রমজানের তৃতীয় দিনটি রহমত বা দয়ার দশদিনের অংশ। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বান্দার পক্ষ থেকে তার কাছে চাওয়াটাকে সব চেয়ে বেশি পছন্দ করেন। মুসলমানের বিশ্বাস তিনি ছাড়া কারো কাছে চাওয়া যাবে না।
আবার দান বা সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে খোদার নির্দেশ তোমরা মুক্তহস্তে দান করো। আমাদের করোনা থেকে মুক্তি দেওয়ার মালিকও একমাত্র তিনিই।
হাদিসে বলা হয়েছে, রমজানের তৃতীয় দিনে একজন ফেরেশতা আবারো রোজাদারের ক্ষমার ঘোষণা দেন।
আসলে, দিনের সিয়াম-সাধনা তথা পানাহার বর্জন সেই সাথে ফরয নামাজের পর নফল এবাদত ও রাতে বেশি বেশি নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত ও অন্যান্য ইবাদতের মাধ্যমেই আমাদেরকে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে হবে। বেশি বেশি ইস্তেগফার পড়ে বিগত দিনের পাপ থেকে পরিত্রাণের জন্য খোদার দরবারে মাফ চাইতে হবে।
তাই মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে করোনার বালা মুসিবতসহ আমাদের প্রয়োজনীয় সবকিছুই চাইতে বা প্রার্থনা করতে পারি। এই চাওয়া বা প্রার্থনা হওয়া উচিত মনের গভীর থেকে এবং একাগ্র চিত্তে। প্রার্থনার সময়ে অসংখ্য চাওয়ার মাঝে কিছু কিছু হারিয়ে ফেলি।
তাই প্রতিদিন কিছু কিছু করে ইফতারের পূর্ব মুহূর্তে আল্লাহর কাছে বিনয়ের সঙ্গে চাইবো। সকালে সেহরীর আগে কিছু নফল এবাদতে আল্লাহর কাছে আমরা চাইতে পারি। এতে আল্লাহ তায়ালা খুশি হন।
আমরা সৃষ্টিকর্তাকে ডেকে বলতে পারি, হে প্রতিপালক তুমি তো সৎ চরিত্রবানকে পছন্দ কর, তাই আমাকে, পরিবারের সকল সদস্যকে, আত্মীয়-স্বজনকে, পাড়া-প্রতিবেশিকে, কর্মস্থলের, সমাজের এবং দেশের সবাইকে সৎ চরিত্রের অধিকারী করে দাও। যেমন করেছো তোমার প্রিয় বান্দাদের।
এই দুর্যোগে মানুষের একটাই চিন্তা কিভাবে সুস্থ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। আর সুস্থতা তো তোমার বড় নেয়ামত। এই নেয়ামত থেকে আমাদেরকে বঞ্চিত করিও না। আমাদের সবাইকে দেহ ও মনে সুস্থতা দান কর। যা দিয়ে আমরা সৎ ও কল্যাণকর কাজে নিমগ্ন হতে পারি।
প্রতিদিনের মত আজও কোরআন তেলাওয়াত, নামাজ আদায়, সৎ কর্ম, ভালো আচরণ এবং দান করবো।আল্লাহ পাক আমাদেরকে সবাইকে তার খাঁটি বান্দা হিসেবে কবুল করুন।