• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
ইসলামে খুনিদের শাস্তি চিরকাল জাহান্নাম

প্রতীকী ছবি

ধর্ম

ইসলামে খুনিদের শাস্তি চিরকাল জাহান্নাম

  • প্রকাশিত ১৩ অক্টোবর ২০১৯

নিরপরাধ মানুষ হত্যা জঘন্যতম একটি মহাপাপ। একটি অবৈধ হত্যাকাণ্ড গোটা মানবজাতিকে হত্যার শামিল। ইসলামে হত্যা যেভাবে মহাপাপ, তদ্রূপ রাষ্ট্রীয় আইনেও গুরুতর একটি অপরাধ। যারা বৈধ কারণ ছাড়া আল্লাহ কর্তৃক নিষিদ্ধ প্রাণকে হত্যা করে তারা মহাপাপী। যে একটা প্রাণকে বাঁচাল, সে যেন গোটা মানবজাতিকে বাঁচাল। মহান আল্লাহ এরশাদ করেন, ‘নরহত্যা কিংবা পৃথিবীতে ধ্বংসাত্মক কাজ করা ছাড়া কেউ কাউকে হত্যা করলে সে যেন দুনিয়ার সব মানুষকেই হত্যা করল। আর যে কারো প্রাণ রক্ষা করল, সে যেন সব মানুষের প্রাণ রক্ষা করল’ (সুরা মায়েদা : ৩২)। পবিত্র কোরআনুল কারিমে মহান আল্লাহ আরো এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত কোনো মুসলমানকে হত্যা করবে, তার শাস্তি জাহান্নাম, তাতেই সে চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তার প্রতি ক্রুদ্ধ হন, তাকে অভিশাপ দেন এবং তার জন্য ভীষণ শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছেন’ (সুরা আন নিসা : ৯৩)।

হজরত রাসুল (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘কোনো মুসলমানকে গালি দেওয়া গোনাহর কাজ, আর তাকে হত্যা করা কুফরি’ (বোখারি : ৬০৪৪)। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন, ‘যদি আসমান জমিনের প্রত্যেকেই কোনো মোমিন হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকে, তাহলে প্রত্যেককেই জাহান্নামের শাস্তি  ভোগ করতে হবে’ (তিরমিজি : ১৮৪৩)। ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘কেয়ামতের দিন সর্বপ্রথম খুনের বিচার করা হবে’ (মুসলিম : ১৭৩৪)। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) নবী করিম (সা.) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, ‘কেয়ামতের দিন নিহত ব্যক্তি তার হত্যাকারীর চুলের মুঠো ও মাথা ধরে আল্লাহর দরবারে এমন অবস্থায় হাজির হবে যে, তখন তার রগগুলো থেকে রক্ত পড়তে থাকবে। সে ফরিয়াদ করবে, হে আমার প্রভু! এই ব্যক্তিই আমাকে হত্যা করেছে। এই বলতে বলতে সে আরশের নিকটবর্তী হয়ে যাবে’ (তিরমিজি : ২৩৭৮)। রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, ‘জুলুম কেয়ামতের দিন অন্ধকার হয়ে তোমার কাছে আসবে’ (ইবনে মাজাহ : ১৭৯১)।

সুতরাং আসুন, এই জঘন্য পাপাচার থেকে নিজেকে মুক্ত রাখার জন্য আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করি। আল্লাহ আমাদের মাফ করুন। আমিন।

এহসান বিন মুজাহির

লেখক : শিক্ষক ও গবেষক

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads