• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
নামাজ না পড়ার ভয়ঙ্কর পরিণাম

নামাজ পড়ার মাধ্যমে বান্দার সঙ্গে আল্লাহর এক নিবিড়তম সম্পর্ক তৈরি হয়

সংগৃহীত ছবি

ধর্ম

নামাজ না পড়ার ভয়ঙ্কর পরিণাম

  • ওয়ালি উল্লাহ সিরাজ
  • প্রকাশিত ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮

একজন মুসলিম প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর তার ওপর সবচেয়ে যে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত পালন করতে হয়, সেটা হচ্ছে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ। ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবার ওপর-ই নির্ধারিত সময়ে এই নামাজ আদায় করা ফরজ। পবিত্র কোরআনে আল্লাহপাক ইরশাদ করেছেন, নিশ্চয়ই নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করা বিশ্বাসীদের জন্য ফরজ করা হয়েছে (সূরা নিসা, আয়াত ১০৩)।

দৈনিক পাঁচবার নামাজ পড়ার মাধ্যমে বান্দার সঙ্গে আল্লাহর এক নিবিড়তম সম্পর্ক তৈরি হয়। আবার যে সকল বান্দা ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ ছেড়ে দেয়, আল্লাহপাক তার থেকে নিজের দায়িত্ব উঠিয়ে নেন। একটি হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ ছেড়ে দেয়, আল্লাহপাক তার থেকে নিজের জিম্মাদারী উঠিয়ে নেন (বুখারি ও মুসনাদে আহমদ)।

আল্লামা ইবনে হযরত মক্কী (রহ.) ফাজায়েলে আমাল মিনাল জাওয়াযের নামক গ্রন্থে একটি হাদিস উল্লেখ করেন। সেখানে তিনি বলেছেন, যে ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ ছেড়ে দেবে দুনিয়াতে তার পাঁচ ধরনের শাস্তি হবে। এক. তার জীবনের বরকত ছিনিয়ে নেওয়া হবে। দুই. তার চেহারা থেকে নেককারদের নূর দূর করে দেওয়া হবে। তিন. তার নেক কাজের কোনো বদলা দেওয়া হবে না। চার. তার কোনো দোয়া কবুল হবে না। পাঁচ. নেক বান্দাদের দোয়ার মধ্যে তার কোনো হক থাকবে না।

যে ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ ছেড়ে দেয় তার বিষয়ে আরো কঠোর শাস্তির কথা বিভিন্ন হাদিসে এসেছে। একটি হাদিসে এসেছে, একবার রাসুলুল্লাহকে (সা.) স্বপ্নে কয়েকটি কবীরাহ গুনাহের শাস্তি দেখানো হলো। পরদিন সকালে নবী (সা.) বলেন, আজ রাতে আমার কাছে দুজন আগন্তুক এসেছিলেন। তারা আমাকে বললেন, আমাদের সঙ্গে চলুন। আমি তাদের সঙ্গে চললাম। আমরা এমন এক লোকের কাছে গেলাম, যে চিত হয়ে শুয়ে ছিল। আরেক ব্যক্তি পাথর নিয়ে তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। সে পাথর দিয়ে শুয়ে থাকা লোকটির মাথায় আঘাত করে থেঁতলে দিচ্ছে। যখন সে পাথর নিক্ষেপ করছে তা গড়িয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে। লোকটি গিয়ে পাথরটি পুনরায় তুলে নিচ্ছে এবং ফিরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই লোকটির মাথা আগের মতো ভালো হয়ে যাচ্ছে। সে আবার লোকটির কাছে ফিরে আসছে এবং তাকে পূর্বের মতো শাস্তি দিচ্ছে। নবী (সা.) বলেন, আমি আমার সঙ্গীদ্বয়ের কাছে জানতে চাইলাম, সুবহানাল্লাহ, এই লোকরা কারা? আমার সঙ্গীদ্বয় পরবর্তীতে উত্তর দেন, সে (আযাব ভোগকারী) হচ্ছে এমন ব্যক্তি, যে  কোরআন মুখস্থ করে তা পরিত্যাগ করে এবং (অবহেলাবশত) ফরজ নামাজ না পড়েই ঘুমিয়ে পড়ে (সহীহ বুখারি)।

লেখক : আলেম ও গবেষক

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads