• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
ইবাদতময় করে তুলুন রমজান

ছবি : সংগৃহীত

ধর্ম

ইবাদতময় করে তুলুন রমজান

  • সৈয়দ ফয়জুল আল আমীন
  • প্রকাশিত ২৮ মে ২০১৯

রমজানে বিশেষ কিছু নির্দিষ্ট আমল রয়েছে। এর মধ্যে সেহরি, ইফতার ও তারাবি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এসব ছাড়াও আরো গুরুত্বপূর্ণ কিছু আমল রয়েছে, যেগুলো বছরের অন্য সময়ের মতো রমজানেও করা যায়। প্রকৃত অর্থে আমাদের প্রত্যেকেরই রমজান মাসের প্রতিটি মুহূর্তকে কাজে লাগাতে বিশেষভাবে সচেষ্ট থাকা উচিত। রমজানে সহজেই যেসব আমল করা যায়, সেগুলোর সংক্ষিপ্ত আলোচনা তুলে ধরা হলো আজকের লেখায়—

 

কোরআন তিলাওয়াত করা

রমজানে যেহেতু প্রতিটি ইবাদতের সওয়াব ৭০ গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়, তাই প্রত্যেক মুসলমানের উচিত এ মাসে যতটা সম্ভব বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াত করা। এ প্রসঙ্গে মহানবী (সা.) বলেন, ‘রোজা ও কোরআন কিয়ামতের দিন মানুষের জন্য সুপারিশ করবে...।’ (মুসনাদে আহমাদ)। তাছাড়া রমজান মাসে একজন অন্যকে কোরআন শোনানো খুবই সওয়াবের কাজ।

 

রোজাদারদের ইফতার করানো

রোজাদারকে ইফতার করালে রোজার সমান সওয়াব মিলবে। রসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, সে রোজা পালনকারীর অনুরূপ সওয়াব লাভ করবে, তবে রোজা পালনকারীর সওয়াব থেকে বিন্দুমাত্র হ্রাস করা হবে না।’ (মুসনাদে আহমাদ)।

 

তওবা করা

সর্বদা তওবা করা ওয়াজিব, বিশেষ করে এ মাসে তো বটেই। এ মাসে তওবার অনুকূল অবস্থা বিরাজ করে। শয়তানকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়, জাহান্নাম থেকে মানুষকে মুক্তি দেওয়া হয়।

 

দান করা

এ প্রসঙ্গে ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘রসুলুল্লাহ (সা.) ছিলেন মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দানশীল। আর রমজানে তাঁর বদান্যতা আরো বেড়ে যেত।’ (মুসলিম)।

 

দোয়া করা

মহান আল্লাহ রোজার বিধান বর্ণনা করার পর বলেছেন, ‘আমার বান্দারা যখন আমার সম্পর্কে তোমাকে প্রশ্ন করে, আমি তো কাছে আছি। প্রার্থনাকারী যখন আমার কাছে প্রার্থনা করে, আমি তার প্রার্থনায় সাড়া দিই।’ (সুরা আল-বাকারা, আয়াত : ১৮৬)। তাই রোজাদারদের উচিত আল্লাহর কাছে অধিক পরিমাণে দোয়া প্রার্থনা করা।

 

তাহাজ্জুদ আদায়

মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে রমজান মাসে ঈমান ও সওয়াবের আশায় (ইবাদতের মাধ্যমে) রাত জাগরণ করবে তার অতীতের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’ (মুসলিম)।

 

সামর্থ্য থাকলে ওমরাহ পালন করা

এ মাসে একটি ওমরাহ পালন করলে একটি হজ আদায়ের সমান সওয়াব হয়। রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘রমজান মাসে ওমরাহ পালন করা আমার সঙ্গে হজ আদায় করার সমতুল্য।’ (সহিহ বুখারি)।

 

শবেকদর তালাশ করা

রমজান মাসে এমন একটি রাত রয়েছে, যা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। সবার উচিত ওই রাতের সন্ধান করা। ওই রাত সম্পর্কে কোরআনের ঘোষণা হলো, ‘কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।’ (সুরা কদর, আয়াত : ৪)।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads