• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

ধর্ম

ইসলামের দৃষ্টিতে শিশু নির্যাতন

  • মো. তালহা
  • প্রকাশিত ২৪ মার্চ ২০১৯

শিশুরা জাতির ভবিষ্যৎ। আজকের শিশু বড় হয়ে একটি দেশের কর্ণধার হবে। অথচ সেই শিশুসন্তানকে নির্যাতন করে হত্যা করা হচ্ছে। শিশুসন্তানকে হত্যা করতে আল্লাহতায়ালা নিষেধ করেছেন।

মহান আল্লাহতায়ালা বলেন, তোমরা নিজেদের সন্তানকে হত্যা করো না (সুরা বাকারা : ১৫১)।

মহান আল্লাহতায়ালা আরো বলেন, ‘যেসব লোক নিজেদের সন্তানদের হত্যা করেছে তারা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে’ (সুরা আনআম-১৪০)।

শিশুসন্তান যদি অন্য ধর্মাবলম্বী হয়, তাহলে এরপরও তাকে নির্যাতন বা হত্যা করা যাবে না।

হজরত আল আসওয়াদ ইব্ন সারী (রা) থেকে বর্ণিত, রসুল (সা.) বলেন, ‘খবরদার! তোমরা শিশুদের হত্যা করো না।’

এক ব্যক্তি বলল, ইয়া রসুলুল্লাহ! তারা কি মুশরিকের সন্তান নয়? রসুল (সা.) বললেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা উত্তম তারা কি মুশরিকের সন্তান ছিলে না’ (মুসনাদ আহমদ : ১৫৬৭৪)। শিশু নির্যাতন করে তাদের হত্যাকারীদের জন্য আল্লাহতায়ালা ভয়ানক শাস্তির ব্যবস্থা করে রেখেছেন। মহান আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো ব্যক্তিকে জেনে বুঝে হত্যা করবে তার শাস্তি হবে জাহান্নাম। তাতে সে থাকবে অনন্তকাল’ (সুরা নিসা : ৯৩)।

শিশুদের নির্যাতন করে হত্যা না করে তাদের প্রাণ বাঁচাতে হবে। মহান আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘কেউ কাউকে নরহত্যার অপরাধ ছাড়া হত্যা করলে সে যেন গোটা মানবজাতিকে হত্যা করল। আর কেউ কারো প্রাণ বাঁচালে সে যেন গোটা মানবজাতিকে বাঁচালো’ (সুরা মায়িদা : ৩২)।

শিশুদের প্রতি রসুল (সা.)-এর ভালোবাসা ছিল অতুলনীয়। রসুল (সা.) বলেন, ‘সে আমার উম্মত নয়, যে ছোটদের স্নেহ এবং বড়দের সম্মান করে না’ (আবু দাউদ)।

মহানবী (সা.)-এর অকৃত্রিম ভালোবাসা, স্নেহ, মমতা সবার জন্য নিবেদিত। শিশু যেহেতু দুনিয়ায় পুষ্পবিশেষ, তাই তাদেরও খুব ভালোবাসতেন, আদর করতেন, স্নেহ করতেন।

হজরত ইবন উমর (রা.) বলেন, রসুলে করিম (সা.)-এর নেতৃত্বাধীন কোনো যুদ্ধে এক মহিলাকে নিহত অবস্থায় পাওয়া গেল। এতে রসুলে করিম (সা.) গভীরভাবে মর্মাহত হন এবং নারী ও শিশুদের হত্যা করতে নিষেধ করেন।

সুতরাং সমাজের অবহেলিত, বঞ্চিত, নির্যাতিত শিশুদের প্রতি সহমর্মিতার হাত আমাদেরও প্রসারিত করা উচিত। আসুন, আমরা মহানবী (সা.)-এর কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করি।

 

লেখক : গবেষক ও প্রাবন্ধিক

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads