• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
সুন্দর মৃত্যুর জন্য করণীয়

সুন্দর মৃত্যুর জন্য করণীয়

প্রতীকী ছবি

ধর্ম

সুন্দর মৃত্যুর জন্য করণীয়

  • মোহাম্মদ মুহিব্বুল্লাহ
  • প্রকাশিত ১৩ মার্চ ২০১৯

সুন্দর মৃত্যুর জন্য বিশেষ কিছু করণীয় রয়েছে— এক. ইবাদতের ধারাবাহিকতা ধরে রাখা; দুই. কোনো পাপকাজ সংঘটিত হলে দ্রুত তাওবা করা; তিন. আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম পন্থায় মৃত্যুর জন্য দোয়া করা; চার. জাহের ও বাতেন তথা প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে আমলের সঙ্গে লেগে থাকা; পাঁচ. দ্বীনের ওপর অবিচল থাকা; ছয়. আল্লাহর সম্পর্কে ভালো ধারণা পোষণ করা; সাত. তাকওয়া ও খোদাভীতি অর্জন করা; আট. বেশি বেশি তওবা, ইস্তেগফার করা; নয়. বেশি বেশি মৃত্যুর চিন্তা করা এবং দীর্ঘ জীবনের আশা পরিত্যাগ করা; এবং দশ. অপমৃত্যু থেকে আল্লাহর কাছে পরিত্রাণ চাওয়া।

জীবনের সময়টুকুই একজন মানুষের ইহকালীন মূলধন। যদি তা আখিরাতের কল্যাণের ক্ষেত্রে কাজে লাগানো হয়, তবেই তো সফলতা। আর যদি তা বিনষ্ট করা হয় গুনাহ ও পাপাচারে এবং সেই অবস্থায় মৃত্যু হয়, তাহলে সে হবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, ‘ইমানদার ব্যক্তি গুনাহকে এমন মনে করে, যেন সে কোনো পাহাড়ের নিচে বসে আছে। আর যে কোনো মুহূর্তে পাহাড়টি তার ওপর ধসে পড়তে পারে’ (বুখারি, ১১/৮৯)।

যখন মৃত্যু নিকটবর্তী হয়, তখন অধিক পরিমাণে আল্লাহর রহমতের আশা করা উচিত। আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাতের আগ্রহ প্রবল হওয়া উচিত। কারণ যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাতে আগ্রহী হয়, আল্লাহও তার সাক্ষাতে আগ্রহী হন। রসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের প্রত্যেকে যেন কেবল এ অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে যে সে আল্লাহর প্রতি সুধারণা পোষণ করে’ (মুসলিম : ২৮৭৭)।

বেশি বেশি মৃত্যুকে স্মরণ করলে দুনিয়ার মোহ কেটে যায় এবং আখিরাতের চিন্তা সৃষ্টি হয়। ফলে তা বান্দার মধ্যে বেশি বেশি নেক আমলের প্রেরণা সৃষ্টি করে এবং ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ায় অবৈধ ভোগবিলাস থেকে বিরত রাখে।

এ সময় বেশি করে নেককারদের সংস্পর্শে আসা উচিত। কারণ নেককার ব্যক্তিদের ইবাদত-মগ্নতা, পুণ্যের কাজ যখন অন্য মানুষ প্রত্যক্ষ করে, তখন তাদের মধ্যেও পুণ্যের পথে চলার সাহস ও প্রেরণা জাগে। একইভাবে মানুষ যখন তাদের আল্লাহমুখিতা ও দুনিয়াবিমুখতা প্রত্যক্ষ করে, তখন তাদের মনেও এই বৈশিষ্ট্য অর্জনের আগ্রহ জাগে। মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘সব ভোগ-উপভোগ বিনাশকারী মৃত্যুকে তোমরা বেশি বেশি স্মরণ করো’ (তিরমিজি : ২৪০৯)।

 

লেখক : ইসলামবিষয়ক গবেষক

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads