• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
দিন দিন বেড়েই চলেছে ইসলামী পত্রিকার পাঠকপ্রিয়তা

ছবি : বাংলাদেশের খবর

ধর্ম

দিন দিন বেড়েই চলেছে ইসলামী পত্রিকার পাঠকপ্রিয়তা

  • ওয়ালি উল্লাহ সিরাজ
  • প্রকাশিত ৩০ নভেম্বর ২০১৮

বাংলাদেশে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত বেশ কয়েকটি মাসিক পত্রিকা রয়েছে। দীর্ঘদিন থেকে পত্রিকাগুলো মানুষের জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একজন শিক্ষকের মতো কাজ করে আসছে। দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষক, ছাত্র ও গবেষকদের কাছে এই ইসলামী পত্রিকাগুলোর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ধর্মীয় বিধি-বিধান, আচার-অনুষ্ঠান, আমল-আখলাক ও নীতি-নৈতিকতার মৌলিক বিষয়গুলো নিয়ে বিভিন্ন লেখা থাকে এই মাসিক পত্রিকাগুলোতে। মুসলমানদের কৃতিত্ব, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি বিকাশের ক্ষেত্রে ইসলামিক পত্রিকাগুলোর অবদান অসামান্য। নিচে কয়েকটি মাসিক পত্রিকার পরিচয় এবং সম্পাদক ও পাঠকের মতামত তুলে ধরা হলো।

 

১. মাসিক অগ্রপথিক : ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রকাশিত মাসিক সৃজনশীল একটি পত্রিকা। এই পত্রিকাটির প্রধান সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সামীম মোহাম্মাদ আফজাল। সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ড. সৈয়দ শাহ এমরান। আর সহযোগী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন ড. আবদুল জলিল। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে তেত্রিশ বছর ধরে বের হচ্ছে এই পত্রিকাটি। এতে সময় উপযোগী বিভিন্ন প্রবন্ধ প্রকাশ করা হয়ে থাকে। পত্রিকাটিতে লেখেন ড. আবদুল জলিল, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি আবদুল্লাহ, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খানসহ দেশের প্রসিদ্ধ লেখকরা। পত্রিকাটির বিনিময় মূল্য ২০ টাকা।

২. মাসিক আল কাউসার : এটি গবেষণামূলক উচ্চতর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মারকাযুদ দায়াহ আল-ইসলামিয়া ঢাকার মুখপত্র। পত্রিকাটি ১৪২৬ হিজরি ইংরেজি ২০০৫ সালে বাজারে আসে। এর প্রতিষ্ঠাকালীন উপদেষ্টা হজরত মাওলানা আবদুল হাই পাহাড়পুরী (রহ.)। পত্রিকার সার্বিক তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুল মালেক। সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন মুফতি আবুল হাসান মুহাম্মদ আবদুল্লাহ। সহ-সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মাওলানা মুহাম্মাদ যাকারিয়া আবদুল্লাহ। পত্রিকাটি বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণামূলক প্রবন্ধ প্রকাশ করে থাকে। সেই সঙ্গে পত্রিকাটিতে রয়েছে পরামর্শের একটি বিভাগ। একজন শিক্ষার্থীর কোন সময় কী করা উচিত, এসব বিষয়ে বিভিন্ন পরামর্শ থাকে বিভাগটিতে। তাছাড়া পর্দানশীল নামে নারীদের জন্যও রয়েছে আলাদা একটি বিভাগ। পত্রিকাটির বিনিময় মূল্য ১৫ টাকা।

৩. রাহমানী পয়গাম : শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক (রহ.) এই পত্রিকাটির প্রতিষ্ঠাতা। পত্রিকাটি বর্তমানে ২৪তম বর্ষ পার করছে। এর তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্ব পালন করছেন মাওলানা মাহফুজুল হক। সম্পাদনা করেন মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক। সহ-সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন কামরুল হাসান রাহমানী। সহকারী সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন মুহম্মদ এহসানুল হক ও আমিন ইকবাল। ৪৮ পৃষ্ঠার এই পত্রিকায় সমসাময়িক বিভিন্ন প্রবন্ধ ও নিবন্ধ লেখা হয়ে থাকে। সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর ওপর বিশ্লেষণধর্মী লেখাও থাকে এতে। তা ছাড়া পত্রিকায় ছোটগল্প ও ধারাবাহিক উপন্যাসও থাকে। পত্রিকাটিতে সাধারণত লেখেন মুহাম্মদ যাইনুল আবিদীন, মাওলানা লিয়াকত আলীসহ ইসলামী অঙ্গনের বড় বড় লেখকরা। পত্রিকাটির বিনিময় মূল্য ১৫ টাকা।

৪. আদর্শ নারী : নারীদের জন্য এটি একটি জনপ্রিয় পত্রিকা। পত্রিকাটির উপদেষ্টা হলেন মুফতি ইহসানুল হক ও ইঞ্জিনিয়ার নমিরুল হক চৌধুরী। এর পৃষ্ঠপোষকতার দায়িত্ব পালন করেন নূরানী ওয়াক্ফ এস্টেটের প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ শাহবুদ্দীন মুন্সি। পত্রিকাটির প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক মুফতি আবুল হাসান শামসাবাদী। সহ-সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন আলেমা সাবিরা মাহবুবা ও মাহজূবা মাহজাবীন। সহকারী সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন মাওলানা উমর ফারুক আত-তাসলিম। পত্রিকাটিতে মাসয়ালা শিখি, গবেষণা প্রতিবেদন, তাত্ত্বিক প্রবন্ধ, পথ ও পাথেয়, দেশের সংবাদ, আন্তর্জাতিক খবর ইত্যাদি বিষয়ের ওপর প্রত্যেক মাসেই লেখা প্রকাশ হয়ে থাকে। এ ছাড়া গল্প, উপন্যাস ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় প্রকাশ করে পত্রিকাটি। পত্রিকাটির বিনিময় মূল্য ১৫ টাকা।

৫. মাসিক মুঈনুল ইসলাম : এটি ধর্ম ও তাহ্যীব বিষয়ক সাময়িক। পত্রিকাটির সম্পাদক দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার পরিচালক শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী (হাফিযাহুল্লাহ)। নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন মুহাম্মদ সরওয়ার কামাল। ৪৮ পৃষ্ঠার পত্রিকাটিতে ইসলামের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে লেখা থাকে। পত্রিকাটি বর্তমানে ২৭তম বছর পার করছে। পত্রিকায় শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী (হাফিযাহুল্লাহ), আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন নিয়মিত লেখেন। পত্রিকাটির বিনিময় মূল্য ১৫ টাকা।

৬. মাসিক আল কলম (পুষ্প) : পত্রিকাটি ইসলামী জগতের একটি সাহিত্য পত্রিকা। পত্রিকাটির সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন আবু তাহের মিছবাহ। সহ-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন মুহাম্মদ বিন মিছবাহ ও আমাতুল্লাহ তাসনীম। পত্রিকাটি বর্তমানে তৃতীয় প্রকাশনা বের হচ্ছে। প্রথম প্রকাশনা বের হওয়ার পরে হঠাৎ প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায়। বেশ কিছুদিন পর আবার বের হয় দ্বিতীয় প্রকাশনা। কয়েক সংখ্যা বের হওয়ার পর আবার বন্ধ হয়ে যায়। এখন প্রকাশিত হচ্ছে তৃতীয় প্রকাশনা। পত্রিকাটিতে আবুল হাসান আলী নদভীর লেখার অনুবাদ থাকে। পত্রিকার মূল লেখকরা হচ্ছে ছোটরা। সম্পাদক ছোটদের লেখাগুলো সম্পাদনা করে পত্রিকায় প্রকাশ করেন। লেখালেখি শুরু করার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পত্রিকা। পত্রিকার অন্য আগের দুই প্রকাশনী থেকে এবারের প্রকাশনী একটু ভিন্ন। পত্রিকাটির বিনিময় মূল্য ৫০ টাকা।

৭. মাসিক আল জামিয়া : এটি ইসলামী গবেষণা সাময়িকী। পত্রিকাটির পৃষ্ঠপোষকতায় আছেন মহিউস সুন্নাহ শায়খুল উলাম আল্লামা মাহমুদুল হাসান দা. বা.। পত্রিকাটির সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেন নেয়ামতুল্লা আল-ফরিদী। সহযোগী সম্পাদক সুলাইমান সাদী। পত্রিকাটি প্রকাশিত হয় জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া মাদরাসা থেকে। এতে মাহমুদুল হাসান (দা. বা.) নিয়মিত লেখেন। পত্রিকাটিতে ফতোয়া জিজ্ঞাসা নামে একটি বিভাগ রয়েছে। এই ফতোয়া বিভাগে জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া মাদরাসার পক্ষ থেকে উত্তর দেওয়া হয়।

৮. আত্-তাওহীদ : এই পত্রিকাটি আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া, চট্টগ্রামের ব্যবস্থাপনায় বের হয়। পত্রিকাটির প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ মাওলানা মোহাম্মাদ ইউনুস (রহ.)। প্রধান সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন আল্লামা মুফতি আবদুল হালীম বোখারী। আর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। পত্রিকাটিতে সমকালীন, বয়ান ও ধর্ম-দর্শন, শিক্ষা ও সংস্কৃতি ইত্যাদি বিভাগ রয়েছে। এই বিভাগগুলোতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ লেখা প্রকাশিত হয়। এতে দেশের বরেণ্য লেখকরা নিয়মিত লেখেন।

৯. মাসিক নেয়ামত : এই পত্রিকাটি জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলুম ফরিদাবাদ, ঢাকার মুখপত্র। এর প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছেন মুজাহিদে আজম আল্লামা শামছুল হক ফরিদপুরী (রহ.)। পৃষ্ঠপোষকতার দায়িত্ব পালন করেন শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী (দা. বা.)। আর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন মাওলানা আবদুল কুদ্দুছ। পত্রিকাটির উপদেষ্টা সম্পাদক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী। আর যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মাওলানা মুতীউর রহমান। এতে দেশের বরেণ্য লেখক, মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী, মাওলানা যাইনুল আবিদীনসহ অন্যান্য লেখক। পত্রিকাটির বিনিময় মূল্য ১৫ টাকা।

১০. মাসিক দাওয়াতুল হক : পত্রিকাটি আল জামিয়াতুল আরবিয়া নাছিরুল ইসলামের (নাজিরহাট বড় মাদরাসা) মুখপত্র। পত্রিকাটি ছাব্বিশ বছরে পা দিয়েছে। এর প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছেন হজরত মাওলানা হাফেজ মো. শামছুদ্দীন (রহ.)। পৃষ্ঠপোষকতার দায়িত্ব পালন করেন জামিয়া আরবিয়া নাছিরুল ইসলাম নাজিরহাট মাদরাসার মুহতামিম হজরত মাওলানা মুহাম্মদ ইদ্রিছ (দা. বা.)। পত্রিকাটির উপদেষ্টা হজরত মাওলানা আহমদ শফী। আর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন মাওলানা মুফতী হাবিবুর রহমান কাছেমী। পত্রিকাটি ইসলামের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ ও নিবন্ধ প্রকাশ করে থাকে।

সম্পাদকরা যা বললেন

মাসিক অগ্রপথিক পত্রিকার সহযোগী সম্পাদক ড. আবদুল জলীল বলেন, প্রতিটি জিনিসেরই আলাদা আলাদা গুরুত্ব আছে। অনলাইন পত্রিকার একটা গুরুত্ব আছে, দৈনিক পত্রিকাগুলোর একটা গুরুত্ব আছে, আবার মাসিক পত্রিকাগুলোরও একটি গুরুত্ব আছে। সাধারণত মাসিক পত্রিকাগুলোতে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রকাশ করা হয়ে থাকে। আর মানুষও এই বিষয়গুলোকে বার বার পড়ে মনে রাখার চেষ্টা করে। মাসিক পত্রিকার এটা একটা খুবই ভালো দিক। বাজারে অনেক মাসিক পত্রিকা আছে, সবাই চেষ্টা করে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো প্রকাশ করতে। আর এর মাধ্যমে ইসলামের বড় একটি খেদমত হচ্ছে। এবং মানুষ ইসলামের বিভিন্ন বিষয়গুলো জানতে পারছে।

মাসিক আদর্শ নারীর সম্পাদক মুফতি আবুল হাসান শামসাবাদী বলেন, আদর্শ নারী করার আগে আমি একটি জরিপ করে দেখেছি, পুরুষদের জন্য বিভিন্ন ইসলামী ম্যাগাজিন রয়েছে কিন্তু নারীদের জন্য কোনো ইসলামী ম্যাগাজিন নেই। এই শূন্যতা পূরণ করতে এবং নারীজাতিকে ইসলামের আলোয় আলোকিত করার একটি মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে আমি আদর্শ নারী ম্যাগাজিনের প্রকাশনা শুরু করেছি। আলহামদুলিল্লাহ বর্তমানে বেশ কিছু ইসলামী ম্যাগাজিন প্রকাশ হচ্ছে। যে যার স্থান থেকে ভালো কাজ করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। কিন্তু আমার কাছে একটি শূন্যতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। আর সেটা হলো সাধারণ ম্যাগাজিনগুলোর মতো ইসলামী ম্যাগাজিনগুলো সর্বত্র পাওয়া যায় না। তৃণমূল পর্যন্ত বিস্তৃত নয়। বাংলাদেশের প্রতিটি পত্রিকার দোকানে, বইয়ের দোকানে ইসলামী ম্যাগাজিনগুলো পাওয়া এবং পৌঁছানোর ব্যাপারে ম্যাগাজিন কর্তৃপক্ষের আরো সচেতন হওয়া উচিত এবং এই খেদমতে আরো বেশি আলেম-উলামাদের সংযুক্ত হওয়া এখন সময়ের দাবি।

মাসিক আত্-তাওহীদ পত্রিকার সম্পাদক ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, বর্তমান সময় অনলাইনের সময়। মানুষ অনলাইন থেকেই সব কিছু জানার চেষ্টা করে। এটা সত্য। কিন্তু মানুষ যদি শুধু অনলাইন নির্ভর হয়ে যেত তাহলে প্রতিদিন যে দৈনিক পত্রিকা বের হচ্ছে, এসব পত্রিকা বের হতো না। সুতরাং অনলাইনের গুরুত্ব আছে। আর এ কারণে মাসিক পত্রিকার গুরুত্ব যে কমে গেছে বিষয়টি তেমন নয়। মাসিক পত্রিকাগুলোতে গবেষণানির্ভর বেশকিছু প্রবন্ধ-নিবন্ধ থাকে। স্বাভাবিকভাবে এ ধরনের প্রবন্ধ-নিবন্ধ অনলাইনের নিউজ পোর্টালে পাওয়া যায় না। তাই মানুষ খুঁজে খুঁজে মাসিক পত্রিকাগুলোও পড়ে। মানুষের চাহিদা আছে বলেই আজো আমাদের মাসিক পত্রিকাগুলো চলে এবং সার্কুলেশন দিন দিন বাড়ছে। তবে আমি বলব, যারা মাসিক পত্রিকাগুলো বের করছেন তারা আরো গুরুত্ব দিয়ে, আরো সুন্দর সুন্দর আর্টিক্যাল প্রকাশ করবেন। তাহলে সবার জন্যই উপকার হবে।

পাঠকের মতামত

মাদরাসাতুল কোরআনি ওয়াস সুন্নাহ মাদরাসার সিনিয়র উস্তাদ আল-আমিন বলেন, বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে ইসলামী প্রতি আগ্রহ আছে। এ কারণেই অনেক ইসলামী পত্রিকা বের হয়। এগুলো উপকারে আসছে বলেই টিকে আছে। কেননা এগুলোর মাধ্যমে বড় কোনো ব্যবসায়িক চিন্তা নেই, সরকারি বা বহুজাতিক বিজ্ঞাপনও নেই। তারপরও টিকে থাকা জনপ্রিয়তার লক্ষণ। বাকি কয়েকটি ছাড়া অধিকাংশ ধারাবাহিক নয়, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সফল নয়। ফলে বলা যায়, সম্ভাবনা ও সাময়িক উপকারিতা আছে। তবে আরো উন্নয়ন দরকার।

লালমনিরহাট সরকারি কলেজের মাস্টার্স বিভাগের আবু হোসেন শুভ বলেন, বাংলাদেশ ইসলামী পত্রিকার অনেক অভাব। আমি কলেজের ছাত্র। ইসলাম বিষয়গুলো তেমন জানি না। আমি চাই ইসলামী বিভিন্ন বিষয় জানতে। কিন্তু সত্য কথা হচ্ছে, সঠিক ইসলাম সম্পর্কে জানার মাধ্যম অনেক কম। এই দিকটা জানতে কোনো ইসলামী পত্রিকা পাই না। আবার ইসলামী বই কিনে যে পড়ব সেই বইও পাই না। আমার বড় ভাই ঢাকায় থাকেন। আমি মাঝে মাঝে তার কাছে যাই। তখন জাতীয় মসজিদের পাশের বিভিন্ন দোকান থেকে কিছু ইসলামী পত্রিকা সংগ্রহ করে পড়ি। আমার মনে হয়, যারা ইসলামী পত্রিকা বের করেন তাদের উচিত আরো ব্যাপক আকারে বের করা, যাতে করে প্রত্যেক মানুষ চাইলেই পত্রিকা কিনে পড়তে পারে এবং ইসলামের বিভিন্ন বিষয় সহজে জানতে পারে।

আলি আজগর অ্যান্ড আবদুল্লাহ ডিগ্রি কলেজর ছাত্রী আশা রহমান বলেন, আমি কলেজে পড়ি। ইসলামী বিভিন্ন বিষয় জানার জন্য ইসলামী বই ও পত্রিকাগুলো পড়ি। ‘আদর্শ নারী’ নারীদের পত্রিকা। আমার জানামতে, বাংলাদেশে এই একটিই নারীদের পত্রিকা। এই ‘আদর্শ নারী’ পত্রিকা ছাড়া অন্য আর পত্রিকাগুলোতে নারীদের বিষয়ে তেমন একটা লেখা দেখি না। আর ‘আদর্শ নারী’ পত্রিকাতেও আধুনিক তেমন কোনো বিষয় দেখতে পাই না। আসলে নারীদের প্রকৃতি বিষয়গুলো তুলে ধরতে হলে ভালো নারী লেখক লাগবে। বাংলাদেশে ইসলামী ভাবধারার নারী লেখকের সংখ্যা মনে হয় খুবই কম। আমি পত্রিকা কর্তৃপক্ষের কাছে আশা করব তারা যেন নারীদের জন্য প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ লেখা ইসলামী পত্রিকাগুলোতে প্রকাশ করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads