• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
নামাজের ওয়াক্ত

নির্ধারিত সময়ে নামাজ পড়ার বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন খুবই জরুরি

সংগৃহীত ছবি

ধর্ম

নামাজের ওয়াক্ত

  • ওয়ালি উল্লাহ সিরাজ
  • প্রকাশিত ৩১ আগস্ট ২০১৮

নামাজ ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ। নির্ধারিত সময়ে নামাজ পড়ার বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন খুবই জরুরি। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহপাক নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায়কে আবশ্যক ঘোষণা করেছেন। তিনি ইরশাদ করেছেন, নিশ্চয় নামাজকে বিশ্বাসীদের জন্য নির্ধারিত সময়ে আবশ্যক করা হয়েছে (সুরা নিসা : আয়াত ১০৩)। ফরজ নামাজগুলো আদায় করার ওয়াক্ত বা সময় কখন এই বিষয়ে বিভিন্ন হাদিসে রয়েছে সঠিক দিকনির্দেশনা। সেসব হাদিস থেকে নামাজের সঠিক সময়গুলো তুলে ধরা হলো-

ফজরের ওয়াক্ত : ফজরের নামাজের সময় সুবেহ সাদিক থেকে সূর্য ওঠার আগ পর্যন্ত। আনাস (রা.) বলেন, রসুলুল্লাহ (সা.) ‘গালাসে’ (অর্থাৎ একটু অন্ধকার থাকতে) ফজরের নামাজ পড়তেন (বুখারি ও মুসলিম) এবং আয়েশা (রা.) বলেন, রসুলুল্লাহ (সা.) ফজরের নামাজ এমন (অন্ধকার) সময়ে পড়তেন যে, নামাজী মেয়েরা চাদর জড়িয়ে ফেরার সময় অন্ধকারের কারণে তাদের চেনা যেত না (বুখারি)।

জোহরের ওয়াক্ত : সূর্য মাথার ওপর থেকে পশ্চিমে ঢলে যাওয়ার পর হতে শুরু করে যতক্ষণ পর্যন্ত কোনো জিনিসের ছায়া সেই জিনিসের সমান না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত জোহরের সময় (মুসলিম)। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (সা.) গরমকালে ঠাণ্ডা হয়ে অর্থাৎ দেরি করে জোহর পড়তেন এবং শীতকালে তাড়াতাড়ি পড়তেন (নাসায়ি ও মেশকাত)।

আসরের ওয়াক্ত : কোনো জিনিসের ছায়া সমপরিমাণ হয়ে যাওয়ার পর দ্বিগুণ হতে শুরু করা থেকে সূর্য ডোবা পর্যন্ত আসরের সময় (মুসলিম)। রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, সূর্য যখন হলদে রং হয় এবং শয়তানের দুই শিংয়ের মাঝখানে এসে যায়, তখন মুনাফেকরা আসরের নামাজ পড়ে (মুসলিম)। সুতরাং সূর্যের আভা একটু হলদে রং হয়ে আসার পূর্বেই আসর পড়া উচিত।

মাগরিবের ওয়াক্ত : সূর্য ডোবার পর থেকে পশ্চিম আকাশের লাল আভা দূর না হওয়া পর্যন্ত মাগরিবের সময় (মুসলিম)। রাফে ইবনে খুদাইজ বলেন, আমরা রসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে নামাজ পড়তাম। তারপর আমাদের কেউ গিয়ে তীর ছুড়লে আমরা তার সেই তীর পড়ার জায়গাটা দেখতে পেতাম (বুখারি ও মুসলিম)।  

এশার ওয়াক্ত : রসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, পশ্চিম আকাশের লাল আভা দূর হওয়ার পর অর্ধেক রাত পর্যন্ত এশার ওয়াক্ত (মুসলিম)। নোমার ইবনে বাশীর থেকে বর্ণিত যে, চাঁদ উঠে তিন ঘড়ি গত হওয়ার পর রসুলুল্লাহ (সা.) এশার নামাজ পড়তেন (আবু দাউদ)।

জুমার নামাজের ওয়াক্ত : হাফিজ ইবনে হাজার আস্কালানী বলেন, সা’লাবা ইবনে আবু মালিক থেকে বর্ণিত আছে যে, নবী (সা.)-এর সাধারণ সাহাবিরা জুমার দিনে দুপুরে নামাজ পড়তেন (তালখীসুল হাবীব)।

লেখক : সাংবাদিক

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads