• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
ক্ষমা মানুষকে মহৎ করে

প্রতীকী ছবি

ধর্ম

ক্ষমা মানুষকে মহৎ করে

  • প্রকাশিত ০২ ডিসেম্বর ২০১৯

ইসলাম মনে করে, ক্ষমার মাধ্যমে জান্নাত নিকটবর্তী হয়। আল্লাহ চান মুমিনের চারিত্রিক মহিমা ক্ষমার গুণে সুশোভিত হয়ে উঠুক। যার সৌরভে একদিন অত্যাচারীর আত্মোপলব্ধির সুযোগ আসবে, অন্যদিকে অত্যাচারিত ব্যক্তিও সব ধরনের বেদনা হতে মুক্তি পাবে।

এ প্রসঙ্গে আল্লাহতা’য়ালা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা তোমাদের রবের ক্ষমা লাভের জন্য প্রতিযোগিতা করো আর প্রতিযোগিতা করো সেই জান্নাতের জন্য, যার বিশালতা আসমান-জমিনের বিশালতার সমান, যা প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে মুত্তাকিদের জন্য। (জান্নাতের উত্তরাধিকারী ভাগ্যবান তারা) যারা সচ্ছল কি অসচ্ছল, সর্বাবস্থায় নিজেদের সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে, আর যারা নিজেদের ক্রোধ সংবরণ করে এবং মানুষের অপরাধসমূহ ক্ষমা করে দেয়। (এটা সৎ মানুষের গুণ)। আর সৎ মানুষদেরকে সব সময় আল্লাহ ভালোবাসেন।’ (সূরা আল ইমরান : ১৩৩-১৩৪)।

এ বিষয়ে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহর রাস্তায় দান করলে সম্পদ কমে না, আর ক্ষমার দ্বারা আল্লাহ বান্দার মর্যাদা বৃদ্ধি করেন এবং যে আল্লাহর উদ্দেশে বিনয় অবলম্বন করে আল্লাহ তাকে সম্মানিত করেন।’ (সহিহ মুসলিম)।

এ প্রসঙ্গে একটি বিশেষ ঘটনা প্রণিধানযোগ্য। একবার উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.)-এর বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে ব্যভিচারের অপবাদ দেওয়া হয়েছিল। অপবাদ রটনায় যারা মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিল, তাদের একজন ছিল হজরত আবু বকর (রা.)-এর নিকটাত্মীয় মেসতাহ (রা.), যাকে তিনি প্রতিমাসে খরচের জন্য নির্দিষ্ট হারে অনুদান দিতেন। কিন্তু এ ঘটনায় হজরত আবু বকর (রা.) মেসতাহকে অনুদান দেওয়া বন্ধ করে দেন। তখন আল্লাহতা’য়ালা পবিত্র কোরআনের আয়াত নাজিল করেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা দ্বীনি মর্যাদা ও পার্থিব প্রাচুর্যের অধিকারী, তারা যেন এ মর্মে শপথ না করে যে তারা তাদের গরিব আত্মীয়-স্বজন, অভাবগ্রস্ত এবং যারা আল্লাহর রাস্তায় হিজরত করেছে তাদেরকে কোনো প্রকার সাহায্য-সহযোগিতা করবে না। বরং তাদের উচিত তারা যেন তাদেরকে ক্ষমা করে দেয় এবং তাদের দোষত্রুটি উপেক্ষা করে; তোমরা কি চাও না যে, আল্লাহতা’য়ালা তোমাদের ক্ষমা করে দিন; আল্লাহ তো ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।’ (সূরা আন নূর : ২২)।

সুতরাং মানবচরিত্রের এই মহৎ গুণটি মুসলমান হিসেবে আমাদের প্রত্যেকেরই অনুসরণ করা উচিত। আল্লাহ আমাদের সেই তৌফিক দান করুন। আমিন।

মোহাম্মদ মাকছুদ উল্লাহ

লেখক : ইসলামবিষয়ক চিন্তাবিদ

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads