিনি সমাসীন আছেন। এই আরশ হলো আল্লাহ পাকের সবচেয়ে বড় সৃষ্টি। রসুল (সা.) বলেন, কুরসির তুলনায় সাত আসমান-জমিন হলো ময়দানে পড়ে থাকা একটি চুড়ির মতো। আর আরশের তুলনায় কুরসি হলো ওই ধরনের একটি চুড়ির মতো। কুরসি সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, ‘তাঁর কুরসি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী পরিব্যাপ্ত।’ এই মহা আরশের রয়েছে বিশেষ পায়া বা প্রান্ত। নবী করিম (সা.) বলেন, নবীদের মধ্যে একজনকে অপরের ওপর প্রাধান্য দিয়ো না; যেহেতু কিয়ামতের দিন মানুষ মূর্ছিত হয়ে পড়বে। অতঃপর আমি সর্বপ্রথম কবর থেকে উঠে দেখব, হজরত মুসা (আ.) আরশের পায়াগুলোর একটি পায়া বা প্রান্ত ধরে আছেন।

মহান আল্লাহ বলেন, তুমি ফেরেশতাদের দেখতে পাবে যে, ওরা আরশের চারপাশ ঘিরে তাদের প্রতিপালকের প্রশংসা ও মহিমা ঘোষণা করছে। অর্থাৎ যারা আরশ ধারণ করে আছে এবং যারা এর চারপাশ ঘিরে আছে, তারা তাদের প্রতিপালকের পবিত্রতা ও মহিমা প্রশংসার সঙ্গে ঘোষণা করে এবং মুমিনদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে বলে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার দয়া ও জ্ঞান সর্বব্যাপী; অতএব যারা তওবা করে ও তোমার পথ অবলম্বন করে, তুমি তাদের ক্ষমা কর এবং জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা কর’ (সুরা মুমিন)।

রসুল (সা.) বলেছেন, কিয়ামতের দিন লোকেরা বিশ্বজাহানের প্রতিপালকের সামনে যখন দণ্ডায়মান হবে, তখন তাদের মধ্যে অনেকে নিজেদের ঘামে তার অর্ধেক কান পর্যন্ত ডুবে যাবে। তিনি বলেন, ‘কিয়ামতের দিন সূর্যকে মানুষের এত কাছে করে দেওয়া হবে যে, তার মধ্যে এবং সৃষ্টজীবের মধ্যে মাত্র এক মীলের ব্যবধান থাকবে।’ মিক্বদাদ থেকে বর্ণনাকারী সুলাইম বিন আমের বলেন, আল্লাহর কসম! আমি জানি না, নবী (সা.) ‘মীল’ শব্দের কী অর্থ নিয়েছেন, জমিনের দূরত্ব, নাকি সুরমাদানির শলাকা যা দিয়ে চোখে সুরমা লাগানো হয়? কিয়ামতের দিন মানুষের প্রচণ্ড ঘাম হবে। মানুষ নিজ নিজ আমল অনুযায়ী ঘামে ডুবতে থাকবে। তাদের ঘাম জমিনে সত্তর হাত পর্যন্ত নিচে যাবে। আর তাদের মুখ পর্যন্ত ঘামে নিমজ্জিত থাকবে। এমনকি কান পর্যন্তও।

বলা বাহুল্য, কিয়ামতের সেই কঠিন রৌদ্রতপ্ত দিনে ছায়ার প্রয়োজন হবে। কিন্তু এত বিশাল আরশ হওয়ার পরও সবার ভাগ্যে তার ছায়া জুটবে না। যদিও আরশ সব সৃষ্টির ঊর্ধ্বে, তবু মহান আল্লাহর খাস সৃষ্টি হবে সে ছায়া। যেমন— সেদিন সাদকার ছায়া হবে এবং প্রত্যেক সাদকাকারী সেই ছায়ায় অবস্থান করবে। আল্লাহর রসুল (সা.) বলেন, ‘সব লোকের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রত্যেক মানুষ নিজ সাদকার ছায়াতলে অবস্থান করবে।’

 

লেখক : আলেম

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads