• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

ধর্ম

বিপর্যয় থেকে বান্দার মুক্তি

  • আবু রোকাইয়া
  • প্রকাশিত ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

আল্লাহতায়ালার সর্বশ্রেষ্ঠ ও সবচেয়ে সুন্দর সৃষ্টি হলো মানবজাতি। আর আঠার হাজার মাখলুক বা সৃষ্টির মধ্যে জীবজন্তু, পশুপাখি, কীটপতঙ্গ, গাছপালা, তরুলতা, আগুন, পানি, বাতাস এ সবই সৃষ্টি করেছেন আল্লাহপাক মানবজাতির উপকার ও সেবার জন্য। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ঘোষণা করেছেন- তোমরা কি দেখ না যে, আল্লাহতায়ালা আসমান ও জমিনে যা কিছু রয়েছে সবই তোমাদের কল্যাণ ও সেবার জন্য তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন এবং প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সব নিয়ামত ও করুণা তোমাদের প্রতি পূর্ণ করে দিয়েছেন (সুরা লোকমান : আয়াত ২০)।

জলে-স্থলে বিচরণকারী পশুপাখি ও নানা ধরনের মাছ মানুষের জন্য আল্লাহ হালাল করে দিয়েছেন। মৌসুম অনুযায়ী আরো দিয়েছেন বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু ফল। আশরাফুল মাখলুকাত মানুষের আরাম ও শান্তির জন্য দিয়েছেন বাড়িঘর, দালানকোঠা ও চোখ ধাঁধানো ইমারত নির্মাণের জ্ঞান যা অন্য কোনো জীবজন্তু, পাখপাখালি ও কীটপতঙ্গকে দেওয়া হয়নি। সর্বোপরি মানুষের জীবনধারণের জন্য তৈরি করেছেন পানি, বায়ু, আগুন ইত্যাদি। বস্তুত মানুষের উপকার ও সেবার জন্য আল্লাহপাক যে বায়ু, পানি, আগুন ও গাছপালা, তরুলতা সৃষ্টি করেছেন; যে সূর্যের আলো ছাড়া মানুষসহ জীবজন্তু, পশুপাখি, গাছপালা, তরুলতা কিছুই বাঁচতে পারে না, সেই সূর্যের প্রচণ্ড তাপে আজ জনজীবন অতিষ্ঠ। কেন প্রকৃতির এ কঠোর অবস্থা। পৃথিবীতে এমন কোনো শক্তি নেই যে, সূর্যের প্রখর দাবদাহকে প্রতিহত করবে, রক্ষা করবে ভূমিকম্পের ভয়ঙ্কর ধ্বংস থেকে মানবজাতিকে। এমনকি উন্নত বিশ্বেও এমন কোনো প্রযুক্তি আবিষ্কার হয়নি যা দিতে পারে ভূমিকম্পের আগাম বার্তা। তবে দুনিয়াব্যাপী এসব বিপর্যয়ের কারণ ব্যাখ্যা করে মহান আল্লাহ ঘোষণা করেছেন- মানুষের কৃতকর্মের ফলে স্থলে ও জলে (সমুদ্রে) সর্বত্র বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়ছে। মূলত আল্লাহতায়ালা তাদের কিছু অন্যায় কাজকর্মের জন্য তাদের শাস্তির স্বাদ আস্বাদন করাতে চান, যাতে তারা ওইসব অন্যায় আচরণ থেকে ফিরে আসে (সুরা রোম : আয়াত ৪১)।

এ আয়াতের মাধ্যমে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, একমাত্র মহান আল্লাহর আদেশ-নিষেধ অমান্য করার কারণেই অতীতে আল্লাহর নাফরমানির কারণে কওমে নূহ, কওমেলুত, আদ-মামুদ ও ফিরআউনের কওমকে আগুন, পানি, জলোচ্ছ্বাস ও বাতাস দিয়ে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।

সুতরাং বর্তমানে পৃথিবীব্যাপী খরা, দাবদাহ, ভূমিকম্প, জলোচ্ছ্বাস, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, মহামারী ইত্যাদি থেকে মুক্তি পেতে হলে বিশ্বের প্রতিটি মানুষকে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে তথা সর্বক্ষেত্রে আল্লাহর আইন মান্য করা ও বাস্তবায়ন ছাড়া বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেই। আল্লাহপাক তাঁর আদেশ-নিষেধ মেনে চলার তৌফিক দান করুন। আমিন।

 

লেখক : গবেষক ও প্রাবন্ধিক

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads