• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
বজরা শাহী মসজিদ মোগল আমলের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নিদর্শন

বজরা শাহী মসজিদ

সংগৃহীত ছবি

ধর্ম

বজরা শাহী মসজিদ মোগল আমলের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নিদর্শন

  • প্রকাশিত ২৬ অক্টোবর ২০১৮

তারেকুর রহমান

মোগল আমলে নির্মিত অন্যতম একটি স্থাপত্য নোয়াখালীর বজরা শাহী মসজিদ। নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার বজরা নামক স্থানে বজরা শাহী মসজিদ অবস্থিত। দিল্লির মোগল সম্রাটরা অবিভক্ত ভারতবর্ষে প্রায় ৩০০ বছর শাসনকালে বিভিন্ন স্থাপত্য নির্মাণ করে গেছেন। বজরা শাহী মসজিদ এর মধ্যে অন্যতম। মোগল জমিদার আমান উল্লাহ ১১৫৪ হিজরি সন, ১১৩৯ বাংলা মোতাবেক ১৭৪১ সালে মসজিদটি নির্মাণ করেন। এটি দিল্লির বিখ্যাত জামে মসজিদের আদলে নির্মিত। জমিদার আমান উল্লাহ তার বাড়ির সামনে ৩০ একর জমিতে দীঘি খনন করেন। এই দীঘির পশ্চিম পাশে নির্মিত হয় বজরা শাহী মসজিদ। মসজিদের দৈর্ঘ্য ১১৬ ফুট, প্রস্থ ৭৪ ফুট। তিন গম্বুজবিশিষ্ট এই মসজিদের গম্বুজগুলো মার্বেল পাথরে মোড়ানো। ভেতরে রয়েছে নয়নাভিরাম কারুকাজ। এই কারুকাজ যে কাউকে মোহিত করবে। মসজিদের ভেতরে মসজিদে নববীর মতো অবতল আকৃতির মিহরাব রয়েছে। মসজিদের প্রবেশপথে ধনুক আকৃতির দরজা রয়েছে। তা ছাড়া এ প্রবেশপথে কয়েকটি গম্বুজও রয়েছে। ১৯০৯ সালে এ মসজিদটি একবার মেরামত করা হয়। মোগল স্থাপত্যশিল্পের এক অনন্য নিদর্শন বজরা শাহী মসজিদ একনজর দেখলে যে কারো চোখ জুড়িয়ে যাবে। নোয়াখালীসহ সারা দেশে ইসলাম ধর্ম প্রচার-প্রসারে এর ঐতিহাসিক অবদান রয়েছে। মোগল সম্রাট মোহাম্মদ শাহের বিশেষ অনুরোধে পবিত্র মক্কা শরিফের বাসিন্দা বিশিষ্ট আলেম হজরত মাওলানা শাহ আবু সিদ্দিকী এ ঐতিহাসিক মসজিদের প্রথম ইমাম ছিলেন। বর্তমানে এই ইমাম সাহেবের সপ্তম পুরুষ ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কথিত আছে, এ মসজিদে কিছু মানত করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এসে এ মসজিদে দান-খয়রাত ও শিরনি দান করে যান। অনেকে এসে এখানে নামাজ আদায় করেন। তা ছাড়া দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পর্যটক এখানে আসেন ঐতিহাসিক মসজিদটি দেখার জন্য। ছায়াসুনিবিড়, কোলাহলমুক্ত, সবুজের সমারোহের ফাঁক গলে দাঁড়িয়ে থাকা বজরা শাহী মসজিদ দেখতে কিংবা দীঘির পাড়ে বসে মুক্ত বাতাস উপভোগ করতে আপনিও আসতে পারেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads