• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
ইকামতের পরিচয়

নামাজ আরম্ভ হওয়ার কথা ঘোষণা করাকেই ইকামত বলে

সংগৃহীত ছবি

ধর্ম

ইকামতের পরিচয়

  • ওয়ালি উল্লাহ সিরাজ
  • প্রকাশিত ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ইকামত অর্থ দাঁড় করানো, প্রতিষ্ঠিত করা। শরিয়তের পরিভাষায় জামাত আরম্ভ হওয়ার পূর্বে আজানের শব্দ বা বাক্যসমেত নামাজ আরম্ভ হওয়ার কথা ঘোষণা করাকেই ইকামত বলে। অর্থাৎ মুসল্লিদের জানিয়ে দেওয়া যে, জামাত শুরু হচ্ছে, সবাই দাঁড়িয়ে যান, কাতার সোজা করুন।

ইকামতের বাক্যগুলো জোড়া জোড়া (দুইবার করে) বলা সুন্নত, যা একাধিক সহীহ হাদিসের মাধ্যমে প্রমাণিত। একটি হাদিসে এসেছে, হজরত আবদুর রহমান ইবনে আবী লাইলা (রহ.) বলেন, রসুলের (সা.) কয়েকজন সাহাবি আমাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, একবার হজরত আবদুল্লাহ ইবনে যায়েদ আনসারী (রা.) স্বপ্নে আজান দেখতে পান। ফলে তিনি রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে আগমন করে এ সংবাদ দেন। তখন রসুলুল্লাহ (সা.) তাকে বললেন, তুমি এটা বেলালকে (রা.) শিখিয়ে দাও। তখন তিনি আজানের শব্দগুলো দুইবার করে উচ্চারণ করলেন এবং ইকামতের শব্দগুলোও দুইবার করে উচ্চারণ করলেন (তাহাবি শরিফ)।

অন্য একটি বর্ণনায় এসেছে, হজরত আবু মাহযুয়া (রা.) বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ইকামত শিক্ষা দিয়েছেন যাতে দুটি করে বাক্য ছিল (তাহাবি শরিফ)।

ইসলামের প্রাথমিক যুগে ইকামতের শব্দগুলো একবার করে বলার বিধান ছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তা মানসুখ হয়ে গেছে। উক্ত নিয়মটি মানসুখ হওয়ার পর হজরত বেলাল (রা.) ইকামতের বাক্যগুলো দুইবার করেই বলতেন। হজরত বেলাল (রা.) ইকামতের বাক্যগুলো দুইবার করে বলতেন এটা বহু হাদিসের মাধ্যমে প্রমাণিত। এর থেকে বোঝা যায়, তিনি দুইবার করে বলতেই আদিষ্ট হয়েছিলেন (তাহাবি শরিফ)।

ইকামত শেষ হওয়ার পর যদি অনেক সময় অতিবাহিত হয়ে যায় তাহলে পুনরায় ইকামত বলে নামাজ শুরু করতে হবে। আর যদি ইকামতের পর সামান্য সময় অতিবাহিত হয় তাহলে পুনরায় ইকামত বলতে হবে না। বরং নামাজ শুরু করে দেবেন। কিন্তু ইকামতের পর নামাজ শুরু করতে বিলম্ব করা উচিত নয় (বেহেশতি যেওর)।

নারী ও পুরুষের নামাজে অনেক ক্ষেত্রেই ভিন্নতা রয়েছে। তার মধ্যে একটি হলো, পুরুষের জন্য জামাতের সঙ্গে নামাজ পড়া অপরিহার্য; কিন্তু নারীদের জামাতে অপরিহার্য নয়। আর আজান ও ইকামত হলো জামাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিধান। এ ছাড়া আজানের জন্য উচ্চস্বর জরুরি, নারীদের আওয়াজ উচ্চ করা জায়েজ নয়। তাই তাদের আজান ও ইকামত বৈধ নয়। ইবনে কুদামাহ বলেন, নারীরা আজান ও ইকামত দিলেও তা বিশুদ্ধ হবে না (মুগনি, খণ্ড-২, পৃষ্ঠা-৬৮)।

লেখক : সাংবাদিক

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads