• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪২৯
পাপমুক্তির আনন্দের দিনে করণীয়

ছবি : সংগৃহীত

ধর্ম

পাপমুক্তির আনন্দের দিনে করণীয়

  • এস. এ. মালিহা
  • প্রকাশিত ৩১ মে ২০১৯

‘ঈদ’ মানে আনন্দ উৎসব; ঈদ মানে যা বার বার ফিরে আসে প্রতি বছর। রমজানের রোজার শেষে এ ঈদ আসে বলে এর নাম ‘ঈদুল ফিতর’। ঈদ হলো পাপমুক্তির আনন্দ। সফলতা ও বিজয়ের আনন্দ। এ বিজয় নাফসের ওপর আকলের, এ বিজয় শয়তানের ওপর ইনসানের। মনের সব কালিমা দূর করে, মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ভুলে, মান-অভিমান বিসর্জন দিয়ে সবাই হাতে হাত মেলানো, বুকে বুক মেলানো, গলায় গলা মেলানো, অর্থাৎ সবার দেহ-মন এক হওয়ার আনন্দ হলো ঈদের আনন্দ। নিজের মনের হিংসা, ঘৃণা, লোভ, অহংকার, অহমিকা, আত্মম্ভরি, আত্মশ্লাঘা, রাগ-ক্রোধ, বিদ্বেষসহ যাবতীয় কুপ্রবৃত্তি থেকে নিজেকে মুক্ত করার আনন্দ। সাম্য, ভ্রাতৃত্ব ঐক্য, সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির আনন্দ।

মুসলিম মিল্লাতের দুটি ঈদের একটি ঈদুল ফিতর। সুতরাং ঈদুল ফিতর বিশ্ব মুসলিমের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহা উৎসব। এ দিনে ‘জাকাতুল ফিতর’ বা ‘সাদকাতুল ফিতর’ তথা ফিতরা প্রদান করা হয়; তাই এটি ঈদুল ফিতর।

ঈদুল ফিতরের তাৎপর্য হলো, আমি আল্লাহপাকের একটা বড় ইবাদত পালন করার তৌফিক পেয়েছি বলে আমি মহাখুশি; তাই তার শোকর আদায় করার জন্য ঈদুল ফিতরের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করছি। এ জন্যই ঈদের নামাজকে সালাতুশ শুকর তথা কৃতজ্ঞতা প্রকাশের নামাজ বলা হয়। এতে মোমিন বান্দার জন্য আনন্দও আছে, সেই আনন্দ খুশির বহিঃপ্রকাশ করা হয় আরেকটি হুকুম পালন করার মাধ্যমে। এ হলো আমাদের ঈদের আনন্দ উৎসবের তাৎপর্য; কারণ, আমাদের আনন্দ উৎসব সবই ইবাদত। এতে ইহকালীন ও পরকালীন কল্যাণ রয়েছে। ঈদ দিয়েছেন আল্লাহ পাক, তা পালন করতে হবে আল্লাহর বিধান ও রসুলের (সা.) নির্দেশিত সুন্নত নিয়মের মাধ্যমে। আমাদের উচিত ঈদে সব ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজের সব ক্ষেত্রে ইসলামী আদর্শ ও সুন্নত নিশ্চিত করা।

ঈদুল ফিতরের জন্য ঊনত্রিশে রমজান ঈদের চাঁদ দেখা সুন্নত; এদিন চাঁদ উদিত না হলে ৩০ রমজানও চাঁদ দেখা সুন্নত; যদিও এদিন চাঁদ দেখা না গেলে পরদিন ১ শাওয়াল তথা ঈদুল ফিতর হবে। ঈদের চাঁদ তথা নতুন চাঁদ দেখে দোয়া পড়া সুন্নত। ঈদের রাত হলো ইবাদতের বিশেষ রাতগুলোর অন্যতম; তাই ঈদের রাতে বেশি বেশি নফল ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকা উত্তম। ঈদের আগেই শারীরিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অর্জন করতে হবে; হাত-পায়ের নখ কাটতে হবে, গোঁফ ছোট করতে হবে। ঈদের রাতে ঘুমানোর আগে চোখে সুরমা ব্যবহার করতে হবে। সকালে গোসল করতে হবে। সকালবেলায় মিষ্টান্ন আহার এবং নতুন পোশাক বা সাধ্যমতো ও সামর্থ্য অনুযায়ী সুন্দর ও উত্তম ইসলামি সুন্নতি পোশাক পরতে হবে। সেই সঙ্গে পুরুষেরা টুপি বা পাগড়ি পরবেন। চাইলে আতর বা সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারবেন। সাদকাতুল ফিতর আদায় করতে হবে (আগে আদায় করলেও হবে)। পুরুষদের ঈদের মাঠে যাওয়া ও ঈদের জামাতে শামিল হতে হবে এবং খুতবা শুনতে হবে। সম্ভব হলে ঈদগাহে এক পথে গিয়ে অন্য পথে ফিরে আসা। ঈদের মাঠে যাওয়া-আসার পথে আস্তে আস্তে তাকবির (আল্লাহু আকবার) বলতে হবে। ঈদের দিন আত্মীয়স্বজনের কবর জিয়ারত করা ভালো।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads