• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪২৯
জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিনের ফজিলত

জিলহজ মাসের প্রথম দশকে রয়েছে আরাফা ও কোরবানির দিন

সংগৃহীত ছবি

ধর্ম

জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিনের ফজিলত

  • এম এম আবু দাউদ
  • প্রকাশিত ১৭ আগস্ট ২০১৮

ইসলামে যত মর্যাদাবান ও ফজিলতপূর্ণ দিবস আছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিন। এ প্রসঙ্গে নবী করিম (সা.) বলেন, ‘জিলহজের প্রথম দশ দিন হলো দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ দিন। এ দশ দিনে নেক আমল করার মতো প্রিয় আল্লাহর নিকট আর কোনো আমল নেই। এমনকি আল্লাহর পথে জিহাদও নয়।’ তবে ওই ব্যক্তির কথা আলাদা, যে তার প্রাণ ও সম্পদ নিয়ে আল্লাহর রাস্তায় শহীদ হয়ে গেছে। এ সময়ে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের মহত্ত্ব ঘোষণার উদ্দেশ্যে মসজিদ, বাড়ি-ঘর, রাস্তাঘাট, বাজারসহ সর্বত্র উচ্চ আওয়াজে তাহলীল (লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু), তাকবির (আল্লাহু আকবার), তাহমীদ (আল-হামদুলিল্লাহ) বেশি করে পাঠ করা সুন্নত।

জিলহজ মাসের প্রথম দশকে রয়েছে আরাফা ও কোরবানির দিন। আর এ দুটো দিনের রয়েছে অনেক বড় মর্যাদা। যেমন হাদিসে এসেছে— আরাফার দিন আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের এত অধিক সংখ্যক মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন, যা অন্য দিনে দেন না। তিনি এ দিনে বান্দাদের নিকটবর্তী হন ও তাদের নিয়ে ফেরেশতাদের কাছে গর্ব করে বলেন— ‘তোমরা কি বলতে পার আমার এ বান্দাগণ আমার কাছে কী চায়?’ আরাফার (জিলহজ মাসের নবম তারিখ) দিনটি ক্ষমা ও মুক্তির দিন। এ দিনে সওম পালন করলে তা দু’বছরের গুনাহের কাফফারা হিসেবে গণ্য হয়। রসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ পাকের কাছে সবচেয়ে উত্তম দিন হলো কোরবানির দিন, তারপর কোরবানি পরবর্তী মিনায় অবস্থানের দিনগুলো।’

রমজানের শেষ দশকের রাতগুলো সবচেয়ে বেশি ফজিলতপূর্ণ। কারণ, তাতে লাইলাতুল কদর রয়েছে। আর জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিনের দিবসসমূহ অধিকতর ফজিলতপূর্ণ। কারণ, এ দিনগুলোতে তালবীয়াহর দিন, আরাফার দিন, কোরবানির দিন রয়েছে। বরকতময় এই দিনগুলোতে নেক আমলের মর্যাদা ও সওয়াব অনেক বেশি। যারা এ দিনগুলোতে হজ আদায়ের সুযোগ পেলেন তারা তো ভাগ্যবান, সন্দেহ নেই। আর যারা হজে যেতে পারেননি, তাদের উচিত হবে এ বরকতময় দিনগুলোকে মর্যাদা দিয়ে বেশি বেশি করে সালাত আদায়, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আসকার, দোয়া-প্রার্থনা, দান-সদকা, মাতা-পিতার সঙ্গে সুন্দর আচরণ, আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করা, সৎকাজের আদেশ এবং অন্যায় কাজের নিষেধ করাসহ প্রভৃতি ভালো কাজ সম্পাদন করা। এ সময়ে গুনাহ ও অবাধ্যতা থেকে বিরত থাকা উচিত। কারণ, গুনাহ মানুষকে আল্লাহর অনুগ্রহ থেকে বঞ্চিত রাখে। গুনাহ ব্যক্তির অন্তর ও আল্লাহর মাঝে বাধার সৃষ্টি করে। বান্দার আরো উচিত শুভ দিনগুলোতে কল্যাণকর কাজ ও এমন সব আমলে নিয়োজিত থাকা, যা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভে সহায়ক হয়। অতএব এ গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলোতে সজাগ থাকুন, যেন কোনোভাবেই আপনার থেকে অবহেলায় সময় অতিবাহিত না হয়। অন্যথায় আপনি এমন দিন লজ্জিত হবেন, যে দিনের লজ্জা আপনার কোনো কাজে আসবে না।

লেখক : আলেম

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads