• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
নবীজির (সা.) প্রিয় পোশাক

নবীজির (সা.) প্রিয় পোশাক

প্রতীকী ছবি

ধর্ম

নবীজির (সা.) প্রিয় পোশাক

  • সৈয়দ ফয়জুল আল আমীন
  • প্রকাশিত ২৫ জানুয়ারি ২০১৯

নবীজির (সা.) প্রতি ভালোবাসা ঈমানের অপরিহার্য অংশ। পরিপূর্ণ মুমিন হতে চাইলে তাঁকে (সা.) পিতা-মাতা, সন্তান-সন্ততি এবং সব মানুষ থেকে অধিক ভালোবাসতে হবে। ভালোবাসার অনেক দাবি আছে। এর মধ্যে অন্যতম একটি দাবি হলো, তিনি যা ভালোবাসতেন আমরাও তা ভালোবাসবো। তিনি যা পছন্দ করতেন আমরাও তা পছন্দ করব। সেই তো প্রকৃত আশেকে রসুল যে তার মাহবুব ও প্রেমাস্পদ পেয়ারা হাবিবের ভালোবাসা ও প্রিয়-অপ্রিয়কে নিজের প্রিয়-অপ্রিয় হিসেবে গ্রহণ করতে পেরেছে। এ আলোচনায় নবিজির (সা.) প্রিয় পোশাক নিয়ে আলোচনা করা হলো।

কামিজ ছিল নবীজির (সা.) প্রিয় পোশাক। পোশাক পরিধান করা কোনো ক্ষেত্রে ফরজ, কখনো হারাম আবার কোনো কোনো সময় মুস্তাহাব। ফরজ পোশাক হলো এতটুকু, যা দিয়ে শরীর ঢাকা যায়। হারাম হলো, পুরুষের জন্যে পায়ের গোড়ালির নিচে পোশাক পরিধান করা। আর দুই ঈদে উত্তম পোশাক পরিধান করা মুস্তাহাব। সকলের জন্য পোশাকের একটি মার্জিত রূপ ও রুচি থাকা চাই। দেশের জাতিভেদের তারতম্য থাকলেও পোশাকের মাঝে একটা শালীনতা থাকা দরকার। যে ধরনের পোশাক পরলে মনে কুপ্রবৃত্তি জন্মে না, তেমন পোশাকই আমাদের পরিধান করা উচিত। তবে এ কথাও সত্য যে, ইসলামের দৃষ্টিতে বিশেষ কোনো পোশাক নেই। এর ওপর কোনো বিধি-নিষেধও নবী- পয়গম্বররা দিয়ে যাননি। আবহাওয়ার সঙ্গে মিল রেখে শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য যে কোনো পোশাকই ব্যবহার করা চলে।

এর প্রমাণ আমরা পাই হজরত আব্বাস (রা.) এবং হজরত ওমরের (রা.) বাণী থেকে- ‘যা ইচ্ছা আহার কর, পান কর ও পরিধান কর, যে পর্যন্ত অমিতব্যয়িতা ও অহঙ্কারের সঙ্গে মিশ্রিত না হয়।’ এ প্রসঙ্গে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘গোড়ালির নিচে পায়ের যে অংশে কাপড় ঝোলে তা দোজখে যাবে।’

উম্মে সালমা (রা.) বর্ণনা করেন, রসুল (সা.) পোশাক হিসেবে সর্বাধিক পছন্দ করতেন ‘কামিজ’। (ইবনে মাজাহ, হাদিস-৪০২৭) কামিজের বিবরণ সম্পর্কে বিভিন্ন হাদিসের ভিত্তিতে জানা যায়, এই পোশাকটি ছিল হাঁটুর নিম্নভাগ পর্যন্ত লম্বা। হাতা ছিল হাতের আঙুলের প্রান্ত পর্যন্ত দীর্ঘ। এ পোশাকের দৈর্ঘ্য সবসময়ই পায়ের গোড়ালির উপরে থাকত। মহানবী (সা.) অধিকাংশ সময়ে এ ধরনের পোশাক পরতে ভালোবাসতেন। (শামায়েলে তিরমিজি-২৮) যা অনেকাংশেই আমাদের সমাজে প্রচলিত পোশাক পায়জামা-পাঞ্জাবির মতো। বিশেষ কোনো সমস্যা না থাকলে আমরাও সার্বক্ষণিক এ ধরনের পোশাক পরিধান করতে পারি।

 

লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads