• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
ইসলামের আলোকে নামাজ মোনাজাত ও দোয়া

সংগৃহীত ছবি

ধর্ম

ইসলামের আলোকে নামাজ মোনাজাত ও দোয়া

  • প্রকাশিত ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০

ইসলাম ও দিন সম্পর্কে আমাদের সাধারণ মুসল্লিদের নানা ধরনের প্রশ্ন রয়ে যায়। মোনাজাত ও দোয়া এবং নামাজ কায়েম করা নিয়ে আমাদের মুসলমানদের মধ্যে অনেক ধরনের মতদ্বৈধ দেখা দেয়। ইসলাম এ বিষয়ে কী বলে?

মোনাজাত ও দোয়া এই দুটিই আরবি শব্দ। মোনাজাত শব্দের অর্থ হচ্ছে চুপিচুপি কথা বলা। অর্থাৎ আল্লাহপাকের সঙ্গে একান্তে কথা বলা। আর দোয়া শব্দের অর্থ হচ্ছে উচ্চস্বরে ডাকা। আল্লাহপাকের কাছে কোনো কিছু দুভাবেই চাওয়া যায়। সাহাবায়ে কেরাম আল্লাহর নবী (সা.)-কে একবার জিজ্ঞাসা করলেন, আল্লাহপাক কি আমাদের এত কাছে যে, আমরা তাকে ফিসফিস করে ডাকব? নাকি আল্লাহপাক আমাদের থেকে অনেক দূরে আমরা তাকে উচ্চস্বরে ডাকব?

এ প্রশ্নের উত্তর আল্লাহপাক পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারার ১৮৬ নং আয়াতে ইরশাদ করেছেন, আমার বান্দা যদি তোমার কাছে আমার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে, তাহলে তাদেরকে বলে দাও, আমি তাদের কাছেই আছি। যে আমাকে ডাকে আমি তার ডাক শুনি এবং জবাব দিই, কাজেই তাদের আমার আহ্বানে সাড়া দেওয়া এবং আমার ওপর ঈমান আনা উচিত একথা তুমি তাদের শুনিয়ে দাও, হয়তো সত্য-সরল পথের সন্ধান পাবে। কোরআনে এমন ২১টা প্রশ্ন আছে যে প্রশ্নগুলো আল্লাহর নবীকে করা হয়েছিল আর আল্লাহও তার নবীকে মাধ্যম বানিয়ে উত্তর দিয়েছেন। কিন্তু এই একটি মাত্র প্রশ্ন যার উত্তর আল্লাহপাক সরাসরি দিয়েছেন। নবী (সা.)-কে মাধ্যম বানাননি।

আর নামাজ কয়েম করা। প্রথমত জেনে যথাযথভাবে, জামাতে নামাজ পড়া। কেননা নামাজের ইকামতে বলা হয়, কদ কা মতিস্সালা। দ্বিতীয় ব্যাখ্যা হলো, নিজে যেমন নামাজ আদায়কারী হব ঠিক তেমনই আমার পরিবারের সকলকে নামাজ পড়তে বাধ্য করব। পরিবারের যেই সদস্যদের বয়স সাত বছরের ওপরে তাদেরকে নামাজ পড়তে বাধ্য না করলে আল্লাহর দরবারে জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হবে। তৃতীয় হচ্ছে যারা নির্বাহী ক্ষমতা নিয়ে জাতি ও সমাজের নেতৃত্ব দেন তাদের দায়িত্ব হচ্ছে সকলকে নামাজ পড়তে বাধ্য করা। নামাজ কায়েম করা সবারই দায়িত্ব। আর সমাজে নামাজ কায়েম করতে পারলে সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।

শাহ ওয়ালিউল্লাহ

লেখক : খতিব ও ইসলামী চিন্তাবিদ

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads