• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
সপ্তাহের নফল নামাজ

ছবি : সংগৃহীত

ধর্ম

সপ্তাহের নফল নামাজ

  • প্রকাশিত ১৮ জানুয়ারি ২০১৯

সাত দিনে সপ্তাহ। আর এই সাত দিনেও ইচ্ছে হলে আমরা বিভিন্ন ধরনের নফল নামাজ আদায় করতে পারি। আজ এ নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলো।

শনিবারের নফল নামাজ : হজরত আবু হুরায়রা (রা.) ও হজরত মুআজ ইবনে জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, শনিবার রাতে চার রাকাত নফল নামাজ রয়েছে। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি শনিবার দিন চার রাকাত নফল নামাজ আদায় করবে, আল্লাহতায়ালা তার জন্য ৭০ হাজার ফেরেশতা পাঠাবেন, যারা কিয়ামত পর্যন্ত তার জন্য দোয়া করতে থাকবে এবং কিরামান কাতেবিন তার জন্য শহীদের সওয়াব লিখতে থাকবে; সমুদ্রের ফেনা ও আকাশের তারকা সমান তার গুনাহ থাকলেও তা মাফ করে দেওয়া হবে।’

রোববারের নফল নামাজ : হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘রোববার চার রাকাত নফল নামাজ আদায় করবে।’

সোমবারের নফল নামাজ : হজরত আবু উমামা (রা.) বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি সোমবার দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করবে, সে অসংখ্য সওয়াবের অধিকারী হবে। হজরত উমর (রা.) বলেন, যে ব্যক্তি সোমবার দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করবে, তার জীবনের সব পাপ মাফ করে দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার রাতের ও দিনের নফল নামাজ : হজরত সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত, মঙ্গলবার রাতে ছয় রাকাত নফল নামাজ আছে। হজরত আনাস (রা.) বলেন, ‘মঙ্গলবার দিনে ১০ রাকাত নফল নামাজ রয়েছে।’ হজরত মুআজ ইবনে জাবাল (রা.) বর্ণনা করেন, মঙ্গলবার সূর্য ওঠার পর চার রাকাত নফল নামাজ পড়বে।

বুধবার রাতের ও দিনের নফল নামাজ : হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, বুধবার রাতে চার রাকাত নফল নামাজ আছে। হজরত মুআজ ইবনে জাবাল (রা.) বলেন, ‘বুধবার সন্ধ্যায় চার রাকাত নফল নামাজ পড়বে।’ হজরত আনাস (রা.) বলেন, ‘বুধবার দিনে চার রাকাত নফল নামাজ রয়েছে।’

বৃহস্পতিবারের নফল নামাজ : হজরত মুআজ ইবনে জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত, বৃহস্পতিবার আট রাকাত নফল নামাজ পড়বে। হজরত আনাস (রা.) বলেন, ‘বৃহস্পতিবার আট রাকাত নামাজ রয়েছে।’

জুমার রাতের নফল নামাজ : রসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার রাতে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়বে, তার পঠিত প্রতিটি হরফে আলোর জ্যোতি তৈরি হবে। সেই আলো হাশরের দিন তার সামনে সামনে দৌড়াবে। তার আমলনামা ডান হাতে দেওয়া হবে। দোজখ থেকে তাকে নিষ্কৃতি দেওয়া হবে। সে ৭০ জন সগোত্রীয় পাপীর জন্য সুপারিশ করতে পারবে।’ হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘শবে জুমুআ বা জুমার রাতে (বৃহস্পতিবার বাদ এশা) দুই রাকাত নফল নামাজ পড়বে। এই নামাজ বিশেষ ফলপ্রদ।’

শুক্রবারের নফল নামাজ : জুমার দিনে মসজিদে গিয়ে চার রাকাত নফল নামাজ পড়া মুস্তাহাব। রসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘জুমার দিনে মসজিদে গিয়ে চার রাকাত নফল নামাজ পড়লে ওই নামাজির জান, মাল, সন্তান, পরিজন এবং দুনিয়া ও আখিরাতের সম্পদ আল্লাহতায়ালা অনিষ্ট থেকে রক্ষা করবেন।’

 

শিলুফা এ. শিল্পী

লেখক : প্রাবন্ধিক

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads