• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
রমজানে তাহাজ্জুদ নামাজ

প্রতীকী ছবি

ধর্ম

রমজানে তাহাজ্জুদ নামাজ

  • প্রকাশিত ২৯ মে ২০১৯

রমজান মাসকে বলা হয় ইবাদতের বসন্তকাল। রমজান মাসে সিয়াম সাধনা, তারাবিসহ গুরুত্বপূর্ণ সব আমলের পাশাপাশি বিশেষ বিশেষ সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে আমলের মাত্রা আরো বহুগুণ বৃদ্ধি পেতে পারে। নেকির খাতায় পুুণ্য জমা হতে থাকে। রমজানে যে কেউ ইচ্ছে করলেই তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তে পারেন। সেহরির সময় পানাহারের জন্য ঘুম থেকে সময়মতো উঠে খানাপিনা শেষ করে বাকি সময়টুকু তাহাজ্জুদে কাটানো যেতে পারে। ইচ্ছা করলেই তাহাজ্জুদের নামাজের আমলটা সহজে করা যায়। একটু আগেভাগে উঠে দু-চার রাকাত নামাজ পড়া তেমন কষ্টের কিছু নয়, কেবলই ইচ্ছার ব্যাপার। মহিলারাও রান্নার ফাঁকে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে নিতে পারেন। তাহলে তাহাজ্জুদ পড়ার একটি অভ্যাসও গড়ে উঠবে। কোরআন নাজিলের মাস হিসেবে এ সময় কোরআনে কারিমের তিলাওয়াত করা যেতে পারে। ইস্তেগফার হচ্ছে সাধারণভাবে যে কোনো সময় আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া। আল্লাহর কাছে আমরা দিন শেষে অথবা গোনাহ হয়ে যাওয়া মাত্রই ইস্তেগফার করতে পারি। দোয়া ও মোনাজাত হচ্ছে মুমিনের প্রধান হাতিয়ার।

রমজানে যে আমলগুলো বেশি বেশি করা দরকার তন্মধ্যে তাহাজ্জুদের নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির, তাওবাহ-ইস্তেগফার, দোয়া-দরুদ অন্যতম। রমজানে কিয়ামুল লাইল করার কথা আছে। কিয়ামুল লাইল শব্দের অর্থ রাতের নামাজ। তারাবির নামাজ যেমন কিয়ামুল লাইলের মধ্যে পড়ে, তেমনি শেষ রাতে তাহাজ্জুদও সালাতুল লাইলের অন্তর্ভুক্ত। রমজানে যেহেতু প্রতিটি ইবাদতের সওয়াব সত্তর গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়, তাই এ মাসে যথাসাধ্য বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াত করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আবশ্যক। রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘রোজা ও কোরআন কিয়ামতের দিন মানুষের জন্য সুপারিশ করবে।’ (আহমাদ : ৬৬২৬)। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, জিব্রাইল (আ.) রমজানে প্রতিরাতে রসুল (সা.)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন এবং রসুল (সা.) তাঁকে  কোরআন  শোনাতেন, (বুখারি : ১৯০২)। তারাবির নামাজ রমজান মাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। মাহে রমজানে এশার নামাজের পর দুই দুই রাকাত করে বিশ রাকাত তারাবির নামাজ আদায় করা রসুলুল্লাহ (সা.) ও সাহাবায়ে কেরাম (রা.)-এর আমল, যা বিশুদ্ধ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। হাদিসে বর্ণিত, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সওয়াব হাসিলের আশায় রমজানে কিয়ামুল লাইল (সালাতুত তারাবি) আদায় করবে, তার অতীতের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।’ (বুখারি : হাদিস ২০০৯)।

এহসান বিন মুজাহির 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads