• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
যে কারণে দোয়া কবুল হয় না

যে কারণে দোয়া কবুল হয় না

প্রতীকী ছবি

ধর্ম

যে কারণে দোয়া কবুল হয় না

  • মুফতি এনায়েতুল্লাহ
  • প্রকাশিত ১৩ এপ্রিল ২০১৯

ইসলামী শরিয়তের দৃষ্টিতে হালাল উপার্জন ও সৎপথে রোজগার একটি প্রশংসনীয় কাজ। এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘হে মানবমণ্ডলী, পৃথিবীর হালাল ও পবিত্র বস্তুসামগ্রী ভক্ষণ করো। আর শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না; সে নিঃসন্দেহে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু’ (সুরা আল বাকারা : ১৬৮)।

ইসলামী শরিয়তের বিধান হলো, হারাম উপার্জনকারীর কোনো আমল আল্লাহতায়ালার কাছে কবুল হয় না। তার দোয়া কবুল হয় না। কোনো বরকত থাকে না তার সম্পদে। এক হাদিসে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘হে সাদ! পবিত্র খাবার গ্রহণ করো, তাহলে তোমার দোয়া কবুল হবে। সেই সত্তার কসম, যার হাতে মুহাম্মদের প্রাণ; বান্দা যখন তার মুখে হারাম উপায়ে কোনো খাবার গ্রহণ করে, আল্লাহ ৪০ দিন তার কোনো আমল কবুল করেন না। আর যে ব্যক্তি বেড়ে ওঠে অবৈধ সম্পদ আর হারাম উপার্জিত অর্থে, তার জন্য জাহান্নামের আগুনই উত্তম।’

অসৎ ও অবৈধ উপায়ে অর্জিত সম্পদের দান-সদকাও কবুল হয় না। সুদ-ঘুষ, চুরি-ডাকাতি আর হারাম ব্যবসা-বাণিজ্যের অর্থ-সম্পদের দ্বারা আল্লাহর নৈকট্য প্রত্যাশা করা যায় না। হাদিসে হজরত রসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘পবিত্রতা ছাড়া নামাজ আর চুরি ও আত্মসাতের সম্পদের সদকা কবুল হয় না’ (সহিহ মুসলিম)।

হারাম রিজিক, হারাম খাদ্য বড় সাংঘাতিক বস্তু। হারাম খাদ্য শরীরের প্রতিটি শিরা-উপশিরায় ঢুকে যায়। যার কারণে হারাম কিছু খেলে তার দোয়া আল্লাহর দরবারে কবুল হয় না। দোয়া কবুল হওয়ার জন্য কাপড়-চোপড়, খাওয়া-দাওয়া, ব্যবসা-বাণিজ্য সব কিছু হালাল হতে হবে।

তাই উপার্জনের ক্ষেত্রে আমাদের সাবধান হতে হবে। হারাম থেকে বিরত থাকতে হবে। ভাগ্যে যতটুকু আছে, তা আসবেই। এ বিষয়ে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘পৃথিবীর কোনো প্রাণী তার রিজিক শেষ করার আগ পর্যন্ত মারা যাবে না। সাবধান! সুতরাং আল্লাহকে ভয় করো এবং উপার্জনের ক্ষেত্রে সৎ পথ অবলম্বন করো। তাকদিরে লেখা রিজিক আসতে বিলম্ব হলেও অসৎ পথে উপার্জন করো না। আল্লাহর আনুগত্য করেই শুধু তার কাছ থেকে পাওয়া সম্ভব’ (মিশকাত)।

 

লেখক : ইসলামবিষয়ক চিন্তাবিদ

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads