• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
ছোটদের রোজার প্রস্তুতি

ছবি : সংগৃহীত

ধর্ম

ছোটদের রোজার প্রস্তুতি

  • সৈয়দ ফয়জুল আল আমীন
  • প্রকাশিত ১৯ মে ২০১৯

রমজান মুসলমানদের জন্য ত্যাগ-তিতিক্ষা ও একনিষ্ঠ সাধনার বার্তা নিয়ে আসে। রসুল (সা.) বলেছেন, সাত বছর বয়স হলে তোমরা তোমাদের সন্তানদের নামাজের জন্য নির্দেশ দাও। বয়স ১০ বছর হলে (নামাজ না পড়লে) তাদের প্রহার করো এবং তাদের বিছানা পৃথক করে দাও। (মুসনাদে আহমদ : ৬৭৫৬)। বিভিন্ন আলামত প্রকাশ বা বয়স ১৫ হলে বালেগ হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হবে। রোজার ক্ষেত্রে একই নিয়ম।

সাত বছর বয়সে রোজা রাখা কঠিন হলেও রোজা রাখার চর্চা শুরু করতে হবে; কিন্তু বালেগ হলে অবশ্যই রোজা রাখতে হবে। এজন্য আগে থেকেই রোজা রেখে ফরজ রোজার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে অভিভাবকদের কর্তব্য হলো সন্তানদের ছোটবেলা থেকেই রোজা রাখতে উদ্বুদ্ধ করা এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় শিক্ষা প্রদান করা। যাতে বালেগ হওয়ার পর সে আপনা থেকে রোজা রাখতে উৎসাহ ও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। সাহাবিরাও তাদের সন্তানদের ক্ষেত্রে এ নিয়মকানুনগুলো পালন করেছেন।

রসুল (সা.) এরশাদ করেছেন, প্রতিটি ব্যক্তি তার পরিবারের ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল এবং সে তার অধীনদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হবে। (নাসায়ি : ৯১৭৩)। অনেক অভিভাবক আছেন যারা তাদের সন্তানদের প্রতি স্নেহ ও ভালোবাসা প্রদর্শন করতে গিয়ে বরং তাদের প্রতি এক ধরনের অবিচার করেন। এমনটি করা যাবে না। ছোটরা রোজা না রাখলেও তাদের রোজার প্রয়োজনীয় নিয়ম-কানুন শেখাতে হবে। সেহরির সময় তাদের ডেকে তুলে একসঙ্গে সেহরি খেতে দিতে হবে। ইফতারির সময়ও তাদের সঙ্গে রাখতে হবে। অর্থাৎ তারা নিয়ম মেনে সেহরি ও ইফতারে অংশগ্রহণ করবে।

অনেক সময় দেখা যায়, রোজা না রাখলেও সময় হওয়ার আগেই ইফতারি খেতে শুরু করেছে। এটা উচিত নয়; তাছাড়া এটা আদবের খেলাফ। ছোটদের সেহরি ও ইফতারের নিয়মকানুনগুলো শিখিয়ে দিতে হবে এবং কেবল খাওয়া-দাওয়া নয়, তারা যেন ধর্মীয় বিধান হিসেবে সেহরি ও ইফতার গ্রহণ করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এতে রোজা রাখার প্রতি তাদের মনে আগ্রহ জন্মাবে এবং পরবর্তী সময়ে এটা তাদের জন্য উপকারী হবে। রমজান মাস হতে পারে ছোটদের কোরআন শেখার উৎকৃষ্ট সময়। কারণ রমজান মাসে সরকারি ও বেসরকারি সব ধরনের সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে।

রমজান মাসে প্রতিটি পরিবারে কোরআন পাঠ ছাড়া ইসলামী আকিদা ও বিশ্বাস, নবী-রসুলদের জীবনী, সাহাবায়ে কেরাম ও মুসলিম মনীষীদের জীবনী, মুসলমান হিসেবে কর্তব্যগুলো ও আখেরাতের অবস্থা ইত্যাদি বিষয়ে তালিম করা একান্ত দরকার। এসব বিষয় ছোটদের মানস গঠনে সহায়ক ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই প্রতি বছর রমজান শুরুর আগেই তাদের এ লক্ষ্যে মানসিকভাবে প্রস্তুত করে তুলতে হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads