• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
আল কুদস দিবস

ছবি : সংগৃহীত

ধর্ম

আল কুদস দিবস

  • সৈয়দা রাকীবা ঐশী
  • প্রকাশিত ৩১ মে ২০১৯

আজ রমজানের শেষ শুক্রবার। দিনটি পবিত্র জুমাতুল বিদা ও ঐতিহাসি আল-কুদস দিবস হিসেবে পরিচিত। মুসলমানদের প্রথম কেবলা পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাসকে দখলমুক্ত করার আন্দোলনের প্রতীকী দিন। বায়তুল মুকাদ্দাস বছরের পর বছর ধরে ইহুদিদের দখলে রয়েছে। ফিলিস্তিনের মূল অধিবাসীদের অধিকাংশকে বিতাড়িত করে ১৯৪৮ সালের ১৫ মে ইহুদিরা সেখানে অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল কায়েম করে। ১৯৬৭ সালে ইসরাইল বায়তুল মুকাদ্দাস দখল করে। এরপর থেকে বায়তুল মুকাদ্দাসকে দখলমুক্ত করার জন্য সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে আল-কুদস দিবস পালিত হয়ে আসছে। পবিত্র রমজান মাসের শেষ জুমার দিনকে আল-কুদস দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

আল-কুদস দিবস বা আন্তর্জাতিক আল-কুদস দিবস ইমাম খোমেনি (রহ.)-এর আহ্বানে ১৯৭৯ সালে ইরানে প্রথম শুরু হয়েছিল। এ দিবস পালনের উদ্দেশ্য হলো ফিলিস্তিনি জনগণের সাথে একাত্মতা প্রকাশ, জায়নবাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ এবং ইসরাইল কর্তৃক জেরুজালেম দখলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ। জেরুজালেম শহরের অপর নাম ‘কুদস’ বা ‘আল-কুদস’।

ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইবরাহিম ইয়াজদি সর্বপ্রথম আল-কুদস দিবস র্যালি আয়োজনের ধারণা দেন। তারপর আয়াতুল্ল­াহ খোমেনি ১৯৭৯ সালে ইরানে এর প্রবর্তন করেন। এরপর থেকে ইরানসহ বিভিন্ন দেশে প্রতি বছর আল-কুদস দিবসটি গুরুত্বের সাথে উদযাপিত হয়ে আসছে।

মহানবী (সা.) মক্কার মসজিদুল হারাম, মদিনার মসজিদুন্নবী ও বায়তুল মুকাদ্দাস মসজিদের উদ্দেশে সফরকে বিশেষভাবে সওয়াবের কাজ হিসেবে উল্লে­খ করেছেন। এ পবিত্র ঘর থেকেই তিনি মিরাজে গমন করেছিলেন। বায়তুল মুকাদ্দাস মসজিদ এবং তার আশপাশের এলাকা বহু নবীর স্মৃতিবিজড়িত। হজরত ইবরাহিম (আ.) কাবাঘর নির্মাণের ৪০ বছর পর হজরত ইয়াকুব (আ.) জেরুজালেমে আল-আকসা মসজিদ নির্মাণ করেন। এরপর হজরত সুলায়মান (আ.) এই পবিত্র মসজিদের পুনর্নির্মাণ করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads