• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
আত্মহত্যা মহাপাপ  

প্রতীকী ছবি

ধর্ম

আত্মহত্যা মহাপাপ  

  • প্রকাশিত ৩০ জুলাই ২০১৯

পার্থিব জগতে স্বপ্ন ভঙ্গের হতাশা থেকে নিরাসক্ত মানুষ আত্মহত্যা করে থাকে। মার্কিন লেখক অ্যাডওয়ার্ড ডালবার্গ বলেছেন, ‘যখন কেউ উপলব্ধি করে, তার জীবনের কোনো মূল্য নেই, তখন সে আত্মহত্যা করে’। অথচ এসব হতাশায় নিমজ্জিত ব্যক্তিকে সুপথে ডাকাই তো একজন মুমিন মুসলমানের কাজ হওয়া উচিত ছিল। 

অথচ আত্মহত্যা ঘৃণিত একটি অপরাধ এবং ইসলামের দৃষ্টিতে মহাপাপ। পবিত্র কোরআন মাজিদে মহান আল্লাহতায়ালা আত্মহত্যাকে হারাম করেছেন এবং আত্মহত্যাকারীর ভয়াবহ পরিণামের কথা জানিয়েছেন। আল্লাহ মানুষকে মরণশীল করে সৃষ্টি করেছেন। তিনিই মৃত্যু ঘটান। 

কিন্তু আত্মহত্যার ক্ষেত্রে বান্দা স্বাভাবিক মৃত্যুকে উপেক্ষা করে সেটিকে নিজের হাতে নিয়ে নিজেই নিজেকে হত্যা করে ফেলে। এ কারণে এটি একটি গর্হিত কাজ। আল্লাহতায়ালা এরশাদ করেছেন, ‘আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না, নিঃসন্দেহে আল্লাহতায়ালা তোমাদের প্রতি দয়ালু’  

(সুরা নিসা : ২৯)।  

পবিত্র কোরআনে আরো এরশাদ হয়েছে, ‘তারপরও যে সীমা লঙ্ঘন কিংবা জুলুমের বশবর্তী হয়ে এরূপ (আত্মহত্যা) করবে, তাকে খুব শিগগিরই আগুনে নিক্ষেপ করা হবে, এটা আল্লাহর পক্ষে খুবই সহজ সাধ্য’ (সুরা নিসা : ৩০)।  

আল্লাহপাক অন্যত্র এরশাদ করেন, ‘তোমরা তোমাদের নিজের জীবনকে ধ্বংসের (আত্মহত্যা) সম্মুখীন করো না’ (সুরা বাকারা : ১৯৫)। হজরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবিজি (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি পাহাড় থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করবে, সে জাহান্নামে অনুরূপভাবে আত্মহত্যা করতেই থাকবে এবং এটিই হবে তার স্থায়ী বাসস্থান।  

যে ব্যক্তি বিষপান করে আত্মহত্যা করবে, তার বিষ তার হাতে থাকবে, জাহান্নামে সে সর্বক্ষণ বিষপান করে আত্মহত্যা করতে থাকবে। আর এটা হবে তার স্থায়ী বাসস্থান। আর যে ব্যক্তি লৌহাস্ত্র দিয়ে আত্মহত্যা করবে, সে লৌহাস্ত্রই তার হাতে থাকবে। জাহান্নামে সে তা নিজ পেটে ঢুকাতে থাকবে, আর সেখানে সে চিরস্থায়ীভাবে থাকবে’  

(বুখারি : ২৪৩১)।  

হজরত জুন্দুব বিন আবদুল্লাহ (রা.) রাসুল (সা.) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, ‘একজন ব্যক্তি জখম হলে, সে (অধৈর্য হয়ে) আত্মহত্যা করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ বললেন, আমার বান্দাহ আমার নির্ধারিত সময়ের আগেই নিজের জীবনের ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আমি তার ওপর জান্নাত হারাম করে দিলাম।  

(বুখারি : ১৮২৪)।  

এহসান বিন মুজাহির 

লেখক : শিক্ষক ও গবেষক 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads