• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
বজ্রপাত খোদায়ি দুর্যোগ

বজ্রপাত

সংগৃহীত ছবি

ধর্ম

বজ্রপাত খোদায়ি দুর্যোগ

  • মুফতি মুহাম্মদ মর্তুজা
  • প্রকাশিত ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

হাদিস শরিফে এসেছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুল (সা.) ইরশাদ করেন, তোমাদের প্রবল পরাক্রমশালী প্রভু বলেছেন, যদি আমার বান্দারা আমার বিধান মেনে চলত, তবে আমি তাদের রাতের বেলায় বৃষ্টি দিতাম, সকালবেলায় সূর্য দিতাম এবং কখনো তাদের বজ্রপাতের আওয়াজ শোনাতাম না। (মুসনাদে আহমদ : ৮৭০৮)

বজ্রপাত খোদায়ি দুর্যোগ, এর থেকে বেঁচে থাকার কিছু বাহ্যিক করণীয়ও রয়েছে। হাদিস শরিফে উল্লেখ রয়েছে, বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্রিয় নবী (সা.) তাঁর উম্মতদের বিভিন্ন দোয়া শিখিয়েছেন। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) তাঁর বাবা থেকে বর্ণনা করেন, রসুল (সা.) যখন বজ্রের শব্দ শুনতেন তখন বলতেন, ‘আল্লাহুম্মা লা তাকতুলনা বিগজাবিকা ওয়ালা তুহলিকনা বিআজাবিকা ওয়া আ-ফিনা কবলা জালিকা।’ (তিরমিজি : ৩৪৫০) অন্য রেওয়ায়েতে আছে, হজরত ইবনে আবি জাকারিয়া থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি বজ্রের আওয়াজ শুনে এ দোয়া পড়বে, ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি’, সে বজ্রে আঘাতপ্রাপ্ত হবে না। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা : ২৯২১৩)

কখনো কখনো শোনা যায়, বজ্রপাতে নিহত মানুষের লাশ চুরি করে একশ্রেণির অসাধু মানুষ তা চড়া মূল্যে বিক্রি করে, যা অত্যন্ত ঘৃণ্য কাজ। অথচ মহান আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে আদম সন্তানকে দেওয়া হয়েছে আশরাফুল মাখলুকাত তথা শ্রেষ্ঠ জীবের মর্যাদা। তাদের জীবিত অবস্থায় যেরূপ সম্মান রয়েছে, মৃত্যুর পরও অনুরূপ সম্মান আছে। রসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা তোমাদের মৃতদের দোষত্রুটি নিয়ে আলোচনা কোরো না। বরং তাদের ভালো বিষয়গুলো আলোচনা করো।’ (তিরমিজি ৩/২৩৮)

মৃত মানুষের লাশ যে কতটা সম্মানিত, তা বোঝাতে হাদিস শরিফে বলা হয়েছে, ‘মৃত লাশের হাড্ডি ভাঙা জীবিত মানুষের শরীরের হাড্ডি ভাঙার মতো জঘন্য কাজ।’ (আবু দাউদ শরিফ) হাদিস শরিফে আরো ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা কবরের ওপর বোসো না’ (মুসলিম)। অন্য হাদিসে এসেছে, ‘তোমাদের কেউ জ্বলন্ত অঙ্গারের ওপর বসার চেয়েও জঘন্য হলো তোমার মৃত মুমিন ভাইয়ের কবরের ওপর বসা।’ কেননা তাতে ওই কবরবাসীকে অসম্মান করা হয়ে থাকে।

 

লেখক : গবেষক ও প্রাবন্ধিক

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads