• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
জুমার নামাজের গুরুত্ব ও তাৎপর্য

জুমার নামাজের তাগিদ শুধু পবিত্র কোরআনেই নয়, পবিত্র হাদিস শরিফেও এসেছে

সংগৃহীত ছবি

ধর্ম

জুমার নামাজের গুরুত্ব ও তাৎপর্য

  • মুফতি এহসানুল হক মুজাদ্দেদি
  • প্রকাশিত ২৬ আগস্ট ২০১৮

জুমার গুরুত্ব, তাৎপর্য ও ফজিলত প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআন মজিদে সুরা আল জুমুয়ার ৯ নম্বর আয়াতে দোজাহানের মালিক মহান আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘হে মুমিনগণ, জুমার দিনে যখন নামাজের জন্য আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর ইবাদতের জন্য দ্রুত যাও এবং বেচাকেনা বন্ধ কর। এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা বোঝ।’ এ আয়াতের মাধ্যমে জুমার নামাজের গুরুত্ব অনুধাবন করা যায়। জুমার নামাজের তাগিদ শুধু পবিত্র কোরআনেই নয়, পবিত্র হাদিস শরিফেও এসেছে। হজরত তারেক ইবনে শিহাব (রা.) থেকে বর্ণিত রসুল (সা.) বলেছেন, ‘ক্রীতদাস, মহিলা, নাবালেগ বাচ্চা ও অসুস্থ ব্যক্তি— এই চার প্রকার মানুষ ছাড়া সব মুসলমানের ওপর জুমার নামাজ জামাতে আদায় করা অপরিহার্য কর্তব্য।’ (আবু দাউদ : ১০৬৭, মুসতাদরেকে হাকেম : ১০৬২)।

জুমার দিন মুসলমানদের জন্য সাপ্তাহিক ঈদের দিন এবং এটি অন্য দিনগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠ। ইবনে মাজায় বর্ণিত হাদিসে রসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘নিঃসন্দেহে জুমু‘আর দিন সেরা দিন ও আল্লাহর নিকট সর্বোত্তম দিন। আল্লাহর নিকট তা ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতরের দিনের চেয়েও উত্তম।’ আর মুসলিম শরিফের হাদিসে রসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে সকল দিনে সূর্য উদিত হয়েছে তন্মধ্যে সর্বোত্তম হলো জুমু’আর দিন। সেই দিনেই আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করা হয়েছে এবং সেই দিনেই তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে এবং সেই দিনেই জান্নাত থেকে তাকে বের করা হয়েছে। যে দিন কিয়ামত হবে, সে দিনও হবে জুমার দিন।’

সাপ্তাহিক ঈদ হিসেবে জুমার দিনের ফজিলত অনেক বেশি। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রসুল (সা.) বলেছেন, ‘জুমার দিনে ফেরেশতাগণ মসজিদের প্রতিটি দরজায় দাঁড়িয়ে যান। তারা মসজিদে আগমনকারী মুসল্লিদের নাম পর্যায়ক্রমে লিপিবদ্ধ করতে থাকেন। অতঃপর যখন ইমাম সাহেব এসে যান, তখন তারা রেজিস্টার বন্ধ করে খুতবা শুনতে থাকেন। যে সবার আগে মসজিদে প্রবেশ করে, সে একটি উট আল্লাহর রাস্তায় দান করার সওয়াব লাভ করে। যে দুই নম্বরে প্রবেশ করে, সে একটি গরু আল্লাহর রাস্তায় দান করার সওয়াব পায়। যে তিন নম্বরে প্রবেশ করে, সে একটি দুম্বা দান করার সওয়াব পায়। যে চার নম্বরে প্রবেশ করে, সে একটি মুরগি দান করার সওয়াব লাভ করে। আর যে পাঁচ নম্বরে প্রবেশ করে, সে একটি ডিম আল্লাহর রাস্তায় দান করার সওয়াব পায়।’ (বুখারী, মুসলিম, মুসনাদে শাফী : ৬২)।

জুমাবারের ফজিলতের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিকটি হলো, এই দিনে এমন একটা সময় আছে, যখন মুমিন বান্দা কোনো দোয়া করলে মহান আল্লাহ তার দোয়া কবুল করেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে একটি হাদিস বর্ণিত রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘জুমার দিনে এমন একটা সময় আছে, যে সময়ে কোনো মুমিন বান্দা আল্লাহর কাছে ভালো কোনো কিছু প্রার্থনা করলে, অবশ্যই আল্লাহ তাকে তা দান করবেন (সহীহ মুসলিম : ৮৫২, মুসনাদে আহমাদ : ৭১৫১)।

লেখক : প্রিন্সিপাল, মণিপুর বাইতুর রওশন মাদরাসা কমপ্লেক্স, মিরপুর, ঢাকা

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads