• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
প্রথম ১০ দিন রহমতের

ছবি : সংগৃহীত

ধর্ম

প্রথম ১০ দিন রহমতের

  • সৈয়দ ফয়জুল আল আমীন
  • প্রকাশিত ০৯ মে ২০১৯

মহান আল্লাহতায়ালার কৃপায় পবিত্র মাহে রমজানের তৃতীয় রোজা অতিবাহিত করার আমরা সৌভাগ্য পাচ্ছি, আলহামদুলিল্লাহ। রোজাদার হিসেবে জেনে রাখা ভালো যে, পবিত্র রমজানুল মোবারককে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম ১০ দিন রহমতের এবং এই সময়ে আল্লাহর অফুরন্ত রহমত বর্ষিত হতে থাকে। বলতে হয়, আমাদের অস্তিত্বজুড়ে আল্লাহর রহমত। রহমত ছাড়া এক মুহূর্তও বাঁচার উপায় নেই। তবে পবিত্র রমজানের প্রথম দশকে আরো প্রবল বেগে বইতে থাকে রহমতের বারিধারা। এতে সিক্ত হয়ে মুমিন বান্দারা পরকালে সুউচ্চ আসনে আসীন হতে পারেন।

রাসুল (সা.) বলেন, তোমাদের সামনে রমজান মাস হাজির। এটি অত্যন্ত বরকতপূর্ণ মাস। এ মাসের রোজা আল্লাহ তোমাদের ওপর ফরজ করেছেন। এ মাসে রহমতের দরজাগুলো উন্মুক্ত হয়ে যায়, জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং বড় বড় শয়তানকে আটক করে রাখা হয়। এ মাসে এমন একটি রাত আছে, যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। যে লোক এই রাতের মহাকল্যাণ লাভ থেকে বঞ্চিত থাকল, সে প্রকৃতই সবকিছু থেকে বঞ্চিত ব্যক্তি।

মুমিন বান্দারা রোজা পালনের মধ্য দিয়ে আত্মিকভাবে নিজেদের গড়ে তুলতে সক্ষম হন। তাই আল্লাহতায়ালা রোজাদারদের জন্য পবিত্র রমজান মাসে তার রহমতের দরজা অবারিত করে দেন। রমজানে রোজাদার আল্লাহর কাছে যত চাইবে, আল্লাহ ততই দেবেন। কারণ যে বান্দা আল্লাহর কাছে চায়, আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট হন। আর যে চায় না, তার প্রতি অসন্তুষ্ট হন। তাই আল্লাহর কাছে চাওয়ার ক্ষেত্রে কখনো কুণ্ঠিত হওয়া উচিত নয়। এক্ষেত্রে মনে রাখা চাই, রমজান মাসের প্রতিটি মুহূর্ত মহান আল্লাহর বিশেষ রহমতে পরিপূর্ণ। বরকত ও কল্যাণের এ মাসে বেশি বেশি দোয়া-দরুদ পাঠ, তওবা-ইস্তেগফার ও প্রার্থনার মাধ্যমে আল্লাহর রহমত বেশি মাত্রায় লাভ করা সম্ভব।

আমরা প্রত্যেকেই আল্লাহর রহমতের মুখাপেক্ষী। প্রতি মুহূর্তই আমরা রহমত নিয়ে বাঁচি। আল্লাহর রহমত কারো অনুকূলে না থাকলে সে জীবনে ধ্বংস অনিবার্য। জগতে যারা সফল হয়েছেন তাদের সবাই আল্লাহর অনুগ্রহ ও রহমতপ্রাপ্ত। আর রমজান আমাদের আল্লাহর রহমত লাভের অনন্য সুযোগ করে দিয়েছে। এর প্রথম দশকে আমরা বেশি পরিমাণে তওবা, ইস্তেগফার ও দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারি। আমরা আল্লাহর দিকে যত দ্রুত এগিয়ে যাব, আল্লাহ এর চেয়ে শতগুণ বেশি বেগে আমাদের দিকে ছুটে আসবেন। আল্লাহর রহমতও এমনই। যারা গোলামির মাধ্যমে আল্লাহকে রাজি-খুশি করতে পারবে; দুনিয়া-আখেরাতে আল্লাহর রহমত তাদের সঙ্গী হবে।

রমজানে বিশেষ রহমত লাভের সুবর্ণ সুযোগ পেয়েও যারা কাজে লাগাতে পারবে না তারা খুবই হতভাগা। তাদের এই হতভাগ্য নিয়ে আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা.) আক্ষেপ করেছেন। রসুল (সা.) বলেন, ‘যে রমজানে তার পাপ মোচন করাতে পারল না তার চেয়ে হতভাগা আর নেই।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads