• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
নামাজির জন্য ১০টি সুসংবাদ

প্রতীকী ছবি

ধর্ম

নামাজির জন্য ১০টি সুসংবাদ

  • ওয়ালি উল্লাহ সিরাজ
  • প্রকাশিত ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ইসলাম ধর্মে নামাজ একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। প্রতিদিন নিয়মিতভাবে যারা এই ইবাদত পালন করবে, তাদের জন্য রয়েছে বিশেষ সুসংবাদ। আল্লাহপাক কোরআনে বিভিন্নভাবে নামাজ আদায়কারীদের সুসংবাদ দিয়েছেন। আবার আমাদের প্রিয় নবী (সা.) বিভিন্ন হাদিসে নামাজ আদায়কারী ব্যক্তিদের সুসংবাদ দিয়েছেন।

১. পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহপাক ইরশাদ করেছেন, যারা নামাজ কায়েম করে এবং যা কিছু আমি তাদের দিয়েছি তা থেকে খরচ করে। এ ধরনের লোকেরাই প্রকৃত মুমিন। তাদের জন্য তাদের রবের কাছে রয়েছে বিরাট মর্যাদা, ভুলত্রুটির ক্ষমা ও উত্তম রিজিক (সুরা : আনফাল, আয়াত : ৩-৪)।

২. অন্য আয়াতে আল্লাহপাক ইরশাদ করেছেন, এবং নিজেদের নামাজগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করে, তারাই এমন ধরনের উত্তরাধিকারী যারা নিজেদের উত্তরাধিকার হিসেবে ফিরদাউস লাভ করবে এবং সেখানে তারা থাকবে চিরকাল (সুরা : মুমিনূন, আয়াত : ৯-১১)।

৩. হাদিসে কুদসিতে বর্ণিত আছে, রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহ বলেন, আমি আপনার উম্মতের ওপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছি এবং আমি আমার নিজের সঙ্গে অঙ্গীকার করেছি যে, যে ব্যক্তি যথাসময়ে নামাজসমূহের পূর্ণ হিফাজত করবে, আমি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাব (আবু দাউদ)।

৪. নবী করিম (সা.) বলেছেন, কেয়ামতের দিন সর্বপ্রথম বান্দার নামাজের হিসাব হবে। যদি তার নামাজ ঠিক হয়, তবে তার সব আমলই ঠিক হবে। আর যার নামাজ বিনষ্ট হবে, তার সব আমলই বিনষ্ট হবে (তিরমিজি)।

৫. রসুল (সা.) বলেছেন, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ এবং জুুমা এক জুমা থেকে অপর জুমার মধ্যবর্তী সময়ে কৃত গুনাহসমূহের কাফ্ফারা। যতক্ষণ না সে কবিরা গুনাহে লিপ্ত হয় (মুসলিম)।

৬. যে ব্যক্তি নামাজ পড়ে মসজিদ হতে বের হয়, কিন্তু পরবর্তী নামাজে শরিক না হওয়া পর্যন্ত তার অন্তঃকরণ মসজিদের দিকেই থাকে এবং সে যথাসময়ে নামাজ সম্পন্ন করে, সে ব্যক্তি কেয়ামতের কঠিন দিনে আল্লাহর আরশের ছায়ায় আশ্রয় পাবে (মিশকাত)।

৭. রসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি নামাজের জন্য অজু করে এবং অজু উত্তমরূপে পূর্ণ করে, অতঃপর ফরজ নামাজের উদ্দেশ্যে বের হয় এবং নামাজ আদায় করে জামাতের সঙ্গে, আল্লাহ তার সব গুনাহ মাফ করে দেন (মুসলিম)।

৮. রসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ওই ব্যক্তি কখনো জাহান্নামে যাবে না যে সূর্যোদয়ের পূর্বে ও সূর্যাস্তের পূর্বের নামাজ আদায় করে। অর্থাৎ ফজর ও আসর আদায় করে (মুসলিম)।

৯. রসুল (সা.) বলেন, মোনাফেকদের ওপর ফজর ও এশার নামাজ অনেক কষ্টকর হয়ে থাকে। অথচ যদি তারা জানত যে, এর (ফজর ও এশা) মধ্যে কী পরিমাণ সওয়াব আছে, তাহলে তারা হাঁটুতে ভর করে হলেও আসত (বোখারি)।

১০. রসুল (সা.) ইরশাদ করেন, নামাজ হলো নূর (মুসলিম)।

 

লেখক : সাংবাদিক

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads