• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
কেয়ামতের দিন প্রথম হিসাব হবে নামাজের

নামাজ হচ্ছে বেহেশতের চাবি ও সব ইবাদতের মূল ভিত্তি

সংগৃহীত ছবি

ধর্ম

কেয়ামতের দিন প্রথম হিসাব হবে নামাজের

  • ওয়ালি উল্লাহ সিরাজ
  • প্রকাশিত ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

যে কাজের গুরুত্ব যত বেশি, সেই কাজের জবাবদিহিতাও তত বেশি। নামাজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। তাই নামাজের হিসাবের বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। কেয়ামতের দিন মানুষের সব কাজের হিসাব হবে। ছোট-বড় যে কাজই মানুষ করেছে তার জন্য আল্লাহর দরবারে মানুষকে হিসাব দিতে হবে। এমনকি মানুষ বিনা কারণে যদি একটি পিপীলিকাও মেরে থাকে, কেয়ামতের দিন তারও হিসাব হবে।

নামাজ যেহেতু ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত এবং ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ, তাই কেয়ামতের দিন সর্বপ্রথম নামাজের হিসাব হবে। একটি হাদিসে আমাদের প্রিয় নবী হজরত মোহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘কেয়ামতের দিন বান্দার আমলের মধ্যে সর্বপ্রথম নামাজ সম্পর্কে হিসাব নেওয়া হবে। বান্দার নামাজ যদি যথাযথ প্রমাণিত হয়, তবে সে সাফল্য লাভ করবে। আর যদি নামাজের হিসাবই খারাপ হয়, তবে সে ব্যর্থ ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ (তিরমিজি)। ‘যে ব্যক্তি সঠিকভাবে ও যথাযথ নিয়মে নামাজ আদায় করবে, তা কেয়ামতের দিন তার জন্য পূর্ণ মুক্তির অসিলা, আলোকবর্তিকা ও মুক্তির কারণ হবে। যে নিয়মিত নামাজ আদায় করবে না, তার জন্য তা নূর, অকাট্য দলিল ও মুক্তি কিছুই হবে না।’ (আহমাদ, দারেমি, বায়হাকি)।

নামাজ হচ্ছে বেহেশতের চাবি ও সব ইবাদতের মূল ভিত্তি। একজন বান্দা জান্নাতে যাওয়ার আশা নিয়ে ইবাদত করবে, এটাই স্বাভাবিক। নামাজ বেহেশতের চাবি, অর্থাৎ কেউ যদি নামাজ না পড়ে তাহলে সে কোনো দিনই বেহেশতে যেতে পারবেন না। তাকে চিরদিনই জাহান্নামের আগুনে পুড়তে হবে।  হজরত আবু বারযা আসলামি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কেয়ামতের দিন বান্দার দুটি পা ততক্ষণ পর্যন্ত নড়াতে পারবে না; যতক্ষণ না তাকে জিজ্ঞাসা করা হবে যে, তোমার জিন্দেগি কোথায় ব্যয় করেছ? জ্ঞানানুসারে কি আমল করেছ? সম্পদ কোথা থেকে উপার্জন করেছ আর কিসে খরচ করেছ এবং তোমার শরীরকে কী কাজে নিঃশেষ করেছ।’ (তিরমিজি, দারেমি)। হাদিসের আলোকে বোঝা যায়, হাশরের ময়দানে প্রত্যেক বনি আদমকেই আল্লাহপাকের দরবারে তার কর্মের হিসাব দিতে হবে। আর এসব প্রশ্নের উত্তর তার জন্যই সহজ হবে, যে তার নামাজের হিসাব সঠিকভাবে দিতে পারবে।

যারা নিয়মিত নামাজ পড়ে থাকেন, তাদের পক্ষে কোনো প্রকার অশ্লীল ও অপকর্ম করা সম্ভব নয়। এ জন্যই নামাজকে সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। সুতরাং একজন মানুষ যদি ভালোভাবে নামাজ আদায় করে, তাহলে হাশরের ময়দানে তার কাজ অতি দ্রুত শেষ হয়ে যাবে এবং তিনি তাড়াতাড়ি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেন।

লেখক : সাংবাদিক

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads