• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
নামাজের ওয়াজিব কী কী

নামাজের প্রতিটি বিধানই গুরুত্বপূর্ণ

সংগৃহীত ছবি

ধর্ম

নামাজের ওয়াজিব কী কী

  • ওয়ালি উল্লাহ সিরাজ
  • প্রকাশিত ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮

নামাজের মধ্যে অনেক ধরনের কাজ আছে। কিছু কাজ আছে ফরজ, যা বাদ গেলে নামাজ বাতিল হয়ে যেতে পারে। আর কিছু আছে ওয়াজিব, যা বাদ গেলে সিজদায়ে সাহু আদায় করতে হয়। কেউ যদি সিজদায়ে সাহু আদায় করতেও ভুলে যান, তাহলে তার আর নামাজ হবে না। তাকে পুনরায় নামাজ পড়তে হবে। আবার কিছু আছে সুন্নত ও মুস্তাহাব। নামাজের মধ্যে রয়েছে মোট ১৪টি ওয়াজিব কাজ। নামাজের ওয়াজিবগুলো তুলে ধরা হলো :

১. প্রত্যেক নামাজে সুরা ফাতিহা (আলহামদুলিল্লাহ) পড়া। ২. প্রত্যেক নামাজে সুরা ফাতিহার পর (কিরাত) সুরা মিলানো (কমপক্ষে তিন আয়াত অথবা তিন আয়াতের সমকক্ষ এক আয়াত পরিমাণ তিলাওয়াত করা)। ৩. ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাতকে কিরাতের জন্য নির্ধারিত করা। কেউ যদি প্রথম দুই রাকাতে ইচ্ছাকৃত কিরাত না পড়েন, তাহলে তার নামাজ হবে না। তাকে পুনরায় নামাজ পড়তে হবে। ৪. কিরাত, রুকু, সিজদার মধ্যে ক্রমধারা বা তারতিব ঠিক রাখা। নামাজ আল্লাহপাকের নির্ধারিত বিধান। আল্লাহপাক যেভাবে নামাজ আদায় করতে বলেছেন, সেভাবেই নামাজ আদায় করতে হবে; অন্যথায় নামাজ আদায় হবে না। ৫. কাওমা করা অর্থাৎ রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়ানো। ৬. জলসা করা অর্থাৎ দুই সিজদার মাঝখানে সোজা হয়ে বসা। দুই সিজদার মাঝখানে সোজা হয়ে না বসলে দুই সিজদা আদায় হবে না। ৭. তাদিলে আরকান করা অর্থাৎ রুকু, সিজদা, কাওমা, জলসায় কমপক্ষে এক তাসবিহ পরিমাণ স্থির থাকা, যাতে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ যথাস্থানে পৌঁছে যায়। পুরো নামাজই ধীরস্থিরভাবে আদায় করা। তাড়াহুড়ো করে নামাজ আদায় না করা। ৮. কাদায়ে ওলা অর্থাৎ তিন বা চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজে দুই রাকাত পর আত্তাহিয়াতু পড়া বা সমপরিমাণ সময় বসা। ৯. প্রথম ও শেষ বৈঠকে আত্তাহিয়াতু পড়া। ১০. জাহেরি নামাজে প্রথম দুই রাকাত ইমামের জন্য উচ্চৈঃস্বরে কিরাত পড়া এবং সিররি নামাজের মধ্যে ইমাম ও একাকী নামাজির অনুচ্চ শব্দে কিরাত পড়া। ১১. সালাম ফেরানো। অর্থাৎ ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ’ বলে নামাজ শেষ করা। ১২. বিতরের নামাজে দোয়ায়ে কুনুত পড়ার জন্য অতিরিক্ত তাকবির বলা এবং দোয়ায়ে কুনুত পড়া। ১৩. দুই ঈদের নামাজে ছয় ছয় তাকবির বলা। ১৪. প্রত্যেক রাকাতের ফরজ এবং ওয়াজিবগুলোর তারতিব (ধারাবাহিকতা) ঠিক রাখা।

নামাজের এই প্রতিটি বিধানই গুরুত্বপূর্ণ। এই বিধানগুলো কেউ যদি ইচ্ছাকৃত ছেড়ে দেন, তাহলে তার নামাজ হবে না। কিন্তু কেউ যদি ভুলে আদায় না করেন, তাহলে তাকে অবশ্যই সাহু সিজদা আদায় করতে হবে। আর যদি ভুলক্রমে সাহু সিজদাও আদায় না করেন, তাহলেও তার নামাজ হবে না। সুতরাং আল্লাহপাক এই ওয়াজিব বিষয়গুলো ঠিকভাবে আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads