• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
আরাফাতে জড়ো হবেন ২০ লাখ মুসলমান

আরাফাতের ময়দান

সংগৃহীত ছবি

ধর্ম

হজের মূল অনুষ্ঠান আজ

আরাফাতে জড়ো হবেন ২০ লাখ মুসলমান

  • প্রকাশিত ২০ আগস্ট ২০১৮

পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে গতকাল রোববার। বাংলাদেশি এক লাখ ২৭ হাজারসহ বিশ্বের ২০ লাখের বেশি মুসলমান মক্কার অদূরে মিনায় সমবেত হওয়ার মধ্য দিয়ে এ আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। আজ সোমবার ফজরের নামাজ আদায় করে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে আরাফাতের ময়দানে হাজির হবেন তারা। এটাকে সৃষ্টিকর্তার কাছে হাজিরা দেওয়া হিসেবে গণ্য ইসলামে। এই হাজিরা হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে স্বীকৃত। আগামীকাল মঙ্গলবার সৌদি আরবে ঈদুল আজহার দিন পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে শেষ হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা। হজের অংশ হিসেবে মিনা, আরাফাত ময়দান, মুজদালিফা ও মক্কায় পাঁচ দিন অবস্থান করবেন মুসল্লিরা।

আর্থিক ও শারীরিকভাবে সক্ষম হলেই মুসলিমদের ওপর ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ হজ ফরজ হয়। সারাবিশ্বের ১৬৪টি দেশের ২০ লাখের বেশি মুসলমান এবার হজ করছেন, এর মধ্যে ১ লাখ ২৭ হাজার ২৭৫ জন বাংলাদেশি। গতকাল রোববার সারাদিন এবং রাত তারা মিনায় কাটান ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে।

আজ সোমবার ৯ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে আরাফাতের ময়দানে যাবেন তারা এবং সূর্যাস্ত পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করবেন। পরে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে মুজদালিফায় গিয়ে রাত যাপন ও পাথর সংগ্রহ করবেন। আগামীকাল মঙ্গলবার ১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে মিনায় ফিরবেন। হাজীরা মিনায় বড় শয়তানকে পাথর মারবেন, পশু কোরবানি দেবেন, মাথা মুণ্ডিত করবেন। এরপর মক্কায় গিয়ে কাবা শরিফ তাওয়াফ করবেন। তাওয়াফ, সাঈ শেষে আবার মিনায় ফিরবেন। সেখানে বুধবার ও বৃহস্পতিবার অবস্থান করে প্রতিদিন তিনটি শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করবেন হাজীরা। প্রত্যেক শয়তানকে ৭টি করে পাথর মারতে হয়। মসজিদে খায়েফের থেকে মক্কার দিকে আসার সময় প্রথমে জামারায় সগির বা ছোট শয়তান, এরপর জামারায় ওস্তা বা মেজ শয়তান, এরপর জামারায় আকাবা বা বড় শয়তানকে পাথর মারতে হবে।

এর আগে শনিবার হজ পালনে সৌদি আরবে হাজির হওয়া মুসলমানরা ওইদিন বিকাল থেকে জড়ো হতে শুরু করেন ১০ কিলোমিটার দূরে তাঁবুনগরী মিনায়। সেলাইবিহীন দুই টুকরা সাদা কাপড় পরে হজের নিয়ত করে মিনার উদ্দেশে রওনা হন তারা। সাদা কাপড়ে আচ্ছাদিত বিভিন্ন বর্ণ, ভাষা, জাতীয়তার লাখো মুসলমান কেউ বাসে, কেউ গাড়িতে, কেউবা হেঁটে মিনার পথে রওনা হন। এ সময় তাদের সবার মুখে ছিল ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইক লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়াননি’মাতা লাকা ওয়ালমুলক’ ধ্বনি। এর অর্থ হলো, ‘আমি হাজির। হে আল্লাহ আমি হাজির, তোমার কোনো শরিক নেই; সব প্রশংসা ও নিয়ামত শুধু তোমারই, সব সাম্রাজ্যও তোমার।’ মিনায় স্থাপিত তাঁবুতে অবস্থান নিয়ে ইবাদত বন্দেগি করেন মুসল্লিরা। এর মধ্য দিয়ে শুরু হয় পবিত্র হজ পালনের আনুষ্ঠানিকতা।

এ ছাড়া হজের অংশ হিসেবে আরাফাত ময়দান, মুজদালিফা ও মক্কায় পাঁচ দিন অবস্থান করতে হয় হজব্রত পালনে যাওয়া মুসলমানদের। এদিকে, পবিত্র হজ পালন করতে গিয়ে এ পর্যন্ত বাংলা‌দেশি মোট ৫১ জ‌ন হজযাত্রী ইন্তেকাল করেছেন।

 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads