• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
ইসলামে সংঘবদ্ধতার গুরুত্ব

প্রতীকী ছবি

ধর্ম

ইসলামে সংঘবদ্ধতার গুরুত্ব

  • প্রকাশিত ২১ আগস্ট ২০১৯

কোরআন ও হাদিসে সংঘবদ্ধতার গুরুত্ব অপরিসীম। মুসলিম জাতি এক প্রাণ, এক দেহ— এই চেতনাবোধ ক্ষীণতর হয়ে আসছে। ইসলামে মুসলমানদের পারস্পরিক সম্পর্ক ভ্রাতৃত্বের। অথচ মুসলিম উম্মাহ আজ পরস্পর হিংসা-বিদ্বেষ, নিন্দাবাদের ঘৃণ্য স্লোগান ও কাদা ছোড়ায় লিপ্ত। কিন্তু ভেদাভেদ, অনৈক্য ভুলে ইস্পাতকঠিন ভ্রাতৃত্ব বন্ধন গড়াই কোরআন ও হাদিসের শিক্ষা। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এরশাদ করেন, ‘নিশ্চয়ই মুমিনরা পরস্পর ভাই ভাই’ (সুরা হুজরাত : ১০)। তাওহিদের পর মুমিনদের যে ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি তাগিদ দেওয়া হয়েছে তা হলো সংঘবদ্ধতা। ইসলামে সংঘবদ্ধতার গুরুত্ব অপরিসীম। সংঘবদ্ধতা সম্পর্কে মহান রাব্বুল আলামিন এরশাদ করেন, ‘তোমরা সেইসব লোকদের মতো হবে না, যাদের কাছে স্পষ্ট ও প্রকাশ্য নিদর্শন আসার পরও তারা বিভিন্ন দল-উপদলে বিভক্ত হয়ে পড়েছে এবং নানা ধরনের মতানৈক্য সৃষ্টি করেছে, তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি’ (সুরা আল ইমরান : ১০৫)।

মহান রাব্বুল আলামিন আরো এরশাদ করেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমারা আল্লাহর রজ্জুকে আঁকড়ে ধর এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না’ (সুরা ইমরান : ১০৩)। কোরআনে আরো এরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আমি তাদের বেশি ভালোবাসি যারা আল্লাহর রাস্তায় এমনভাবে সারিবদ্ধ হয়ে লড়াই করে, ঠিক যেন শিসাঢালা এক সুদৃঢ় প্রাচীর’ (সুরা সফ : ৬১)। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন, ‘মুমিনগণ একজন মানুষের মতো, যার চোখ আক্রান্ত হলে সব শরীর আক্রান্ত হয় আর তার মাথা আক্রান্ত হলে সব শরীর আহত হয়’ (মুসলিম : ২৫৮৬)। হজরত হারিছ আল আশ’আরী (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন, ‘আমি তোমাদের পাঁচটি বিষয়ের নির্দেশ দিচ্ছি, স্বয়ং রব আমাকে এগুলোর নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়গুলো হচ্ছে : সংঘবদ্ধ; আমিরের নির্দেশ শ্রবণ; আমিরের নির্দেশ পালন; হিজরত; এবং  আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ।’ সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! (সা.), সালাম কায়েম এবং সাওম পালন করা সত্ত্বেও?’  উত্তরে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নামাজ কায়েম ও রোজা পালন এবং মুসলমান বলে দাবি করা সত্ত্বেও’ (তিরমিজি : ২৭৯০)।

হজরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি জান্নাতের সর্বোত্তম অংশে বসবাস করে আনন্দিত হতে চায়, সে যেন ঐক্যবদ্ধভাবে আল্লাহর রজ্জুকে আঁকড়ে ধরে’ (তিরমিজি : ১১২৬)।

এহসান বিন মোজাহির

লেখক : শিক্ষক ও গবেষক

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads