• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
তাহারাতের উপকারিতা ও ফজিলত

প্রতীকী ছবি

ধর্ম

তাহারাতের উপকারিতা ও ফজিলত

  • আবু রোকাইয়া
  • প্রকাশিত ০১ জানুয়ারি ২০২০

তাহারাতের উপকারিতা অনেক। হজরত শাহ ওয়ালি উল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভি (রা.) বলেন, পবিত্রতার বদৌলতে মানুষ মহান মর্যাদার অধিকারী হয়। মানুষের অন্তরাত্মা পশুত্বের প্রভাবমুক্ত হয়ে ঈমানি আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। এতে বান্দার গুনাহ মাফ হয়। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জিত হয়। পবিত্রতা মানুষকে শয়তানের প্রভাব থেকে মুক্ত রাখে এবং কবরের আজাব থেকে রক্ষা করে।

হাদিস শরিফে তাহারাতের অনেক ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘সালাতের চাবি হলো তাহারাত।’ অন্য হাদিসে আছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন কোনো মুসলিম অথবা মুমিন বান্দা অজু করে আর সে তার মুখ ধোয় তখন অজুর পানির শেষ ফোঁটার সঙ্গে সঙ্গে তার চেহারা থেকে সব গুনাহ বের হয়ে যায়, যা সে তার দুচোখ দিয়ে করেছিল। যখন সে তার দুহাত ধুয়ে ফেলে তখন অজুর পানির সঙ্গে অথবা অজুর পানির শেষ ফোঁটার সঙ্গে সঙ্গে তার উভয় হাত থেকে সব গুনাহ বের হয়ে যায়, যা সে হাত দিয়ে করেছিল। শেষ পর্যন্ত সে তার গুনাহ থেকে পাক হয়ে যায়।

অপর এক হাদিসে আছে, নবী করিম (সা.) একদিন সাহাবিগণকে বললেন, আমি কি তোমাদের এমন এক বিষয়ের কথা বলব যার কারণে আল্লাহপাক গুনাহ মাফ করে দেবেন এবং মর্যাদা বাড়িয়ে  দেবেন? সাহাবিগণ বললেন, অবশ্যই বলুন হে আল্লাহ রাসল। তখন তিনি বললেন, তা হলো কষ্টকর অবস্থায়ও পূর্ণভাবে অজু করা, বেশি বেশি মসজিদে যাওয়া এবং এক নামাজের পর আরেক নামাজের অপেক্ষা করা। এ হলো জিহাদের উদ্দেশ্যে সীমান্ত পাহারা দেওয়া মতো।

রাসুলুল্লাহ (সা.) আরো বলেন, কোনো ব্যক্তি যদি খুব ভালো করে অজু করে এই দোয়া পড়ে তবে জান্²াতের আটটি দরজা তার জন্য খুলে দেওয়া হবে। যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা সে প্রবেশ করতে পারবে। দোয়াটির অর্থ হলো, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। তিনি এক, তার কোনো শরিক নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মোহাম্মদ (সা.) তার বান্দা ও রাসুল। অন্য হাদিসে আছে, রাসুলুল্লাহ্ (সা.) বললেন, আমার উম্মাত কিয়ামতের দিন এমন অবস্থায় আসবে যে, অজুর ফলে তাদের মুখমণ্ডল হবে নুরানি এবং হাত-পা দীপ্তিময়। আর হাউজের (কাওসারের) পাড়ে আমি হব তাদের অগ্রবর্তী।

লেখক : প্রাবন্ধিক ও গবেষক

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads