• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
রোজা যেন ‘লোক দেখানো’ না হয়

ছবি : সংগৃহীত

ধর্ম

রোজা যেন ‘লোক দেখানো’ না হয়

  • সৈয়দ ফয়জুল আল আমীন
  • প্রকাশিত ২৫ মে ২০১৯

চলছে ইবাদতের বসন্তকাল। রুপালি চাঁদের আলোর ফোয়ারায় সিক্ত হয়েছে নিখিল জাহান। কারণ রমজান কল্যাণময় মাস, কোরআন নাজিলের মাস। এ মাসে একটি নফল ইবাদত অন্যান্য মাসের ফরজের তুল্য। রমজানের পুরস্কার আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নিজে দান করবেন। রমজান ঘরে ফসল তোলার মাস, এ মাসের একটি প্রহরও যেন বেহুদা নষ্ট না হয়।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা নিজেকে এবং তোমার পরিবারকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচাও।’ তাই পরিবার থেকেই শুরু করতে হয় রমজান প্রস্তুতি। রমজান মানেই যে উপবাস থাকা নয়, বরং স্রষ্টার সান্নিধ্য অর্জনের লক্ষ্যে অন্তরের কলুষতাকে পুড়িয়ে ভস্ম করে দেয়াই রমজানের উদ্দেশ্য— এ বিষয়টি বুঝিয়ে দেওয়া। যখন সবার এ বুঝ এসে যাবে তখন তারা টিভি, মোবাইলের অনৈতিক কাজগুলো থেকে বিরত থাকবেন। রমজান মাসে বাচ্চাদের স্কুল বন্ধ থাকে। এ সুযোগটাকে আমরা কাজে লাগাতে পারি বাচ্চাদের কোরআন শিক্ষা দিয়ে। যারা কোরআন পড়তে পারে না বা যাদের পড়া শুদ্ধ নয়, তাদের শুদ্ধ তেলাওয়াত শিক্ষা দেওয়ার জন্য রমজানের এ সুবর্ণ সুযোগটিই হতে পারে উত্তম সহায়ক।

অবশ্য রমজানে আমরা অনেকেই কোরআন পড়ার চেষ্টা করি। আলহামদুলিল্লাহ, এটি খুবই ভালো কাজের একটি। কিন্তু যা পড়ছি তা কি বোঝার চেষ্টা করি? যদি কেউ কোরআনের শাশ্বত বাণীগুলো বুঝে পড়ে এবং এর আলোকে জীবন গড়ে, তাহলে তার জীবন ভরে উঠবে শান্তিতে। তাকে গ্রাস করতে পারে না ভ্রান্তি। কিন্তু আফসোসের কথা হলো জাতির বৃহৎ অংশই তা বোঝার চেষ্টা করে না। অথচ অমুসলিমরা এ কোরআন থেকে কুড়িয়ে নিচ্ছেন নানা তথ্য-উপাত্ত। ইহকাল ও পরকাল দুই জগতের কল্যাণের জন্য কোরআনকে বুঝতে হবে। হূদয়ে ধারণ করতে হবে কোরআন।

আমরা অনেকেই রমজানের পবিত্রতা বলতে দিনের বেলা খাওয়ার দোকান বন্ধ রাখাকে বুঝে থাকি। কিংবা হোটেলের সামনে পর্দা ঝুলিয়ে দিতে দেখি। রোজা তো স্রেফ আল্লাহর জন্য, তাহলে আল্লাহ কি এসব দেখছেন না! আসলে আমাদের সমাজে অধিকাংশ লোকই লোক দেখানো রোজা পালন করি। ফলে রোজা রাখার পরও সমাজে বিশৃঙ্খলা, খেয়ানত, আত্মসাৎ, গিবত, সুদ, জুয়া, মিথ্যা, প্রতারণা, ঝগড়া-বিবাদ, হারাম খাদ্য গ্রহণ, অশ্লীল কর্মকাণ্ড বাড়তে থাকে। এমতাবস্থায় সমাজবাসীকে বোঝাতে হবে— লোক দেখানো রোজা পালনে কোনো পুণ্য নেই। রসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে রোজা রেখে পাপ, মিথ্যা কথা, অন্যায় ও মূর্খতাসুলভ কাজ ছাড়তে পারে না, তার পানাহার ত্যাগ করাতে আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই।’ (বুখারি শরিফ : ১৯০৩)

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads