• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
নামাজের ইহকালীন ও পরকালীন উপকারিতা

নামাজ আদায় স্বাস্থ্যের জন্য কল্যাণকর

সংগৃহীত ছবি

ধর্ম

নামাজের ইহকালীন ও পরকালীন উপকারিতা

  • ওয়ালি উল্লাহ সিরাজ
  • প্রকাশিত ৩০ আগস্ট ২০১৮

নামাজ মানুষের জীবনের একটি অপরিহার্য ইবাদত। নামাজ ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, ইহকালীন ও পরকালীন জীবনে মুক্তির একমাত্র সোপান। নামাজ আদায়ের মাধ্যমে মহান আল্লাহপাকের সঙ্গে বান্দার এক গভীর সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। পবিত্র কোরআনে এ বিষয়ে আল্লাহপাক ইরশাদ করেছেন, নিঃসন্দেহে সালাত বিশ্বাসীদের ওপর সময়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে আবশ্যকীয় করা হয়েছে (নিসা, ১০৩)।

নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের মাধ্যমে একজন মুমিন বান্দা শারীরিক ও সামাজিক উপকারিতা পেয়ে থাকেন। একজন মুমিনকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হলে অবশ্যই তাকে পাঁচবার অজু করতে হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। নামাজ আদায় করতে হলে শারীরিক নড়াচড়াও করতে হয়। এটাও স্বাস্থ্যের জন্য কল্যাণকর। বিশেষ করে ফজরের সময় ঘুম থেকে উঠে মসজিদে যাওয়ার সময় সকালের মৃদুমন্দ বাতাস উপভোগ করাও স্বাস্থ্যের জন্য বড়ই উপকারী ও কল্যাণকর। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা এ কথা অকুণ্ঠচিত্তে সমর্থন করেছেন।

নিয়মিত মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করলে সময়ানুবর্তিতা ও কর্তব্যবোধ জাগ্রত হয়। তাই নিয়মিত নামাজি ব্যক্তি কর্তব্যে অবহেলা এবং অনিয়ম প্রদর্শন করতে পারেন না। নামাজ পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যম শৃঙ্খলার সঙ্গে আদায় করতে হয়। এই ইবাদতটি শুধু মানুষকে শৃঙ্খলিত করে না; বরং সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে দাসত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করে তোলে।

হজরত রসুল (সা.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি নিয়মিত নামাজ পড়ে আল্লাহ তার নামাজের বদলে পাঁচটি বিশেষ সম্মান দান করেন— ১. নামাজির অভাব দূর করেন, ২. কবরের আজাব দূর করেন, ৩. কেয়ামতের দিন ডান হাতে আমলনামা দেবেন, ৪. বিদ্যুতের মতো পুলসিরাত পার করবেন, ৫. নিয়মিত নামাজ আদায়কারী বিনা হিসাবে বেহেশতে প্রবেশ করবেন।

কিয়ামতের দিন বান্দার সর্বপ্রথম সালাতের হিসাব নেওয়া হবে। নবী (সা.) বলেছেন, কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম বান্দার নামাজের হিসাব হবে। যদি তার নামাজ ঠিক হয়, তাহলে তার সব আমলই ঠিক হবে। আর যার নামাজ বিনষ্ট হবে, তার সব আমলই বিনষ্ট হবে (তিরমিজি)।

নামাজ আল্লাহ এবং বান্দার মধ্যে একটি সুদৃঢ় বন্ধন। কিয়ামত পর্যন্ত নামাজ আসমান ও জমিনের মাঝে সেতুবন্ধ হয়ে থাকবে, দুনিয়ার পঙ্কিলতা ও পার্থিব নীচুতা থেকে রুহানি ঊর্ধ্বজগতে আরোহণের দরজা বান্দার জন্য সবসময় উন্মুক্ত থাকবে। যদিও আসমান দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো জিনিস নয়। তবে অনেক দূরে। নামাজ হচ্ছে মিরাজ, এতে রুহসমূহ বিনীত ও একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর দরবারে ফিরে যায়। সালাতের মাধ্যমে মুমিনরা আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করে। যেমন রসুল (সা.) নৈকট্য অর্জন করেছিলেন মিরাজের মাধ্যমে।

লেখক : সাংবাদিক

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads