• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮

ধর্ম

রসুল (সা.)-এর জীবনযাপন

  • মো. আবু তালহা তারীফ
  • প্রকাশিত ২১ নভেম্বর ২০১৮

মানব জাতির জন্য আদর্শরূপে রসুল (সা.) আগমন করেছেন। রসুল (সা.) উম্মতদের জন্য উত্তম আদর্শ। মহান আল্লাহতায়ালা বলেন, রসুল (সা.)-এর মধ্যে তোমাদের জন্য রয়েছে উত্তম আদর্শ (সুরা আহযাব-২১)। ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে প্রিয় নবীর (সা.) আখলাক সংক্ষিপ্ত আকারে এখানে বর্ণনা করা হলো।

জীবনযাপন : রসুল (সা.) সর্বদা সাদাসিধা জীবনযাপন করতেন। তিনি সবার সঙ্গে মিলেমিশে কথা বলতেন। হজরত আবু মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন- রসুল (সা.)-এর কাছে এক লোক এসে কথা বলছিলেন, তখন লোকটি ভয়ে কাঁপছিল। রসুল (সা.) এই দৃশ্য দেখে বলতে লাগলেন, তুমি স্থির হও! আমি কোনো সম্রাট নই, আমি কুরাইশি এক মহিলার সন্তান যে শুকনা গোশত খেত (মুসতাদকে হাকিম)।

খাবার গ্রহণ : রসুল (সা.) কখনো বাম হাতে খাবার গ্রহণ করতেন না এবং বাম হাতে খাবার খেতে নিষেধ করতেন। রসুল (সা.) তরকারির মধ্যে ছারিদ তরকারি খুব ভালোবাসতেন। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রসুল (সা.)-এর কাছে সবচেয়ে প্রিয় তরকারি ছিল ছারিদ (আবু দাউদ-৩৭৮৩)। তা ছাড়া রসুল (সা.) মিষ্টি ও মধু খেতে খুব ভালোবাসতেন (শামায়িলে মুহাম্মদী)।

উপহার গ্রহণ : রসুল (সা.) উপহার দ্রব্য গ্রহণ এবং অন্যকে উপহার দিতেন। কেউ তাকে উপহার দিলে কখনো তা ফিরিয়ে দিতেন না। তবে সদকার দ্রব্য হলে তা ভক্ষণ করতেন না (বোখারি-২৪৩৭)।

ভাষা : রসুল (সা.) ধীরস্থিরভাবে কথা বলতেন। যে কেউ ইচ্ছা করলে তা গণনা করতে পারত (বোখারি-৩৩৭৪)।

তা ছাড়া রসুল (সা.) কখনো অশ্লীল কথা বলতেন না এবং কটুভাষী ছিলেন না। কখনো কারো সঙ্গে তিনি অসদাচরণ করেননি। বাজারে গেলে কখনো শোরগোল করতেন না। অন্যায়ের প্রতিশোধ অন্যায়ের মাধ্যমে নেননি।

বরং উদার মনে ক্ষমা করে দিতেন (তিরমিজি-২০১৬)।

হাসি : রসুল (সা.) সর্বদা হাস্যমুখে থাকতেন। তার হাসি ছিল মুচকি। হজরত আবদুল্লাহ ইবনুল হারিস (রা.) বলেন, রসুল (সা.) কেবল মুচকি হাসতেন (তিরমিজি-৩৬৪২)। আবার রসুল (সা.) কখনো হাস্য-রসিকতাও করতেন, তবে মিথ্যা দিয়ে সাজিয়ে কোনো কিছু বলতেন না (বাইহাকি)।

সাহায্য করা : রসুল (সা.) দুর্বলকে সাহায্য করতেন। রাস্তায় কোনো পথিক পেলে তাকে নিজের সওয়ারিতে আরোহণ করিয়ে নিয়ে যেতেন এবং তার জন্য দোয়া করতেন (বাইহাকি-১০৪৮৭)।

ব্যক্তিগত কাজ : রসুল (সা.) নিজ হাতে নিজের কাজ সম্পাদন করতেন। বকরি থেকে নিজ হাতে দুধ দোহন করতেন। নিজের কাপড় নিজেই সেলাই করতেন। নিজের জুতায় নিজেই ফিতা লাগাতেন। কারো মুখাপেক্ষী হয়ে বসে থাকতেন না। (শামায়িলে মুহাম্মদী)।

সালাম প্রদান : রসুল (সা.) কোথাও গেলে মানুষদের প্রথমে সালাম দিতেন। এমনকি ছোটদের সালাম দিতেন (মুসলিম-৫৬২৮)।

আংটি ব্যবহার : রসুল (সা.) প্রয়োজনবশত আংটি ব্যবহার করতেন। এ আংটির মাধ্যমে তিনি সিল দিতেন। সিল দেওয়ার জন্য তার রুপার আংটি ছিল, তাতে বসানো ছিল আল্লাহর রসুল মোহাম্মদ (বোখারি-৫৫৩৯)।

 

লেখক : আলেম ও গবেষক

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads