• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
যানবাহনে চলাচলের সময় করণীয়

যানবাহনে চলাচলের সময় করণীয়

প্রতীকী ছবি

ধর্ম

যানবাহনে চলাচলের সময় করণীয়

  • টি. এম. ইবনে সিরাজী
  • প্রকাশিত ২৬ এপ্রিল ২০১৯

আমরা যানবাহনে ওঠার সময় খুব তাড়াহুড়ো করি। প্রথমে কে উঠবে তা নিয়ে চলে প্রতিযোগিতা। সবার আগে যানবাহনে ওঠার চেষ্টা করি। আমাদের তাড়াহুড়োর কারণে পাশে থাকা লোকটি পড়ে গিয়ে যে কোনো সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন। তাই যানবাহনে ওঠার সময় কোনো ধরনের তাড়াহুড়ো না করে ধীরে ওঠা আমাদের অবশ্যই প্রয়োজন।

থেমে থাকা বাহনে ওঠার সময় প্রথমে ‘বিসমিল্লাহ’ পড়ে পা রেখে বসার পর ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলতে হয়। এরপর যানবাহনে ওঠার দোয়া পাঠ করার পর তিনবার ‘আলহামদুলিল্লাহ’ ও তিনবার ‘আল্লাহু আকবর’ বলে সর্বশেষ এই দোয়া পড়তে হয়- ‘সুবহানাকা ইন্নি জলামতু নাফসি জুলমান কাসিরান ফাগফিরলি ইন্নাহু লাইয়াগফিরনিজ্জুনুবা ইল্লা আরতা।’ (তিরমিজি)

রসুল (সা.) থেকে বর্ণিত, তিনি সাওয়ারিতে বসার পর যে দোয়া বলতেন সেটি হলো, ‘সুবহানাল্লাজি সাখখারালানা হা জা ওয়ামা কুননা লাহু মুক্করিনিন ওয়া ইন্না ইলা রাব্বিনা লামুনক্কালিবুন। অর্থাৎ মহান পবিত্র তিনি, যিনি আমাদের জন্য এটাকে অধীন নিয়ন্ত্রিত বানিয়ে দিয়েছেন অথবা আমরা তো এটাকে বশ করতে সক্ষম ছিলাম না একদিন আমাদেরকে আমাদের প্রভুর কাছে অবশ্যই ফিরে যেতে হবে’ (সুরা জুখরুফ, আয়াত: ১৩-১৪)।

নদীপথে ভ্রমণের সময়ে দোয়া পাঠ করতে হয়। হজরত নূহ (আ.)-কে নির্দেশ করা হলো যে, বেঈমানদের বাদ দিয়ে ঈমানদার নিয়ে নৌকার পাল তুলে নিন। হজরত নূহ (আ.) দোয়া করেন, ‘বিসমিল্লাহি মাজরেহা ওয়ামুরসাহা ইন্না রাব্বি লা গাফুরুর রহিম। অর্থাৎ আল্লাহর নামেই এর গতি ও স্থিতি। আমার পালনকর্তা অতি ক্ষমাপরায়ণ মেহেরবান’ (সুরা হুদ, আয়াত: ৪)।

যাত্রাপথে বিভিন্ন বিপদ হতে পারে। সেই বিপদাপদ থেকে রক্ষা পেতে ঘর থেকে বের হওয়ার সময় দোয়া পাঠ করা জরুরি। রসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি এই দোয়া পড়ে ঘর থেকে বের হবে, সব বিপদ থেকে সে নিরাপদ থাকবে এবং ইবলিশ শয়তান তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। দোয়াটি হলো বিসমিল্লাহি তাওয়াককালতু আলাল্লাহি ওয়া লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ অর্থাৎ আমি আল্লাহর নামে আল্লাহর ওপর ভরসা করছি। আল্লাহর শক্তি ও সমর্থ ছাড়া কারো কোনো ক্ষমতা নেই’ (তিরমিজি)।

আমরা যখন যানবাহনে বিভিন্ন স্থান সফর করে বাড়িতে ফিরব, তখন নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারায় সর্বপ্রথম আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করাসহ রসুল (সা.)-এর প্রতি দরূদ পাঠ করা প্রয়োজন। শুকরিয়া হিসেবে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা খুব উত্তম। হজরত কাব ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রসুল (সা.) যখন সফর থেকে বাড়ি ফিরতেন তখন সর্বপ্রথম মসজিদে গিয়ে দুই রাকাত নামাজ পড়তেন। (বুখারি ও মুসলিম)

 

লেখক : আলেম ও নিবন্ধকার

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads