• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
রমজান জাকাত আদায়ের সর্বোত্তম সময়

প্রতীকী ছবি

ধর্ম

রমজান জাকাত আদায়ের সর্বোত্তম সময়

  • সৈয়দ ফয়জুল আল আমীন
  • প্রকাশিত ২২ মে ২০১৯

জাকাত ইসলামের অন্যতম মৌলিক একটি ইবাদত। নিত্য প্রয়োজনাতিরিক্ত সাড়ে ৭ তোলা সোনা বা সাড়ে ৫২ তোলা রুপা বা সমমানের নগদ অর্থ /সম্পদের মালিক হলে এবং এ অবস্থায় এক বছর অতিক্রান্ত হলে বিবেক-বুদ্ধিসম্পন্ন প্রাপ্তবয়স্কের ওপর জাকাত ফরজ হয়। এ হিসাবকে ইসলামী পরিভাষায় ‘নেসাব’ বলে। কারো যদি নেসাব পরিমাণ সম্পদ এক বছর পর্যন্ত থাকে, তাহলে তার ওপর জাকাত ফরজ হবে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহতায়ালা ঘোষণা করেছেন, ‘তাদের (সম্পদশালীদের) ধনসম্পদে রয়েছে অভাবগ্রস্ত ও বঞ্চিতের হক।’ (সুরা আল-জারিআত, আয়াত : ১৯)

বৈবাহিক সম্পর্ক ও ঔরসজাত সম্পর্কের মানুষকে জাকাত দেওয়া যায় না। কাজেই স্বামী-স্ত্রী, পিতা-পুত্র, দাদা-নাতি কাউকে জাকাত দেওয়া যাবে না। অনুরূপভাবে রসুল (সা.)-এর বংশের কাউকে জাকাত দেওয়া যাবে না। আল্লাহতায়ালা জাকাত আদায়ের সাতটি খাত উল্লেখ করেছেন- ফকির, মিসকিন, জাকাত উসুল ও আদায়ের কাজে নিয়োজিত, ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট করার জন্য, দাসমুক্তির জন্য, ঋণগ্রস্তদের জন্য, জেহাদকারীর জন্য এবং মুসাফির। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘প্রতিটি বস্তুরই একটি জাকাত রয়েছে, আর মানুষের দেহের জাকাত হলো রোজা।’ (ইবনে মাজা)। রোজাকে দেহের জাকাতস্বরূপ বলা হয়েছে, জাকাত আদায় করলে যেমন মানুষের উপার্জিত সব সম্পদ পবিত্র হয়, তেমনি রমজান মাসে রোজা পালন করলে সারা শরীর পবিত্র হয়ে যায়।

হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে, ‘যে ব্যক্তি তার সম্পদের জাকাত প্রদান করে, তার সম্পদের দোষ দূর হয়।’ জাকাত দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনো সময়ের বাধ্যবাধকতা না থাকলেও রমজান মাসই জাকাত আদায়ের সর্বোত্তম সময়। কারণ রমজান মাসে দান-সদকা করলে অন্য সময়ের চেয়ে ৭০ গুণ বেশি নেকি হয়। ফলে বিত্তবানরা দান-সদকা ও জাকাত-ফিতরা প্রদানে উৎসাহিত হন। সুনাম কুড়াতে অনেকে আবার লোকদেখানো আয়োজনও করে! কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, প্রতি বছর রমজানে জাকাত দেওয়ার সময় নানা ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। হুড়োহুড়ি করে জাকাতের কাপড় ও টাকা নিতে গিয়ে পদদলিত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে এদেশে এ ধরনের দুর্ঘটনায় শতাধিক হতদরিদ্রের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই বৃদ্ধা, নারী ও শিশু।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads